পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७१¢ ] রাজযক্ষিণ শ্বাস, মলভেদ, অরুচি, পাশ্বশূল, স্বরভঙ্গ ও অত্যন্ত সন্তাপ এই একাদশ রূপান্বিত রাজযক্ষ্ম। উৎপন্ন হয়। শুক্র ও ওজঃ পদার্থের ক্ষয়হেতু রাজযক্ষ্মা প্রাণের ক্ষয়কারক হইয়া থাকে। বিরুদ্ধ ভোজনহেতু রোগোৎপত্তি—ৰিবিধ প্রকার বিরুদ্ধ অন্নপানসেবন হেতু বাতাদি দোষত্রয় কুপিত হইয়। নিম্নোক্ত লক্ষণযুক্ত রাজযক্ষ্মরোগ উপস্থিত করে। প্রতিষ্ঠায়, কফনিষ্ঠীবন, কাপ, বমি, অরুচি, জয়, অংদবেদনা, রক্তবমন, পাশ্বশূল, শির:শুল ও স্বরভেদ এই সকল রূপ যথাক্রমে কফ, পিত্ত ও বায়ু দ্বারা হইয় থাকে। বিষমভাবে বিবিধ অন্নপান ভোজন cरु ठु नांडानि ८मारुGब्र 8दरुमा ७aांसं श्झेब्रा ब्रख्ामि १डूद्र মার্গ সকল রুদ্ধ হইলে ধাতু সকল পুষ্ট হইতে পারে না, অতএব ঐ ভয়ঙ্কর রোগ উপস্থিত হইয়া থাকে। রাজযক্ষার পুর্বরূপ—প্রতিষ্ঠায়, দৌৰ্ব্বল্য, অদোষ বিষয়ে দোষদর্শন, স্বশরীরে নিন্দিত রূপদশন, ঘৃণাশীলত্ব, ভোজনে পটুত্ব অথচ বলমাংসক্ষয়, স্ত্ৰীসন্তোগ, মস্তপান ও মাংসভোজনে অতিশয় ইচ্ছা, অবগুণ্ঠনে অর্থাৎ সুন্দর বস্ত্রাদি দ্বারা শরীরাবরণে ভালবাধা, অন্নে ও পানীয়ে প্রায়ই মক্ষিকা, ঘুণ, কেশ, তৃণের পতন, নখের অতিবদ্ধন এবং স্বপ্নে এই সকল দর্শন, পক্ষী, পতঙ্গ ও শ্বাপদগণ দ্বারা আক্রমণ, কেশ, অস্তি রাশি ও ভস্মের উপর আরোহণ এবং জলাশয়, পৰ্ব্বত, বন ও জ্যোতিষ্কমণ্ডল সকলের শুষ্কতা, ক্ষীণতা ও পতনদর্শন, এই সকল রাজধক্ষ্মার পূৰ্ব্বরূপ। রস্বরক্তাদি শারীর ধাতু সকল নিজ নিজ উষ্মা দ্বারা পরিপাক প্রাপ্ত হইয়ু নিজ নিজ ধমনীপথে গমন করিয়৷ পর পর ধাতু সকলকে পুষ্ট করে। স্রোতোনিরোধহেতু রস রক্তে যাইতে ন পারিয়া তাহাকে পুষ্ট করিতে পারে না, সুতরাং রক্তের ক্ষয় হয় । এই কারণে রক্ত ও মাংসে যাইতে পারিয়া তাহাকে পুষ্ট করিতে পারে না, সুতরাং মাংসেরও ক্ষয় হয়। এইরূপে রক্তাদি সকল ধাতুরই ক্ষয় হইয়া থাকে। আধারের ক্ষয় হইলে আধেয় ক্ষীণ হইয় থাকে, সুতরাং আধার রক্তাদি ধাতুর ক্ষয়ে আধেয় ধাতুষ্মারও ক্ষয় হয়। অতএব স্রোতের নিরোধ, রক্তাজির ক্ষয় ও ধাতুষ্মার অপচয় হেতু রাজ্যঙ্গা উৎপন্ন হয়। রাজযক্ষার উৎপত্তিকালে পাচকাগ্নি কোষ্ঠগত যে ভুক্ত দ্রব্যকে পরিপাক করে, তাহা প্রায়ই মল হয়, ওজঃ অর্থাৎ সারপদার্থ অতি অল্পই জন্মিয়৷ থাকে স্বতরাং ওজোৰল না থাকায় তখন সৰ্ব্বধাভূক্ষয়াৰ্ত্ত যক্ষ্মরোগীর মলষ্ট প্রধান বল, অতএব যক্ষ্মরোগীর মল সৰ্ব্বথ। রক্ষণীয়। স্রোতঃ সকল ক্লদ্ধ হওয়ার রস গমন করিতে ন পারিয়া স্বস্থানেই বন্ধিত ছয় এবং সেই ঘদ্ধিত রস বহুরূপ হইয়া কাস cti মুখ নাসাদি উৰ্দ্ধমার্গ দিয়া নিঃস্থত হইতে থাকে। दाङॉfन ¢माध्यद्र दण सूमि माशांभाति श्ब्र, ऊांश श्tण झग्न প্রকাররূপ, আর যদি অত্যধিক হয় তাহা হইলে একাদশবিধ রূপ জন্মে। এই ছয়ন্ধপ বা একাদশরূপে সমষ্টিই রাজধক্ষ্মা নামে অভিহিত হয় । একাদশরূপ যথা—কাগ, অংশসস্তাপ, স্বরভেদ, জল্প, পার্শ্ববেদন ও শিরোবেদন, রক্তবমন, কফবমন, শ্বাস, মঙ্গক্তেদ ও অরুচি। ছয়রূপ কাস—ম্বর, পাশ্বশূল, স্বরভঙ্গ, মলডেন ও অরুচি । রাঞ্জযক্ষ্মরোগীর যদি মাংস ও বলের ক্ষয় হয়, তাহা হইলে সকল লক্ষণহ প্রকাশ, বা অদ্ধেক লক্ষণ প্রকাশ কিংবা fওনটা মাত্র লক্ষণই প্রকাশ পাইলে, রোগী পরিত্যাজ্য। কিন্তু ধদি বল ও মাংস থাকে, তাহ হইলে সকল লক্ষণপ্রকাশ পাইলে ৪ সে রোগী চিকিৎসনীয় । এই রোগে বিষমাশন হেতু শরীর অতি থিয় হইলে, কণ্ঠ হইতে রক্তের নির্গম এবং সঞ্চিত ও উংক্লিষ্ট ( বহির্গমনোন্মুখ ) শ্লেষ্মার নিষ্ঠীবন হইতে থাকে । মাংসের বিরুদ্ধত্বহেতু রক্ত মাংসাদিতে যাটতে পারে না, উচ্ছ। আমাশয়েই ক্রমশঃ সঞ্চি৩ হঠতে থাকে। পরে বহু পরিমিত ও উৎক্লিষ্ট হইয়৷ কণ্ঠদেশে আসিয়া উপস্থিত হয়, এই কারণে রক্ত নিষ্ঠীবন হইয়া থাকে। ঞ্জি হব৷ ও হৃদয়স্থিত বাতাদি দোষ পৃথকৃ পৃথকৃ ভাবে বা মিলিতভাবে রাজধক্ষ্মরোগীর অরুচি জন্মাষ্টয়া থাকে। ৰাতজ অরুচিতে মুখে কযায় রস, পিতৃজ অরুচিতে মুথে তিক্তরস এবং শ্লেষ্মজ অরুচিতে মুখে মধুর রস হয়। অংস ও পাশ্বস্বয়ে বেদন, হস্তপদের সন্তাপ এবং রস রক্তাদি সৰ্ব্বাঙ্গগত জর এই তিনটাই রাজযক্ষ্মীর প্রধান লক্ষণ । অভ্যঙ্গ, উৎসান, স্নান, অবগাহন, বঙ্কিমার্জন, দুগ্ধ ও ঘৃত দ্বারা বস্তি, মাংস, মাংসরসের সহিত অগ্ন, হিতকর মঞ্চ, মনোহর গন্ধ সেবন, ঋতুর অনুরূপ মান, অমুপছত প্রিয়বসন, স্বস্বদগণ এবং মনোরম স্ত্রীগণের দর্শন, শ্রুতিমুখকর গীত ও বাঙ্গুলনি, সদা হর্ষ ও সদা আশ্বাসবচন, গুরুলোকদিগের উপাসনা, ব্রহ্মচৰ্য্য (মৈথুনত্যাগ ), দান, তপস্তা, দেবতার্চন, সত্য আচরণ, মঙ্গলকৰ্ম্ম, অহিংসা ও ব্রাহ্মণবৈদ্যের অর্চনা এই সকল কৰ্ম্ম দ্বারা রাজযক্ষ্মরোগ প্রশমিত হয় । ( চরক রাজধক্ষ্মরোগাধি• ) [ এই রোগের চিকিৎসা ও অল্লাহু বিশেষ বিবরণ যক্ষ্মরোগ শব্দে দেখ। ] ब्रांज्जगक्रिाम् ()ि अभिपक অস্তি অস্ত ইনি। রাজযক্ষ্ম রোগী, ক্ষয়রোগী ।