পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসায়ন [ ২৮৯ ] রসায়ন ইহাকে খেতকাপোঠী কহে। দ্বিপত্রী, মূলজাতা, অরুণবর্ণ, কৃষ্ণবর্ণ-মণ্ডলবিশিষ্ট, দুই জয়ত্ত্বি প্রমাণ দীর্ঘ ও গোনসের আকৃতিবিশিষ্ট হইলে তাছাকে গোনসী ; লক্ষীয়, রোমযুক্ত, মৃথ্বী ও ইক্ষুরসের স্থায় রসবিশিষ্ট হইলে তাহাকে কৃষ্ণকাপোতী ; একপত্র, মহাবীর্য , অঞ্জন প্রভা, কন্দজাত এবং শ্বেতকাপো তীতে সংস্থিত। হইলে তাহাকে ছত্রা ও অতিচ্ছত্রা কহে ; এই উভয়েরই লক্ষণ এক। ইহাদিগের স্বারা জরা ও মৃত্যু নিবারিত হয়। ময়ূরের পালকের স্তায় মনোহর দ্বাদশট | পত্রবিশিষ্ট, কনজাভ ও স্বর্ণবর্ণ ক্ষীরবিশিষ্ট হইলে ভtহাকে কন্ত ; দ্বিপত্রী, হস্তিকৰ্ণ, পলাশের স্কারপত্র, প্রচুর ক্ষীরবিশিষ্ট ও গঙ্গাকৃতি কনা হইলে তাছাকে করেণু ; আজার স্তনের কায় কনা, সগীর, চন্দ্র বা শখের স্তায় শ্বেত অথচ পাণ্ডুর এবং ক্ষুদ্র বুক্ষের মাকুতিবিশিষ্ট হইলে তাহাকে অজা ; শ্বেতবর্ণ, বিচিত্র পুষ্পবিশিষ্ট এবং কাকাদনার স্তায় ক্ষুদ্র বৃক্ষ হইলে তাহাকে চক্রক কহে। আদিত্যপর্ণিনী—মূলবিশিষ্ট, কোমল, রক্তবর্ণ-পঞ্চপত্রবিশিষ্ট ও সৰ্ব্বদা স্বৰ্য্যের অমুবৰ্ত্তিনী অর্থাৎ যে দিকে যখন সুর্য্য থাকেন, তখন সেই দিকে নত থাকে। কনকের অাভাবিশিষ্ট, সগীর ও দেখিতে পদ্মিনীর স্তায় এবং বর্ষার অপগমে জন্মে ও চতুদিকে প্রসারিত হয়, ইহাকে ব্ৰহ্মমুবর্চল কছে । অরত্বি প্রমাণ বৃক্ষ, দ্বি অঙ্গুল পরিমিত পত্র, নীলোৎপল সদৃশ পুষ্প ও অল্পনসল্লিভ ফল ইহাকে শ্রাবণী ; এই সকল লক্ষণযুক্ত, কনক বর্ণবিশিষ্ট ও পাণ্ডুবর্ণ হইলে মহাশ্রাবণী । গোলোমী ও আজলোমী—রোমবিশিষ্ট ও কন্দসভূত। বেগবতী মূলে জন্মে, হংসপদী লতার ন্যায় বিচ্ছিন্নপত্র, অথবা সৰ্ব্বতোভাবে শঙ্খপুষ্পীর তুল্য অতিশয় বেগবিশিষ্ট ও সুপনির্মোক সদৃশ ; ইহা বর্ষার অন্তে জন্মে। এই রসায়ন ওষধিসমূহ অক্তি পবিত্রভাবে মন্ত্র পাঠ করিয়া छूजिप्ङ इग्न । भङ पथl -মহেশ্রীরামকৃষ্ণtণাং ভ্রাঙ্কণানাং গবামপি । তপস তেজসা বাপি প্রশীমাধবং শিবার বৈ ৷” ( সুশ্রত কল্পস্থাe ৩১ অe ) শ্রদ্ধাহীন, অলস, কৃতঘ্ন ও পাপকারী প্রভৃতি ব্যক্তি এই সকল ঔষধ দেখিতে পায় না । দেৰাম্বন্দ নামক হ্রদে ও সিন্ধু নামক মহাহুদে, বর্ষার অস্তে ও মধ্যে ব্ৰহ্মমুবর্চল পাওয়া যায়। উক্ত দুই প্রদেশে হেমস্তের শেষে আদিত্যপণিনী এবং বর্ষার প্রারস্তে গোনসী পাওয়৷ স্বায় । কাশ্মীর প্রদেশে ক্ষুদ্রমালগ নামক দিব্য সরোবরে করেণু, ছত্র, অভিছল, গোলোনী, অঙ্গলোমী ও মহাশ্রাণী প্রাপ্ত হওয়া যায় । এইস্থলে বসন্তকালে কৃষ্ণবর্ণ নামে গোনসী ও XVI 3 ~ দেখিতে পাওয়া যায়। কৌশিকী নদীর পারে পূর্বদিকে তিন যোঞ্জন ভূমি বঙ্গীক ব্যাপ্ত । সেই ৰত্মাকের উপরিভাগে শ্বেতকাপোর্তা জন্মে। মলয় ও নললেতৃ নামক পৰ্ব্বত্তে বেগবতী নামক ওষধি জন্মে। কাৰ্ত্তিক্ষী পৌর্ণমালী তিথিতে উপবাস কaিয়া এই রসায়ন সেবন করা বিধেয় । ( সুশ্ৰুতকল্পস্থা • ২৯-৩১ অe ) ভাবপ্রকাশে ইহার বিষয় এইরূপ লিখিত আছে—মধুর সহিত বংশলোচন বা সৈন্ধনের সঙ্কিত পিপ্পল অথবা চিনির সহিত ত্রিফলা সেবন করিলে রসায়ন হয় । অৰ্দ্ধপোয় রক্তপুনর্নবা পেষণ করিয়া দুগ্ধের সহিত ১৫ দিন পান করিলে বৃদ্ধ ব্যক্তি ও তরুণ বয়স্কের স্তায় হয়। ভৃঙ্গরাজের স্বরস মুখায় সক্তি এক মাস পান করিয়া পরে ফুগ্ধপান করিলে ৰল বীৰ্য্যসম্পন্ন হইয়া এক শত বৎসর জীবিত থাকে। শতমূলী, মুণ্ডারী, গুলঞ্চ, হস্তিকর্ণপলাশ এবং তালমুলী এই সকল সমতাগে পেষণ করিয়া দ্বত ও মধুর সহিত লেহন করিলে মৃত্যুপথাভিমুখী মনুষ ও বলবীৰ্য্যসম্পন্ন হয় এবং দেবতার দ্যায় শরীরের দীপ্তি ও অত্যন্ত বুদ্ধি বুদ্ধি হইয় থাকে। পিত্তাধিক্য ব্যক্তি অশ্বগন্ধাচুর্ণ দুগ্ধের সহিত, বাতপিত্তাধিক্য ব্যক্তি ঘুতের সহিত, বা তাধিক্য তৈলের সহিত এবং বাতকফাধিক্য উষ্ণ জলের সহিত পনর দিন কাল সেবন করিলে বল ও বীর্য্য বুদ্ধি হয় এবং জলসিঞ্চন দ্বারা স্বেরূপ শস্ত বৃদ্ধি হয়, তদ্রুপ শরীর পরিবদ্ধিত হইয় থাকে। লৌহ অৰ্দ্ধপোয়, গুগগুলু দেড় পোয়, ত্রিফল ১ সের, এই সকল চূৰ্ণ একত্র মিলিত করিয়া ২ তোলা পরিমাণে লেহন করিলে দীর্ঘায়ু লাভ ও দেবতার স্তায় কাস্তি হইয়া থাকে। “ন কেবলং দীর্ঘামায়ুরুতে রসায়নং যে বিবিধং নিষেবতে। গভং স দেবধিনিষেবিতং শুভং প্ৰপদ্যতে ব্ৰহ্ম তথৈব চাক্ষয়ম্ ॥* ( ভাব প্রe ) ধিনি বিবিধ রসায়ন সেবন করেন, তিনি যে কেবল দীর্ঘায়ু লাভ করেন, তাছা নহে, পরিণামে দেবধিনিষেৰিত অক্ষর ব্রহ্মপদকে ও লাভ করিয়া থাকেন । ভৈষজ্যরত্নাবলীতে রসায়নের বিষয় এইরূপ বর্ণিত্ত হইয়াছে। অন্নাদির পরিপাকাস্তে একটা হরীতকী, আহারের পূৰ্ব্বে ২ট বহেড়া এবং ভোজনাস্তে ৪টা আমলকী স্বত্ত ও মধুর সহিত ভক্ষণ করিলে রসায়নক্রিয়া সাধিত হয়। এই ত্রিফল রসায়ন এক বৎসর সেবন করিলে জর ও ব্যাধি দূরীভূত এবং শতবৎসর পরমায়ু হয়। একমাস যথাযোগ্য মাত্রায় ভৃঙ্গরাজের রস ও উপযুক্ত পরিমাণে দুগ্ধ পান করিলে বল, बर्न ७ श्राष्ट्रः ३कि इन । इ१ गश् भूगडूक्लिब ब्रन, शडेमधू