পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রথযাত্রা -* *T- - গিয়াছে। এ সকলই কি বৌদ্ধপ্রভাবের নিদর্শন বলিয়া মনে করিব ? বিশেষতঃ জৈন-সম্প্রদায় কখন কোন ধৰ্ম্মনীতি বৌদ্ধগণের নিকট গ্রহণ বা শিক্ষা করিতে প্ৰস্তুত নহেন। র্তাহার যে সকল পুঞ্জা ও উৎসবাদি করিয়া আসতেছেন, তাহ অধিকাংশই তাছাদের নিজস্ব। তাহাদের মধ্যে ও পাশ্বনাথ ও মহাবীর স্বামীর রথযাত্রা ওচগিত রহিয়াছে । আমাদের বিশ্বাস, ভারতে প্রতিমাপুঞ্জ প্রচলনের সঙ্গে সঙ্গে রথযাত্রীর উৎসব প্রচলিত । পুরাবিদগণ স্থির করিয়াছেন যে, বুদ্ধনিৰ্ব্বাণের বহু পরে এমন কি, সম্রাট অশোকের সময় পৰ্য্যন্ত বৌদ্ধগণের মধ্যে বোধিসত্ত্ব ও দেবদেবীর মূৰ্ত্তিপুজা প্রচলিত হয় নাই। মহাযানদিগের অভু্যদয়ে বৌদ্ধসমাজে প্রতিমা প্রচলিত হইয়াছিল । সম্রাটু কনিষ্কের সময়ে মহাযান-মতের সূত্রপাত। নাগার্জনের প্রভাবে এই মত বিস্তৃত হয়। উক্ত কনিষ্ক নরপতি শক জাতীয় । শক বা শাকগণ সকলেই মিত্র বা স্বর্যোপাসক ছিলেন। এমন কি, কনিক্ষের বহু মুদ্রায় মিত্রপুজার প্রকৃষ্ট নিদর্শন রহিয়াছে। যখন মাকিদন-বীর আলেক্‌জান্দার ভারতে আগমন করেন, সে সময়ে তিনি এখানে বুদ্ধগতিমার অথবা তৎপ্রতিমা-পুঞ্জার কোন নিদর্শন পান নাই । সে সময়ে তিনি পঞ্চনদপ্রদেশে মিত্র ও শিবপুজার প্রভাব দেখিয়াছিলেন।* এমন কি মাকিদনবীরের পরবর্তী ও শকরাজগণের পূর্ববর্তী ভারতীয় যবনরাজগণের মুদ্রায় মিত্রপুঞ্জার চিহ্ন লক্ষিত হয়, অথচ যাবনরাজগণ যে মিত্র বা সুৰ্য্যোপাসক t ছিলেন, তাহীর বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাছাদের আগমনের বহুপুৰ্ব্ব হইতে এথানকার জনসাধারণের মধ্যে মিত্রপুঞ্জার বহুল প্রচার ছিল। প্রজাসাধারণের মনোরঞ্জনের জন্য যে ববনরাজগণ স্ব স্ব মুদ্রায় মিত্রমূৰ্ত্তি অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহাই সঙ্গত বলিয়া মনে হয়। বাস্তবিক বৌদ্ধসম্রাটু অশোকের সময় বোধগয়ায় বজ্রাসন নিৰ্ম্মিত হয় । তথায় সপ্তাখযোজিত রথে আমরা স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি দেখিতে পাই। কুৰ্ম্মপুরাণে ও ভবিষ্যপুরাণের প্রাচীনাংশে স্বৰ্য্যদেবের রথযাত্রার বিস্তৃত বিবরণ উল্লিখিত আছে। মিত্রপূজক পুৰ্ব্বতন শাক জাতির ধৰ্ম্মমত ও বিশ্বাস লইয়। ভবিষ্যপুরাণের প্রাচীনাংশ রচিত হইয়াছে। দেবতার মূৰ্ত্তি গড়িয়া পুজা স্বপ্রাচীন ভারতীয় আৰ্য্যজাতির মধ্যে প্রচলিত ছিল না। ভারতে শাকদ্বীপীয় ব্রাহ্মণসংস্রবের সহিত প্রতিমাগঠন আরম্ভ হয় । র্তাহাদেরই ষত্নে কেবল ভারত বলিয়া নহে, মধ্য এসিয়া হইতে জদুর যুরোপখও পৰ্য্যস্ত হুর্য্যের মূর্তিপূজা প্রচলিত [ २8७ ] রথযাত্র। হুয়াছিল। পুৰ্ব্বেহ বলিয়াছি, ভবিষ্যপুরাণে ভদ্রমাসে স্বৰ্যদেবের রথযাত্র-প্রসঙ্গ আছে। অদ্যাপি ভাদ্রমাসের প্রথমেই যুরোপের অন্তর্গত সিসিল দ্বীপে রথযাত্রার অনুষ্ঠান হইয়। থাকে স্বৰ্য্যদেবের রথে যেরূপ জ্যোতিশচক্র ও নবগ্রহের মুর্তি অঙ্কিত হইত, সিমিলাদ্বীপের মুবুহৎ রথেও স্বৰ্য্যচন্দ্রাদি নবগ্রহ ও জ্যোতিশচক্র অঙ্কিত হইয় থাকে। এই সিসিলীর ņqrixtq stinë) + taifnistri ( Madame Henrietta Caraciolo ) &*fail *fittési, “A colossal car is dragged by a long team of buffaloes through the StreetS. irregular and ill-paved Upon this are erected a great variety of objects, such us sun, moon, and principal planets, set in rotatory motiou, and diminishing proportionably in size as they approach the summit of the structure. This erection is in itself really impo sing ; sumptuously decorated, and put in movement in houour of her who gave birth to the God of Charity. But its functious iccall to mind the famed car of Jaggernauth, or the nefarious hecatombs of the druids.”f উক্ত বিলাতী রথযাত্র। যদি ও মেরীর উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে. উহা যে দেশ, কাল ও অবস্থায়ুযায়ী মুপ্রিাচীন সুর্য্য-রথযাত্রার রূপান্তর তাহাতে আর সন্দেহ নাই। স্বৰ্য্যরথই যে সকল রথের প্রথম, তাহা ও পুরাণে বিবৃত হইয়াছে— "পুৰ্ব্বমেব সহস্রাংশেৰ্যানহেতোমহাত্মন: । ংবৎসরস্তাবয়বৈঃ কল্পতোহস্ত রথে ময়া ॥ সৰ্ব্বেষ{স্ত রথানাং বৈ স রথ প্রথমঃ স্মৃত: ।” ( ভবিষ্যপুe.৫৫৷৫৩) এখন যেমন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা হইয় থাকে, পূৰ্ব্বে সেইরূপ ভারতীয় বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের মধ্যে কাৰ্ত্তিক মাসে শ্রীকৃষ্ণের রথযাত্রার অঙ্গুষ্ঠান হইত। বৌদ্ধপ্রভাবকালে তাহ। বিলুপ্ত হইবার উপক্রম হইয়াছিল। মহাযানসম্প্রদায়ের প্রাধান্তকালে উৎকলে মহাসমারোহে যে বুদ্ধের রথযাত্রা হুইত, হিন্দুধৰ্ম্মের পুনরভু্যদয়িকালে উৎকলবাদীর মনোরঞ্জনের জন্ত সেই সময়েই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা প্রচলিত হইল, এই জগন্নাথদেরে রথযাত্রা ক্রমে সৰ্ব্বত্র প্রচলিত হইলে শ্ৰীকৃষ্ণের রথযাত্রার বিষয় অনেকেই ভুলিয়া গেল । তবে সেই প্রাচীন বিষ্ণুরথযাত্রার রীতিপদ্ধতি এই জগন্নাথের রখযাত্রাতেও পালিত হইয়া থাকে উৎকলে চৈত্রমাসে কৰদের জাতীয় ইতিহাস, ব্রাহ্মণৰাওৰ ভাগ ৰজংশন পৃষ্ঠ ভ্রষ্টব্য। f Memoirs of Henrietta Caraciolo, p. 21.