পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাগ [ ৩৩৫ ) রাগ সঞ্চারী-স্তারী, আরোধী ও অবরোহী এই তিনের ংমিশ্রণে স্বরসঞ্চারকে সঞ্চাল্পী বলে । রাগাদিতে প্রযুক্ত-স্বর সকলের প্রকারভেদে স্থায়ী আদির প্তায় গ্রহ, স্থাল ও অংশ এই তিনটি নামান্তর নির্দিষ্ট আছে । গ্রহ--যে স্বর গীতাদির প্রথমেই স্থাপিত হয়, তাহাকে গ্ৰছ স্বর বলে । দ্যাল-ষে স্বরে গীতাদির সমাপ্তি হয়, তাহাকে ন্যাস স্বয় কহে । * অংশ-যে স্বর রাগাদিতে বহুলভাবে প্রযুক্ত হয় অর্থাৎ যে স্বর ব্যতিরেকে রাগের মূৰ্ত্তি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায় না, হিন্দুস্থানীরা যাহাকে জাম বলে, তাহার নাম অংশ (২) অঙ্গ । রাগ সমুদায়ের বিশেষ চারিটি অঙ্গ আছে, যথা—রাগাঙ্গ ভাষাঙ্গ, ক্রিয়াঙ্গ ও উপাঙ্গ । রাগাঙ্গ--রাগের छ्ॉप्रांप्रांt:Tाग्न রাগাঙ্গ বলে । ভাষাঙ্গ— ভাষার ছায়া মাত্র আশ্রয় করার নামই ভাষাঙ্গ । ক্রিয়াঙ্গ~~রাগাদির গানকরণেtৎসাহকে ক্রিয়াঙ্গ বলা যায় । উপাঙ্গ-রাগাঙ্গ, ভাষাঙ্গ ও ক্রিয়াঙ্গ এই তিনের অতি সামান্ত মাত্র অমুকরণ করাকে উপাঙ্গ বলে ॥৩ রাগের প্রক{য় । রাগাদি গানসময়ে কাণ্ডারল বিশেষ অবিশু ক । তার স্থানে অর্থাৎ অতি উচ্চ স্বরোচ্চারণে শাস্ত্রত এবং কৌশলপুৰ্ব্বক বিবিধ গমক অর্থাৎ স্বরকম্পন দ্বার রাগাদিকে বিভূষিত ক স্নাকে কাণ্ডারলা বলে । আমঠু করণ করাকে (২) “গানক্রিয়োচ্যতে বর্ণ: স চতুধর্ণ নিরূপিতঃ । স্থায়ারোহ্যবরোহী চ সঞ্চারী ত্বথ লক্ষণম্ ॥ স্থিত্ব! স্থিত্ব প্রয়োগ: স্যাদেকৈকস্ত স্বরস্য যঃ ! স্থায়ী বর্ণ: স বিজ্ঞেয়: পরাবস্বর্থনামকে ॥ যত্রেপিবিশ্বতে রাগঃ শ্বরঃ স্থায়ী স কথাতে । এতৎ সম্মিশ্রণাদবর্ণ সঞ্চারী পরিষ্কীৰ্ত্তিতঃ ॥ ধত্রেীপবিষ্ঠতে রাগঃ স্বল্প: স্থায়ী স কথাতে ॥ গীতাদেী স্থাপিতো ধন্থ স গ্রহঃ স্বর উচ্যতে । তাসম্বরস্ত বিজ্ঞয়াে যন্ত গীতসমাপী। বহুলত্বং প্রয়োগেষু স চাংশস্বর উচ্যতে।" (সঙ্গীতদর্পণ ১৬১-১৬৩) ( ৩ ) “রাগচ্ছায়ামুকায়িত্বাত্রাগাঙ্গমিতি কথ্যতে । তাম্বাচ্ছায়াশ্রিত যেন ভাষাঙ্গং তেন হেতুন । করশোৎসাহসংযুক্তং ক্রিয়াঙ্গং তেন হেতুন ! কিঞ্চিচ্ছায়ালুকায়িত্বাদুপাঞ্জমিস্তি কথাতে " সঙ্গীক্তজপর্ণে রাগীধ্যায়ে ২৯৩ । o মভঙ্গের মতে রাগ সমুদায়—শুদ্ধ, ছায়ালগ ও সঙ্কীর্ণভেদে তিন প্রকার হইয় থাকে । । শুদ্ধ-রাগ সকল শাস্ত্রোক্ত নিয়মে ধিগুদ্ধভাবে অর্থাৎ অপর কোন রাগের আশ্রয়-ব্যতিরেকে এক একটি পৃথক পৃথক্ ভাবে গেল্প হইলে তাহাদিগকে শুদ্ধ রাগ ৰলে । ছায়ালগ—যে সকল রাগে অন্ত কোন রাগের ছায়া লক্ষিত रुग्न, डांश्ॉनिष्*द्र नांभ झोंब्रांण१ ।। সঙ্কীর্ণ—যে যে রাগে বহুরাগের সংমিশ্রণ থাকে, তাহার সঙ্কীর্ণ নামে অভিহিত হয় । এই ত্ৰিবিধ রাগই আবার ঔড়ব, ষাড়ব ও সম্পূর্ণ এই তিন প্রকারে বিভক্ত হইয় থাকে । ঔড়ব—ষে সমস্ত রাগে ষড় জাদি সপ্তশ্বরের মধ্যে পাঁচটা মাত্র ব্যবহৃত হয়, তাহাদিগের নাম ঔড়ব । ষাড়ব—ছয় স্বরে গেম রাগ সমুদায়ই ঘাড়ব নামে অভিহিত হইয় থাকে । সম্পূর্ণ—যে সকল বড় জাদি সপ্ত স্বরেরই প্রয়োগ হয়, তাহার সম্পূর্ণ রাগমধ্যে পরিগণনীয় । রাগোৎপত্তি। সকল সঙ্গীতশাস্ত্রমতেই মহাদেব ও পাৰ্ব্বতী এই উভয় দেব দেবীর সংযোগে রাগের উৎপত্তি হইয়াছে। মহাদেবের পাচ মুখ হইতে পাচটি ও ভগবতীয় মুখ হইতে একটি, এই ছয়টি রাগ প্রথম উৎপন্ন হয় । দেবদেব মহাদেবের সদ্যেtঞ্জাত মুখ হইতে শ্ৰী, বামদেব মুখ হইতে বসন্ত, অঘোর মুখ হইতে ভৈরব, তৎপুরুয মুখ হইতে পঞ্চম, ও ঈশান মুখ হইতে মেঘ, এই পাঁচটি এবং গিরিজার মুখ হইতে নট্রনারায়ণ এই ছয়টি রাগের উৎপত্তি হয় । কোন সময়ে জগদম্ব মহাদেবকে বলেন,—হে দেব ! যদি আমার প্রতি আপনি প্রসন্ন হইয়া থাকেন, তাহা হইলে অমুগ্রহ করিয়া বলুন-কাহার রাগ এবং কাহারাই বা রাগিণী । সেই সকল রাগরাগিণীর মধ্যে কোন কোনটি কোন কোন ঋতুতে ও দিবসের কোন কোন সময়ে গান করা বিধেয় এবং তাহাদিগের স্বরবিদ্যাস ও মূৰ্ত্তিই বা কি প্রকার ? মহাদেব ভগবতীর প্রশ্নের উত্তরে বলিয়াছিলেন যে, ঐ, বসন্ত, ভৈরব, পঞ্চম, মেঘ ও নট্রনারায়ণ এই ছয়টি রাগও ইহায় পুরুষ বলিয়া বিখ্যাত এবং প্রত্যেকের যে, ছয়টি করিয়া স্ত্রী কল্পিত হইয়াছে তাহারাই রাগিণী নামে প্রসিদ্ধ । মালঐ, ত্রিবণী, গোরা, কেদার, মধুমাধবী ও পাছাড়িকী এই ছয়টি ত্রয় ; দেশী, দেবকিরী,বয়ট, তোড়িকা,ললিত ও ছিন্দোলী এই ছয়টি বসন্তের; ভৈরবী, গুঙ্গরী, রামকিল্পী, গুণকি রী, বাঙ্গালী, ও সৈন্ধবী