পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজবার [ বাঙ্গালাব রজ বারের কোল ও কুয়ি জাতির সংশ্রবে আপনদের উৎপত্তি স্বীকার করে । মানভূমবাসী রজবারদের মুখে প্রকাশ যে, তাহার বলে যে নাগপুরে একরাজার দুই পুত্র ও দুই কন্যা ছিল। জ্যেষ্ঠপুত্রের সহিত জ্যেষ্ঠ-কঙ্কার যথাশাস্ত্র বিবাহ হয়, কিন্তু কনিষ্ঠ ভ্রাতা ও ভগিনী একত্র অন্তস্থানে পলাইয়া যায়। বৃদ্ধ রাজার মৃত্যু হইলে উভয় ভ্রাতা রাজপদের প্রতিদ্বন্দ্বী হইল। অবশেষে স্থির হইল, কোন নির্দিষ্ট দিনে উভয়ের মধ্যে যে কেহ সৰ্ব্বাগ্রে রাজসভায় উপস্থিত হইবে, সেই রাজসিংহাসন লাভ করিবে। তদমুসারে সেই দিনে কনিষ্ঠভ্রাত অশ্বারোহণে স্বগৃহ হইতে নাগপুরাভিমুখে আসিতে অসিতে পথিমধ্যে একট স্বর্ণবর্ণ কর্কট দেখিতে পায়, তাহাকে ধরিবার জন্ত স্বীয় অশ্বটুকে এক বৃক্ষমূলে রজ্জ্ব বদ্ধ করিয়া স্বয়ং তদভিমুখে ধাবিত হইল। কিন্ র গমন করিলে পর চিলের চিৎকারকে স্বীয় পলায়মান অশ্বের হুেবারব অনুমান করিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইল। এইরূপে বিলম্ব হওয়ায় তাহার যথাসময়ে নাগপুরে যাওয়া ঘটিয়া উঠিল না। হতাশ্বাস হইয় গৃহে ফিরিয়া আসিল । তাহারই বংশধরগণ রঞ্জ বার নামে খ্যাতি লাভ করে । ইহাদের মধ্যে অঙ্গ কার, ছাপবার, শীকারিয়া, স্বকুলকাডু, বড়গড়া, মাঝাল তুরিয়া ও বেড়া রজবার নামে কয়ট থাক এবং ভোগত, ছাপ, ছিয়া, ডুরিহার যোগ, করহার, কাশুপ, কাটবার, থরকবার, লথোঁর, লোহারাথেঙ্গী, মাঝিয়া, মারিক, মাতবার, নাগ, ঋষি, শঙ্খক ও সিংহ নামে স্বতন্ত্ৰ ৰংশ বা গোত্র অাছে। ইহাদের মধ্যে বাল্য ও যৌবনবিবাহ প্রচলিত। বয়ঃ প্রাপ্ত প্রণয়ী যদি তাহার প্রণয়িনীকে বিবাহ করিতে স্বীকৃত হয়, তাহা হইলে বিবাহের পুৰ্ব্বে তাহাদের সহবাস নিষিদ্ধ নছে । বহু বিবাহ অবস্থাভেদে আপত্তিশূন্ত। বিধবাগণ সাঙ্গ প্রথায় দে বরকে বিবাহ করিতে পারে। গয়া ও শাহাবাদজেগাবাসী রজ বারদিগের মধ্যে পুত্রহীন বিধবাদিগের কেবলমাত্র বিবাহ হষ্টয়া থাকে। কোন কোন স্থলে এ নিয়মের ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয় । চরিত্রদোষে পরিত্যক্ত রমণীগণ ও পুনরায় বিবাহ করিতে পারে। কস্তাগণের বিবাহপ্রথা কুন্মিদিগের অনুরূপ। সিন্দুরদানই বিবাহের প্রকৃষ্ট বন্ধন । মৈথিল ও জ্যোষি বর্ণব্ৰাহ্মণগণ ইহাদের যাজকতা করে । বেহরের রজবারের গোরাইয়া, দিহবার, জগদম্ব ও নাল উপদেবতার পুজা করিয়া থাকে । ইহার শবদেহ দাহ করে ७व१ ५१कांश* निप्न थोक कब्रिञ्च। १t८क । १ीजां गणैौष्ठ प! দামোদর নদে ইহার অস্থিদান করে । २० 8 ] রজস

ইহার হিন্দুসমাজে কেয় বলিয়া গণ্য। ব্রাহ্মণের ইহাদের হস্তে জলগ্ৰহণ করেন না। যে সকল বৈষ্ণব ব্রহ্মচারী ইছাদের মন্ত্রদীক্ষা দেন এবং র্যাহার। ইহাদের পৌরোহিত্য করেন, তাহারাই কেবলমাত্র ইছাদের পৃষ্ট মিষ্টান্নাদি গ্রহণ করিয়া থাকেন। রজস (রা) রজ্যতে রজতীতি রল্জ (ভুরঞ্জিভ্যাং কিৎ। উ৭, શરચ્છ ) ইত্যমুন ১ স্ত্রীদিগের মাসে মাসে যোনি হইতে যে রক্ত নিঃস্থত হয়। পর্য্যায়—পুষ্প, আৰ্ত্তব, ঋতু, কুমুম, রজ । (শকারত্না")

  • রঞ্জিতাস্তেজসাত্বীপঃ শরীরস্থেন দেহিনাং । অব্যাপল্লী প্রসক্সেন রক্তমিত্যভিধীয়তে ॥ রসাদেব স্ক্রিয়া রক্তং রজঃসংজ্ঞং প্রবর্ততে। তদ্বর্ষাদ্বাদশাদুৰ্দ্ধং যাতি পঞ্চাশতঃ ক্ষয়ম্।”

( সুশ্রত সুত্রস্থা • ১৪ অঃ ) প্রাণীদিগের দেহস্থিত অব্যাপল্প রস ( যে রসের কোন প্রকার বিকৃতি ভাব হয় নাই ), স্বপ্রসন্নতেজ কর্তৃক রঞ্জিত হইয়। রক্ত নামে অভিহিত হয়। এই রস হইতে স্ত্রীলোকদিগের শরীরে রঞ্জঃ নামে রক্ত উৎপন্ন হয়, এই রজঃ দ্বাদশবর্ষ হইতে প্রবৃত্ত এবং পঞ্চাশ বৎসর বয়সে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়। স্ত্রীদিগের দেহে রজঃ উপচিত হইলে স্তন, গর্ভাশয় এবং যোনি ক্রমে ক্রমে বুদ্ধি হইয়া থাকে । স্ত্রীদিগের বাল্যাপগমে যখন স্তনদ্বয় পীনোন্নত ও যোনি বিবৰ্দ্ধিত হয়, তখন জরায়ুকোষ চাইতে যে পাতলা ও স্বচ্ছ রক্ত নিঃস্থত হয়, উছাকে রজঃ কহে ; চলিত কথায় ইহা স্ত্রীধৰ্ম্ম বলিয়া ব্যবহৃত। প্রতিমাসে একবার করিয়। ঐ রক্তস্রাব হয় । উহ। যদি শশরক্ত বা লাঙ্গাজল সদৃশ হয় এবং বস্থাদিতে উহার দাগ লাগিলে ধুইবার পরঙ্গণে সেই দাগের কিছুমাত্র চিহ্ন না থাকে, তাহ হইলে উহাকে নির্দোষ বলিয়া স্থির করা যায়। রোগশোকবৰ্জ্জিত পরিপুষ্টাঙ্গী স্ত্রীদিগের প্রায় দ্বাদশ বৎসর বয়ঃ ক্রম হইতেই এই রজঃপ্রবৃত্তি হইয়া থাকে এবং পঞ্চাশ বৎসরের পর উহার নিবৃত্তি হুইয়। যায়। শরীর স্বস্থ না থাকিলে পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যেও রজোনিবৃত্তি হইতে পারে । রজঃপ্রবৃত্তির প্রথমদিন হইতে ১৬ দিন পর্য্যন্ত ঋতুকাল, এই সময়ই গর্ভ গ্রহণের উপযুক্ত সময় । ১৬ দিনের পর আর তাহার গর্তগ্রন্থণশক্তি থাকে না। স্ত্রীদিগের প্রকৃতিভেদে ঋতুকালেরও অন্যথা হয় । স্ত্রীধৰ্ম্মকালে জরায়ু হইতে সচরাচর তিন দিন রজোরজ নিঃস্থত হয়। কোন কোন স্ত্রীর ৫, ৭ দিন ধরিয়৷ এই রক্ত নির্গত হইয় থাকে। রজঃপ্রবৃত্তিকালে ৩৪ দিনে সাধারণতঃ