পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজগৃহ নয়টর মধ্যে পৈভারের পাদদেশে সপ্তর্ষিকুণ্ডের দক্ষিণপশ্চিমে ৰপ্তমান বৈজনাথ সিংহের বাটীর নিম্নে মার্কণ্ডেয় ও ব্যাসকুও। আর সাতটা কুও এক বেষ্টিনীর মধ্যে। বাবু সীতারাম সপ্তর্বিকুণ্ডের চারিদিকে গ্রাচীয় দিয়া অতি সুন্দররূপে গাথাইয়া দিয়াছেন। রাজগৃহমাছাত্ম্যে লিখিত আছে যে মার্কণ্ডেয়কুণ্ডের দক্ষিণে কামাক্ষাদেবী। এখন কিন্তু আর এ দেবীকে দেখা যায় না । ৯ পঞ্চনদ-ব্ৰহ্মকুণ্ডের পুৰ্ব্বে এক প্রদক্ষিণার মধ্যে এই ধারা, এখন কাশীধারী নামে খ্যাত । এই পঞ্চনদ কাশীর পঞ্চনদ তুল্য পুণ্যতোয় । উপরোক্ত প্রধান তীর্থগুলি ব্যতীত রাজগৃহমাহাষ্ম্যে আরও বহু তীর্থের উল্লেখ আছে। যথা— প্রাচ সরস্বতীর পুৰ্ব্বে গণেশ, সোম, স্বৰ্য্য ও সীতাক্টার্থ রত্নাচল, তন্মধ্যে ছাটকেশ, ঋষ্যশৃঙ্গর্তীর্থ, এখানে চঞ্জেশ্বর শিব, ঋষ্যশৃঙ্গের পূৰ্ব্বে গৃএগীতাৰ্থ ও নির্জরেশ্বর, ঋষ্যশৃঙ্গের পূৰ্ব্বদক্ষিণে পৰ্ব্বতাগ্রে গণেশ ও ব্রহ্মকুও ; গিরিব্রজশৈলে বৈকুণ্ঠপদ, তাছার উত্তরে কণ্ঠেশ্বর ; ব্রহ্মকুণ্ডের দক্ষিণে কেদারকুও ও শেষনাগ, কেদারকুণ্ডের দক্ষিণে কিছু দুর আসিলে বিষ্ণুপদ, কেদারকুণ্ডের নিকট বৈভারশৈলে সন্ধ্যাদেবী, সন্ধ্যাদেবীর ১ ক্রোশ পশ্চিমে শোমেশ্বর, ব্ৰহ্মকুণ্ডের দক্ষিণে ও বাণগঙ্গার পশ্চিমে মশিনাগ, মণিনাগের নিকট গৌতমবন, অহল্যাহ্রদ ও গঙ্গোদ্ভেদ, মণিনাগের অৰ্দ্ধক্রোশ পুৰ্ব্বদক্ষিণে ব্যাসাশ্রম, ব্যাসাশ্রমের দক্ষিণে ধেীতপাপ ও তপোবন, ধৌতপাপবনে ত্রিকোটশ্বর, তাছার দক্ষিণে অগ্নিউীথ, অগ্নিতার্থের পশ্চিমে বাণগঙ্গা, মণিনাগের পশ্চিমে কৌশিকাশ্রম ও তপোধন, মণিনাগের উত্তরে কথষ্ঠীর্থ, শিবনদী হইতে কৌশিকাশ্ৰম পৰ্য্যন্ত ২য় অগ্নিউথ ; তাছার কিছু দূরে সীতাকুটী, এখানে সীতাকাননে শক্রতীর্থ, হরনদী, বহুল ও গোমতীতীর্থ, জাম্ববতীনদী এবং সাঁতাহদ । বাহুল্যভয়ে সবিস্তার মাহাত্ম্য লিখিত হইল না । রাজগৃহের পাণ্ডার ब्रtअशृहभांशग्रा शंष्ठ शहे ब्रl उँीर्थयfयौ८क श्राछ s क्षै मक ल उँौर्ष cमथाईब्र थां८क । রাজগৃহমাহাত্ম্যবর্ণিত উক্ত তীর্থসমূহ ব্যতীত গণেশকুণ্ডের উত্তরে রামসীতাকুণ্ড ( রাজ বিজয়েশ সিংহ এই কুণ্ড বাধাইয়। দেন, তাছ। এখানকার উৎকীর্ণ লিপিতে বর্ণিত আছে ), এবং স্বর্যাকুণ্ডের নিকট স্বৰ্য্য ও নবগ্রহের মূৰ্ত্তি আছে। সীতাকুণ্ডের উত্তরে একট নূতন শিবমন্দিরের সম্মুখে ধানীবুদ্ধ, তাহার উত্তরে পাণ্ডারা একট প্রাচীন শিবলিঙ্গ দেখাছম থাকেন, তাছা দেখিলেই কোন বুদ্ধমূৰ্ত্তির উত্তমাঙ্গ বলিয়া মনে করিতে হইৰে। তাছারই সন্মুখে বটবৃক্ষমূলে বtধান পাথরের উপর u११६ [ ৩৬০ ] রাজগেহ অৰ্দ্ধাঙ্গ বুদ্ধমুর্কি, কেদারকুণ্ডের নিকট যে বিষ্ণুপদ আছে, তাহ। দেখিলেই বুদ্ধপদ বলিয়। মনে হইবে । গণেশকুণ্ডের নিকট ও পাণ্ডার বিষ্ণুপদ দেখাইয় দেন, কিন্তু এই বিষ্ণুপদে “সং ৮৬৪ । আষাঢ় বধি ১২ সোমবার প্রবুদ্ধচরণযুগল” হত্যাদি খোদিত থাকায় উহা বুদ্ধপদ বলিয়া গ্রহণ করিতে আর কোন আপত্তি থাকে না । পূৰ্ব্বেই লিথিয়াছি, খুষ্টীয় ৭ম শতাকে লিখিত চীনপরিব্ৰাজকের বর্ণনায় অশোকরাজ রাজগৃহ সহস্র ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন । রাজগৃহমহোস্থ্যেও দেখা যাইতেছে যে পুরাকালে বসু নামে এক নৃপতি রাজগৃহবনে অশ্বমেধযজ্ঞ করেন। তদুপলক্ষে তিনি ৭৫০০ দাক্ষিণাত্য ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্ৰণ করিয়৷ আনেন। যজ্ঞাস্তে তিনি সেই সকল ব্রাহ্মণের মধ্যে বৎস, উপমস্থ্য, কৌণ্ডিন্য, গর্গ, হারিত, গৌতম, শাগুিল্য, ভরদ্বাজ, কৌশিক, কাশুপ, বশিষ্ঠ, বাৎস্ত, সাবর্ণি ও পরাশর এই চতুর্দশ গোত্রজ ঋগ্বেদী আশ্বলায়নশাখাধ্যায়ী ব্রাহ্মণকে রাজগৃহপুর শাসন ও অত্ৰিগোত্রায়দিগকে গিরিব্রজে বৈকুণ্ঠপদের নিকট ব্রাহ্মণশাসন দক্ষিণস্বরূপ দান করিয়াছিলেন । (রাজগৃহমাe ২ অ: ) বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয় এখন ও রাজগৃহে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণের বাস বলিলে অত্যুক্তি হয় না, অপর জাতীয় অধিবাসীর সংখ্যা অতি সামান্ত । মুসলমামপ্রভাব। মহম্মদ-ই-বখতিয়ারের বিহার-বিজয়ের পর হষ্টতেই এখানে মুসলমান প্রভাব আরম্ভ । মুখশ্বাস্থ্যময় রাজগৃষ্ঠের অবস্থান লক্ষ্য করিয়৷ বহু মুসলমান সাধু আসিয়া এখানে বাস করিতে থাকেন, তন্মধ্যে পার মকৃষ্ণু মশাহের নাম বিহার অঞ্চলে প্রসিদ্ধ। মক্ছুম্শ ঋষ্যশৃঙ্গকুণ্ডে আসিয়া বাস করেন, এখানে তিনি নানা বুজ রুকী দেখাইয়া সাধারণের ভক্তি আকষণ করেন। বিপুলাচলের পাদদেশে ঋষ্যশৃঙ্গ তীর্থ তখন হইতে মক্‌দুমকুণ্ড বলিয়। গণ্য হইল । অস্কাপ বহু দুর দেশাস্তর হইতে ভক্ত মুসলমানগণ মক্ছুমকুও দর্শনে আসিয়া থাকেন। এখানকার প্রস্তরময় কুণ্ডাবাস অতি মনোরম ও চিত্তাকর্ষক । এখানে একটা গুপ্ত ও দুইট প্রকট উঞ্চপ্রস্রবণ আছে। রাজগৃহের জলবায়ু অতি মনোরম ৷ স্বাস্থ্যাম্বেষী ও নানাবিধ রোগগ্রস্ত ব্যক্তি এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণসমূহে স্নান করিতে আসেন । গুন ধায়, এখানকার প্রস্রবণের গরম জলে স্নান করিয়া অনেকের অসাধ্য রোগ সারিয়া গিয়াছে । রাজগৃহক (ত্রি) রাজগৃহসম্বন্ধীয়। রাজগেহ (ল্পী) রাজভবন।