পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রণজিৎ সিংহ [ ২১৮ ] রণজিৎ সিংহ সিংহ, বুড়সার ভগবান সিংহ, কালসিয়ার বোধসিংহ প্রভৃতি সরহিন্দ সর্দারগণের নিকট হইতে কল্পসংগ্রহপূর্বক খিলা স্ত দান করিয়াছিলেন । অত:পর গুনি কুমার কিষণসিংহের অধিকৃত নারায়ণগড় দুর্গ আ ক্রমণ ও অবরোধ করেন। এই ধুদ্ধে মহারাজেয় | বিথ্যাত সেনানী ফতেলিংছ কলিয়ান বাল, মোহনসিংহ ও দেবসিংহ নিচত হন । যুদ্ধে জয়লাভের পর, ৪০ হাজার টাক নজরাণ লইয়৷ শিখকেশরী রণজিৎ সর্দার ফতেসিংহ | আহলুবালিয়াকে নারায়ণগড়ের অধীশ্বরপদে বরণ করিয়াছিলেন। এই সময়ে তাহার সহযোগী রাহোন্‌-দুর্গপতি দীবাগ। সর্দার তারাসিংহের মৃত্যু হওয়ায় তাহার পত্নীগণ সহমরণে গমন করেন । এই সংবাদ পাইব1মাত্র রণজিৎ মৃতের ধনরত্ন ও ভূসম্পত্ত্বি লাভের প্রত্যাশায় উক্ত দুর্গাভিমুখে স্বীয় সেনাদল প্রেরণ করেন। শিখ-সেনাদলের এই নৃশংস আচরণে ক্রুদ্ধ হইয়। জনৈক বর্ষীয়সী দীবালা বিধবা রমণী সশস্ত্র। রণক্ষেরে অবতীর্ণ হুইয়াছিলেন। দুঃখের বিষয়ু প্রাচীন দুর্গ প্রাচীর অচিরে শক্ৰ কত্ত্বক ভগ্ন হওয়ায় রাহোন দুর্গ শত্রুক রক বলিত হয়। ইহার পর তিনি নোশেরা, মোরিন্দা, বহ লোলপুর, ভরতগড় ও বদলি প্রভৃতি স্থান অধিকার করেন। এই সময়ে রায়পুর, বনগ্রাম, সরহিন্দ, জীর, কোটকপূর, ধরমপুর প্রভৃতি স্থান অধিকার কালে সর্দার ফতেসিংহ, রাজা ভাগসিংহ, যশোবস্তুসিংহ; গর্ভসিংহ, কৰ্ম্মসিংহ ও দেওয়ান মাধম সিংহ প্রভৃতি তাহার যে সকল সেনানা যুদ্ধে বীরত্বের বিশেষ পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহার। জায়গীর প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এই শতদ্রুযুদ্ধের অবসানে মহারাজ রণজিৎ সিংহ মনোলীর জমিদারের নিকট হইতে ২০ হাজার, মনি-মাজ,রার গোপালসিংহের নিকট হইতে ৩৯ হাজার, রোপারের সদর হরিসিংহের নিকট হইতে ১৫ হাজার এবং দোয়াধের ভূম্যধিকারীর নিকট হইতে ৮• হাজার টাক। রাজ কর আদায় ক1রয়ছিলেন । উক্ত বর্ষের ডিসেম্বর মাসে মহারাজ রণজিৎ সিংহ লাহোরে প্রত্যাগত ইহলেন। রাণী মহতাব কুমারা তাহাকে শেৱসিংহ ও তারাসিংহ নামে স্বগৰ্ডজ দুইটী যমজ পুত্র দেখাইলে । ঐ পুত্রদ্বয় মচfতাব-কুমারীর গর্ভজাত নহে। সদাকুমারী জামাতাকে হস্তগত করিবার অভিপ্রায়ে অপরের সদ্যোজাত দুষ্টট পুত্র ক্রয় করিয়া যথাসময়ে যমজ পুত্র প্রস্বত্ত হইয়াছে বলিয়। ঘোষণা করাইয়াছিলেন । ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে রণজিৎ সিংহ পৰ্ব্বতপদ প্রান্তস্থিত পাঠানকোট ফুর্গ অধিকার করেন। অতঃপর যশ“শ্লোগু, চম্ব, ৰসোণী প্রভৃতি পাৰ্ব্বত্য রাজ্য র্তাহার করদ হইয়। আনুগত্য স্বীকার করে । মহারাজ যখন উত্তর পঞ্জাবের পাৰ্ব্বজ্য সেনাসমুহ অধিকারে ব্যাপৃত ছিলেন, সেই সময়ে দেওয়ান মাখমটাদ শওক্রর পুঞ্চপারস্থিত সর্দারদিগকে বশে আনয়নার্থ সচেষ্ট ছিলেন। তাহার। সকলেই লাহোরাধিপতি মহারাজ রণঞ্জিৎ কে আপনাদের একমাত্র অধীশ্বর এবং যুদ্ধকালে অশ্বাবোহী সেনাদল দ্বারা তাহাকে সাহায্য করিতে স্বীকৃত হইয়। অব্যাহতি লাভ করিয়াছিলেন। পৰ্ব্বতসাধু হইতে মাiময় রণজিৎ সমতল ক্ষেত্রে আসিয়া ছাউনী করিলেন এবং পরাজিত, অথবা করদ সর্দারগণকে আমন্ত্রণখুব্বক একটা মকর্তী সভা আহ্বান করিলেন। পঞ্জাবের যাবতীয় সদারের সেই সভায় উপনীত হইয় পঞ্জাবকেশী রণজিংকে আপনাদের রাজ1 বলিয়। গ্ৰহণ কfরলেন । কিন্তু শিয়ালকেটের সদার জীবন সংহ ও গঙ্গরের সাহেব সিংহ তাহার করদ হইতে অস্বীকার করায় রণজিৎ তাছাদের "ত্যের সমুচিত শাস্তু দিবার জন্ত সসৈন্তে যাত্রা করিলেন.। সাতদিন অবরোধের পর শিয়ালকোটদুর্গ তাহার হস্তগত হইল। জীবনসিংহ বন্দী হইলেন, সাহেব সিংহ পিয়ালকোটাধিপতির দুর্দশার কথা শ্রত হইয়া রণঞ্জিতের বাহিনী গুজমাতে আসিবার পুবেই স্বীয় প্রতিনিধি প্রেরণ করিয়া মহারাজের সহিত সন্ধি করিলেন । উপযুক্ত কর দির ও তাছার বগুত। স্বীকার করিয়া সাহেব সিংহ সে যাত্র অব্যাহতি পাইলেন। এপাল হইতে রণজিৎ অথনুরে গমন করেন। তথাকার সদার আলম থ? তাহাকে উপযুক্ত নজ রাণা প্রদান করিলেন । এই সময়ে স্থারণ-মিনারের ( শেখপুরার ) সর্দার শুরবেল সিংহ ও আমার সিংহ পাশ্ববর্তী রাজ্যসমুহ লুণ্ঠন কারয়। ত ওদেশবাসীকে উত্ত্যক্ত করিয়া তুগিভেtছল । এই দুই । দুবৃত্তকে দণ্ড বিধান জন্য তিনি স্বায়ু অশ্বারোহী সেনাপতি ঘেীস থাকে ৪ হাজার অশ্বারোহী সহ প্রেরণ করেন । কুমার থতৃগসিংহ নাম মাত্র এই অভিযানের নায়ক হস্থলেন। লাহোর-সৈন্ত শেখপুর দুর্গ অধিকার করিল। আমীর ও অরবেলসিংহ শৃঙ্খলাবদ্ধ হইলেন। যুদ্ধাবসানে মহারাজ এই স্থান যুবরাজ খড়গসিংহকে জায়গীর স্বরূপ দাম কঙ্কন । যুবরাজের মাতা রাণী নকাই মৃত্যুকাল পর্য্যস্ত এই দুর্গে জীবনাতিপাত করিয়াছিলেন । অতঃপর তিনি আর লাহোর নগরে গমন করেন নাই । o ইহার অনতিকাল পরেই, বৃটিশ গবমেন্টের পক্ষ হইতে এক জন উকীল মহারাজের জন্য উপহার লইয়৷ লাহোর দরবারে উপনীত হন । পঞ্জাৰপতিত্ত্ব সহিত সম্ভাব-সংস্থাপনই