পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তস্রাব শ্রাবিত রক্তের পরিমাণানুসারে শরীরের অনেক পরিবর্তন বটিয়া থাকে। শরীরের যে স্থলে স্রাব জস্ত রক্ত সংহত { coagulated ) হয়, তাহার বর্ণ কৃষ্ণ অথবা লোহিতাভ । কিছুদিন গত হইলে ঐ রক্ত পাটলবণ ও পরে পীতবর্ণ ধারণ করে। অবশেষে উহাই শুভ্রবণে পরিণত হইয়া থাকে। নিঃস্থত রক্ত শোষিত হইবার পর, চৰ্ম্মে কাল দাগ হয়, কথন কখন উচ্চা দ্বারা চতুপাখস্থ বিধানে প্রদাহ জন্মে অথবা উত্তেজনাহেতু নিকটবৰ্ত্তী চতুর্দিকে থলি ( Cyst ) উৎপন্ন হয়। রক্তস্রাবের পূৰ্ব্বে নাড়ীর গতি পুর্ণ ও দ্রুত থাকে। কোন স্থানে রক্তস্রাব হঠলে সেই স্থান উষ্ণ ও ভারযুক্ত বোধ হয়, তৎকালে হস্তপদাদি শীতল হইয়া থাকে। হৃদ্বেষ্ট ও বায়ু নালীতে রক্তস্ৰাৰ হইলে সহসা মৃত্যু ঘটিতে পারে। যন্ত্রবিশেষে | রক্তস্রাব হইলে উহার নিম্রাবের ব্যতিক্রম ঘটে। কোন বিধান ছিন্ন হইয়া রক্তস্রাব হইলে তাহার মধ্যে প্রদাহ উপস্থিত হইয় থাকে। পাকাশয়ে রক্তস্রাব হঠলে বমন এবং ফুসফুসে হইলে কাপ উপস্থিত হইতে দেখা যায় । ত্বক বা শ্লৈষ্মিক [ ১২৫ ] ঝিল্লীর নিম্নে হইলে রক্তচিহ্ন স্পষ্টই দৃষ্টিগোচর হয় । সাধারণ i লক্ষণের মধ্যে মুখমণ্ডল ফিক, নাড়া দুর্বল ও হস্তপদের ' শিথিলত প্রকাশ পায় । মধ্যে মুচ্ছ প্রভৃতি বিদ্যমান থাকে, এরূপ অবস্থায় কখন কখন রোগীর মৃত্যু হইতেও দেখা যায় । ত্বকের নিম্নে রক্তস্রাব হইলে সাধারণ দৃষ্টিতেই তাহ। উপলব্ধি করা যায়। মস্তিষ্ক বা ফুসফুসের মধ্যে হইলে বিশেষ লক্ষণ দ্বারা নির্ণয় কর আবষ্ঠ্যক । কোটর মধ্যে রক্তস্রাব হইলে তাছার উপরে আঘাত দ্বারা ঢক্‌ টক্‌ শব্দ শুনা যায়। ফুসফুস হইতে রক্তোদগমন হইলে তাকার বর্ণ উজ্জ্বল লাল দেথা যায় । পাকাশয় কিস্ব অস্ত্র হইতে বহির্গত হইলে অম্বরদসংশ্লিষ্ট হওয়ায় তাহ। কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে । নাসিক, মুখ, গুহম্বার ও মুযদ্বার হইতে রক্ত শ্রাবিত হইলে শ্লেষ্মা বা মূত্র মিশ্রিত থাকে । বিশেষ বিচক্ষণতার সহিত রোগ নির্ণয় করিয়া চিকিৎসক তা স্থার উপশমের চেষ্টা কল্পিবেন । ত্বকের রক্তস্রাব সামান্ত, কিন্তু মস্তিষ্ক ব৷ ফুসফুস ইহঁতে ইষ্টলে গুরুভর বলিয়। জ্ঞান কৰ্ত্তব্য । অধিক পুরিমাণে অথবা কোন বিশেষ যন্ত্র হইতে রক্তস্রাব ঘটিলে গুরুতর বলিয়া জানিবে। প্লীহারোগাক্রান্ত রোগীর রক্তস্রাব নিবারণ করা দুরূহ। এরূপ অবস্থায় রোগীকে স্থির ভাবে রাখিয়া চিকিৎসা করা বিধেয়। যাহাতে শিয়ার রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, তদ্বিবয়ে চিকিৎসকের দৃষ্টি রাখা একান্ত কর্তব্য। হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়। XVI অতিরিক্ত শ্রাব হইলে হস্তপদের । ম্পন্দন, দৃষ্টির বৈলক্ষণ্য, কণে মান শক, অস্থিরম্ভ ও মধ্যে । ङ्गळुउपठे BB BBBB BB BBBBBB BBBBS BBB LSBBB প্রভৃতি দেওয়া যাইতে পারে। কখন কখন রক্তমোক্ষণও করা যায়। সঙ্কোচক ঔষধের মধ্যে এসিটেট অব লেড, গালিক এসিড, ট্যানিক এসিড, সলফিউরিক এসিড ডিল, অয়েল অবটর্পেণ্টাইন, আর্গট, টি মাটিকে, টিং ষ্টিল, টি হেমোমেলিস, ছেঞ্জিলিন প্রভৃতি ব্যবহার্য্য। ঐ ঔষধগুলির মধ্যে কোন কোনট অহিফেন সহ কারে ব্যবহার করিলে বিশেষ উপকার দশে । যে অঙ্গ হইতে রক্তস্রাব হয়, তাহ উচ্চভাবে রাখিবে ও শীতল জল বা বরফ সংলগ্ন করবে। অন্যান্ত উপায়ের মধ্যে স্কেলারোটিনক এসিড, ও আগটিন ইঞ্জেষ্ট করা যাইতে পারে। পীড়িত স্থান হইতে রক্ত সরাইবার জষ্ঠ মাষ্টার্ড প্লাষ্টার, শুষ্ক বা অস্ত্র কাপিং,ঞ্জলোক কিংবা জোনাডস্ বুট ব্যবহার করা আবশুক । গুরুতর হইলে ষ্টিমুলেণ্ট ঔষধ দিবে অথবা রক্ত- প্রবেশ (Transfusion of blood) of Ússe ফুসফুস কিংবা পাকাশয় হইতে রক্তস্রাব হইলে রোগীকে বরফ চুধিতে দিবে। ফুসফুস হইতে রক্তস্রাবকালে কাসি থাকিলে তাহাব উত্তেজনানিবারণার্থ আক্ষেপনি বারক ঔষধ সেবন করাইবে । পাকাশয় হইতে হইলে এবং বমনের উদ্রেক থাকিলে বমননিবারক ঔষধ প্রয়োগ করাষ্ট বিধি । কখন কখন নাসিক, অথবা অশ দিল্লী রক্ত শ্রাব হইলে উপকার দর্শে । অধিক হইলে তাহ নি বারণের চেষ্টা করা উচিত, নিঃস্তত রক্তশোধনার্থ আভ্যন্তরিক পোটাগি আইওডাইড সেব্য । পীড়িত স্থানে টিং আই ওডাইন লেপন করা যাহতে পারে। স্রাবিত রক্ত কর্তৃক প্রদাহ জন্মিলে, প্রদাহনিবারক ঔষধসমূহ ব্যবহার্য্য। দুৰ্ব্বলতাজনিত রক্তপাতে বলকারক আহার ও টিং-ষ্টিল ব্যবস্তেয় । কোন কোন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এ রূপ দুৰ্ব্বল থাকে যে, অতি সীমান্ত কারণেই অধিক রক্ত স্রাব হইতে থাকে । এই রূপ দৈহিক অবস্থাকে হিমোফিলিয়া বা হেমোরেঞ্জিক ডায়েথেসিস বলে । Epistaxis বা নাসিক চইতে রক্তস্রাব রোগ কোন কোন বংশের সস্তানাদি পরম্পরায় দেখিতে পাওয়া যায়, এই কারণে ইহাকে কোলিক ও ৰলা যায়। ডাঃ হাচিনসনের মত পিতামাতায় গেটেবত থাকিলে সস্তানসস্তক্তির সামান্য কারণে রক্তপাত হয়। রক্তে যাইব্রিন বা লোহিতবর্ণ রক্তকণিকার ভাগ নূ্যন ইষ্টলে উক্ত প্রকার রক্তস্রাব হইতে দেখা যায়। পরীক্ষা দ্বারা শোণিত মধ্যে কোন পরিবর্তন উপলব্ধি कद्र शृंग्नि नl । এই রোগাক্রান্ত রোগীর কোনরূপ মাকারের ব্যতিক্রম ৩২