রথযাত্রা আজও মহাসমারোহে শিবের রথযাত্রা হইয়া থাকে। তবে দেবীর রথযাত্রা এক প্রকার বিলুপ্তপ্রায়। হিমালয়ের ছুই একস্থানে দেবীর রথযাত্রার কথা শুনা যায়। নিম্নে বিভিন্ন রথযাত্রার সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদত্ত হইল :– হুর্য্যেয় রথযাত্র । ভগবান স্বৰ্য্যদেবের রথযাত্রার বিধান ভবিষ্যপুরাণে এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে :– মাঘমাসের শুরণ সপ্তমী তিথিতে ভগবান স্বৰ্য্যদেবের রথযাত্রা করিতে হয়। প্রথমে চতুর্থী তিথিতে অযাচিতরূপে ভক্ষণ করিয়া শুক্লা পঞ্চমীর দিন সংযত হইয়। থাকিবে, পরে ষষ্ঠীতে রাত্রিতে ভোজন বিধেয় এবং সপ্তমী তিথিতে উপবাদী থাকিয়া ভগবান স্বৰ্য্যদেবকে রথে আরোহণ করা তে হয়। ভগবান স্বৰ্য্যদেবকে রথারোহণ করাহবার পূৰ্ব্বে রথের সম্মুখে অগ্নিকার্য ( বাঙ্গী ও নেড় পোড়ান প্রভৃতি ) করিতে হয়। রাত্রিকালে স্বৰ্য্যদেবকে রথে আরোহণ করাইয়া সমস্ত রাত্রি নানা প্রকার উৎসবে রাত্ৰিজাগরণ করা আবশুক । পরে অষ্টমী তিথিতে প্রাতঃকালে নানাবিধ বাদ্যাদি উৎসব করিয়া রথভ্রমণ করান বিধেয় । স্বৰ্য্যদেবের রথ সংবৎসরের অবয়ৰ দ্বারা কল্পনা করিতে ছয় । রথচক্রের তিনটী নাভি হইবে, এই নাভিত্রয় ত্রিকালস্থানীয় । ইহার পাচট আর পর্ব প্রদেশ ও ছয় ঋতুনেমী, রথবেদী উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণ, ই ধুমুহূৰ্ত্ত, শমী কাল, কাষ্ঠ সকল কোণস্থানীয়, দও ক্ষণ স্বরূপ, কর্ষপ্রদেশ নিমেষ, ঈশাদণ্ড লব, বরূথ প্রদেশ রারি, উৰ্দ্ধ প্রতিষ্ঠিত ধ্বজ ধৰ্ম্ম স্বরূপ, যুগ এবং অক্ষকোটি দুই ঋতু ইত্যাদিরূপে সংবৎসর কল্পনায় রথ প্রস্তুত করিতে হয়। ইহাতে জ্যোতি-চক্রোক্ত সমুদায় নক্ষত্রাদি সমাবেশ করা বিধেয় ॥* এই রথ কাঞ্চন, রৌপ্য বা দৃঢ় দারুনিৰ্ম্মিত । ইহার অক্ষ যুগ ও চক্র অতিশয় দৃঢ় হইবে।+ এই রথে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও শিবাদি দেবতা যথাবিধানে স্থাপন
- "সংবৎসরস্তাবনবৈঃ কল্পিতানি যথাক্রমং।
মাভাস্তিস্রস্তু চক্রস্ত ত্রয় কালা: প্রকীৰ্ত্তিতাঃ ॥ আয়া: পঞ্চ পৰ্ব্বদেশ নেম্যঃ ষড়ঋতৰ: পূতাঃ । স্বধবেী স্বতে তস্ত অয়নে দক্ষিণোত্তরে। মুহূৰ্ত্ত ইববস্তস্ত শম্যশ্চাস্য কলাঃ য়ুক্তা: | তস্য কাঠা: স্মৃত: কোণী অক্ষদও স্বণt: পূতাঃ ॥ নিমেধাস্তস্য কর্ষীঃ স্বরীশ দ্বও লবা যুতঃ। রাত্রিধরখো ধর্শ্বোহস্য ধ্বজ উৰ্দ্ধং প্রতিষ্ঠিত: "(ভবিষ্যপু• esঅ•) + “কাঞ্চনো বাখ রৌপ্যে বা দৃঢ়দারুময়োংপি বা । DDBBBBBBB BB BBBBS SBBBBBS CC CS [ २8१ ] রথযাত্রী করিয়া ব্লথ চালনা করিতে হয়। প্রজাদিগের মঙ্গলের জ } প্রতিবৎসরই এই রথযাত্র! অবহু কৰ্ত্তব্য। রথে সুর্য্য ও দেবগণের প্রতিমা স্থাপন করিয়া হরিদ্বর্গ মুলক্ষণসম্পন্ন অশ্ব সকল নিয়োজিত করিতে হুইবে ।* রথে অশ্ব বা তাহার অভাবে বলীবর্দ ও নিয়োজিপ্ত করিতে পারা যায়। রথের উভয় পার্শ্বে সুৰ্য্যের দুই পত্নী স্থাপিত করিতে হইবে, দক্ষিণ পাশ্বে নিকুভা পত্নী ও বাম পাশ্বে রাজ্ঞী। অন্ত উভয় পাশ্বে রুদ্র দেবকে ও স্থাপন করিতে হয়। ব্রহ্মকর ভৌম, উপরি দেশে কুবর, পৃষ্ঠদেশে গরুড় । শ্বেত আতপত্র ও সুবর্ণদওও স্থাপন করিতে হয়। সুয্যের পার্ষদ পিঙ্গল নামক লেখক ও দ্বারপাল ও থাকিবে । এই রথের ধবঙ্গ সুবর্ণবিন্দু ও মণি মুকাদি দ্বারা চিতি করিতে হইবে। ইহাতে ইন্দ্রধমুর ন্যায় নানাবর্ণ প্রতিফলিত হইবে। এই রথের ধবজোপরি অরুণ দেবকে অধিষ্ঠিত করিতে হয়। স্বৰ্য্যদেবের এই রথ ব্ৰাহ্মণ বহন করিবেন, ক্ষত্ৰিয় বৈশু ও বহন করিতে পারে, কিন্তু কখনও শুদ্র বহন করিবে না : যাহারা অস্ত দেবতাভক্ত এবং কুক্রিয়াসক্ত, তাহার কথস ও রথ ৰহন করিবে না। এই রথ বহন করিতে হইলে উপবাস করিতে হয়। পুৰ্ব্বদ্বার দিয়া প্রথমে এই রথ লইয়া যাইতে হয়, রথ লইয়া গিয়া সেই স্থানে এক দিন থাকিতে হয় । এই স্থানে থাকিয় সেই দিন নানাবিধ লৎকৰ্ম্ম, বেদপাঠ, ব্রাহ্মণভোজন ও দেবপূজাদি দ্বারা ঐ দিন অতিবাহিত করিতে হয় এবং সুর্য, গ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি দেবগণের পুঞ্জ অবগুকৰ্ত্তব্য। ধীরে ধীরে স্বৰ্য্যদেবের রথ ভ্রমণ করা হতে হয় । ভবিষ্যপুরাণে ৫৫ অধ্যায় হইত্তে ৬২ অধ্যায় পৰ্য্যস্ত স্বৰ্য্যরথযাত্রার বিবরণ বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হইয়াছে, এখানে সংক্ষেপে বর্ণিত হইল ।
- "আরোপ্য প্রতিমাং যত্নীদ্বযোজয়েদবাজিন: শুভান ।
হরিরক্ষণসম্পন্নান হুমুখান বশবৰ্ত্তিনঃ ” ( ভবিষ্যপু• e৭৬৩) + “স্থানাৎ প্রচালি বৈ রত্র শ্লথমারোপয়েচ্ছলৈ । রাজী চ নিকুম্ভ। রুদ্রভার্য্যে তস্য মহাত্মনঃ। শনৈরারোপয়েদ রঞ্জ উভয়োঃ পাশ্বয়ে রখে। নিকুভাং দক্ষিণে পার্শ্বে রাষ্ট্ৰীং চাপুত্তরে তখী । স্বাধেব ব্রাহ্মণে তম্মিল দিবোঁ ভেীমশ্চ পাশ্বয়োঃ । ব্ৰহ্মকল্পগুধ তেম; কুবরস্যেপরিস্থিত । গরুডুং পৃষ্ঠতশ্চাস্য বৰ্ত্তমানং প্রকল্পয়েৎ । আতপত্রং তথা শ্বেতং স্বৰ্গদগুমনোপমা ॥" (ভবিধ্যপু• • • অ-) “স রখে দেবদেবস্য বেঢ়িবে ব্রাহ্মণৈঃ সদা । গত্ৰিয়ৈশ্চাপি বৈথৈশ নতু পুত্ৰৈঃ কদাচন।" (ভবিষ্যপু• •অ• )
