পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুনন্দন - ] سوانى لا রঘুনাথ মৰ্ম্মাহত হন এবং উচ্চ-সন্মান গাগু কুলীন ব্রাহ্মণ-সমাজে শাস্ত্ৰ ৰচিভূত আচার ব্যবহার, বিধৰ্ম্মীর অনুকরণ, সনাতন ধৰ্ম্মে অনাস্থ, পরঐকাতরতা, পরম্পর বিদ্বেষিতা, মুখের প্রাধান্য, পণ্ডিতের হতাদার ইত্যাদি ব্যভিচার-দশনে নিতান্ত কাতর হঠয়া তfহার প্রতিবিধানের জন্যই প্রধানত: "তিতত্ত্ব’ প্রচারের সংকল্প করেন । মেলবন্ধনহেতু পাত্রাভাব প্রযুক্ত কুলীনকন্যাদিগের বিবাহবন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় শ্ৰীনাথাচার্য্য প্রভৃতি কুলীন সন্তানগণ শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিয়া যখন বয়স্থ কন্যার বিবাহ ও বহুবিবাহের সমর্থন করিতে থাকেন, তখন অনাচারবিরোধি-বংশজ-সমাজের মুখপাত্র রঘুনন্দন স্বীয় উদ্বাঙ্গতত্বে’ উইদিগের মতসমূহ অশাস্ত্রীয় বলিয়া খণ্ডন করেন । আরও, স্ব স্ব মেল মধ্যে পায়া ভাব ঘটায় যখন কুলীনগণ কন্যার বয়ঃকনিষ্ঠ পাত্রকে ও কন্যাসম্প্রদান করা বিধেয় এবং "কন্যা ঋতুমতী কষ্টয় যাবজ্জীবন গৃহে থাকিবে তবুও নি গুণ অপবা মেল বহি ভূ ত পাত্রে কন্যা সমর্পণ করা হইবে ন৷” বলিয়া ঘোষণা করায় স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য শাস্ত্রীয় প্রমাণদ্বারা বিশদ রূপে প্রদর্শন করিয়াছেন যে দ্বাদশোৰ্দ্ধবয়স্ক এবং পাত্রপেক্ষ অধিক বয়স্ক কন্যার পাণিগ্রহণ নিতান্ত শাস্ত্রবিরুদ্ধ; আর দৃষ্টরঞ্জস্ব। মনুঢ়া কন্যা গৃহে রাখিলে তাহার পিতৃপুরুষ ও জ্ঞাতিবর্গ সকলেই নরক স্থ হইবে । প্রবাদ আছে যে, রঘুনন্দন স্মৃতিতত্ত্ব প্রকাশের পরেই, পিতৃপুরুষদিগের শ্রাদ্ধ করিবার নিমিত্ত গয়াধামে গমন করেন । পিণ্ডদানমানসে তিনি মন্দির মধ্যে গ্রবেশ করিতে উষ্ঠত হইলে পাণ্ডার। তাছার নিকট হইতে অসম্ভব মুল্য চাহিয়৷ বসেন। ইহাতে তিনি ক্রুদ্ধ চ স্কয়া চলিয়া যান এবং ক্রোশপরিমিত গয়াক্ষেত্রের পরিমাণ নিদেশ করিয়া প্রাস্তরে গিয়া পিণ্ডদান করিতে উদ্যত হইলে, পাণ্ডার তাহাকে নবদ্বীপের স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য জানিয়া তাচাকে বিনতি করিয়া শ্ৰীমন্দিরে আনাহয়৷ শ্ৰাদ্ধাদি করাইয়াছিলেন। গয়াগীগণ রঘুনন্দনের ক্ষমতার বিষয় অবগত ছিলেন, সুতরাং তিনি বাহিরে পিণ্ডদান করিলে বঙ্গবাসী সকলেই যে তাহার পদামুসরণ করিবে তা হ ডপলব্ধি করিয়া এবং আপনাদের স্বার্থ-হানি হইবে জানিয়াই উহার তৃপ্তিবিধানে বাধ্য হন। তঁtহার স্মৃতিসংগ্রহের সকল ব্যবস্থাগুলিই প্রায় বঙ্গদেশে প্রচলিত হইয়াছে, কেবল মাত্র সংস্কায়তত্ত্বের উপনয়নবিধি প্রচলিত হয় নাই । এথন ও এদেশীয় ব্রাহ্মণগণের প্রাচীন মভেক্ট উপনয়ন হইয়া থাকে । আট।শখানি স্থতি তত্ত্ব ভিন্ন তিনি রাসযাত্রাপদ্ধতি, সংকল্প চন্দ্রিক, ত্রিপুষ্করশাস্তি, প্রমাণতত্ত্ব, জীমূতবাহনকৃত দায়ভাগের টীকা ও দ্বাদশযাত্রা নামে আরও কয়খনি স্মৃতি গ্রন্থ রচনা করেন। ঐ সকল পুস্তকে তিনি অসাধারণ পাণ্ডিত্য, বিচারশক্তি, প্রগাঢ় যুক্তি ও সুক্ষদর্শিতার পরিচয় দিয়! গিয়াছেন। তিনি এতাদৃশ বিদ্যাবুদ্ধিসম্পন্ন হষ্টয়াও অহঙ্কত ছিলেন না । তাহার লিখিত মলমাসতত্বের শেষ শ্লোক হইতে তাহার যপেষ্ট আভাস পা ওয়া যায়— “বিরুদ্ধং গুরুবাক্যস্ত যদর ভাষিতং ময় । তৎক্ষন্তধ্যং বুধৈরেব স্মৃতিতত্ব বুভুংসয় ॥” এই রূপে রঘুনন্দন আজীবন শাস্ত্রালোচনায় ব্যাপৃত থাকিয়া প্রায় সগুতি বৎসর বয়ঃক্রমকালে কালকবলে পতিত হন। অল্পদিন হইল তাহার বংশলোপ ঘটিয়াছে । রাঢ়ীয় কুলপঞ্জিকায় রঘুনন্দনের পুত্র রমাপতি সিদ্ধান্ত, তৎপুত্র রামনাথ ভট্টাচাৰ্য্য ও তৎপুর গোপীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তী এই কয়জনের নাম পাওয়া যায়। রঘুনন্দনের অষ্টাবিংশতিতত্ত্বের ছুইখানি টাকা আছে ;–একখানি কাশীরাম বাচস্পত্তি কৃত এবং অপর খানি শান্তিপুরনিবাসী অদ্বৈতবংশীয় রাধামোহন গোস্বামীর রচিত । রঘুনাথ (পুং ) রঘুনাং নাথ ফুভূদিত্বাং ণত্বাভাব । শ্রীরাম।

  • রঘুনাথোহপ্যগস্তোন মার্গসন্দশিতাত্মন । মহেজসা সংযুযুজে শরৎকাল হবেন্দুন " (রঘু ১৫৫৪) রঘুনাথ (রোঘোডাকাত ), বাঙ্গালার একজন প্রসিদ্ধ দম্যসর্দার। ইহার ভীম ধীর্য্যের কথা বাঙ্গালীমাত্রের হৃদয়ে জাগরকে । বালক দুৰ্দ্ধৰ্ষ হইলেই লোকে যেন “রোঘে ডাকাত" বলিয়। উপমা দিয়া থাকে। কলিকাতার উত্তর উপকণ্ঠবস্ত্রী কাশীপুর থানার ঠিক উত্তর গায় যে দ্বাদশ শিবমন্দির আছে, উস্থা রঘোর প্রতিষ্ঠিত বলিয়া প্রবাদ । রঘুনাথ, ১ আগ্রহণেষ্টি প্রয়োগরচয়িত । ২ আধানপদ্ধতি, দশ শ্রাদ্ধপদ্ধতি ও শ্রাদ্ধপদ্ধতি প্রণেতা । ৩ অশোচনিৰ্ণয়রচয়িত । ৪ কেশবার্ককৃত জাতক পদ্ধতির টক প্রণেতা। ৫ খণ্ডনভূষামণি নামক বেদান্তগ্ৰন্থরচয়িতা । ৬ থওপ্রশস্তি টীক প্রণেতা। ইনি নারায়ণের ভ্রাতুষ্পপুত্র ছিলেন । ৭ খেটতরঙ্গিণী নামী জ্যোতিগ্রস্থ রচয়িত । ৮ গরাকৃত বা গয়াসুষ্ঠানপদ্ধতি #ামক গ্রন্থপ্রণেতা। ৯ জাতিবিবেকপ্রণেত।। ১০ জ্যোতির্নির্ণয়রচয়িতা। ১১ ত্র্যম্বকীটীকাকওঁ।। ১২ দ্রব্যগুদ্ধি প্রণেতা। ১৩ ধৰ্ম্মসেতুপ্রণেতা। ১৪ পুরুষোত্তমসহস্রনাম নামক গ্রন্থের নামচঞ্জিক নামী
  • বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস ১ম ভাগ ২৯৪ পৃষ্ঠায় বংশাবলী দুঃখ ।