পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজসাহী ঘটিলে বাদশাহুপৌত্র সকল কানুনগোকে ডাকিয়া নিকাশী কাগজে সহি করিতে নিষেধ করিয়া দেন, সুতরাং বাদশাহ দরবারে হিসাব নিকাশ দাখিল করিতে ন পারায় নবাব মুর্শিদকুলী ফাফল্পে পড়িলেন। এ সময় রঘুনন্দন নিকাশী কাগজ বুঝাইয়। দিয়া তাহাভে স্বাক্ষর করিয়া দেন। সেই কাগজ পাঠাইয়। মুর্শিদকুলা মানসস্ত্রম রক্ষণ করেন। তখন হইতে রঘুনন্দন নবাবের অতিশয় গ্রির পাত্র হইলেন। দর্পনায়াঙ্গণের মৃত্যুর পর রঘুনন্দন" হে ওয়ান ও ‘রায়রাহ্ম।” (এখনকার রাজা বাহাইরের তুল্য) পদ পাছলেন। বলিতে কি, মুর্শিদকুলী খায় রাজস্ব বন্দোবস্ত কালে দেওয়ান রঘুনন্দনই তাছার দক্ষিণহস্ত ছিলেন। মুর্শিদ্বাৰাদে নবাৰের রাজধানী স্থাপন, ও তাহার বঙ্গ বেহার উড়িষ্যায় সৰ্ব্বষয় কর্তৃত্বের সঙ্গে দেওয়ান রঘুনন্দনেরও ঐশ্বৰ্য্যের দ্বার উন্মুক্ত হইল। মুর্শিদকুলীর দৌহিত্রীপতি সৈয়দ রেজা খায় উপর রাজস্ব আদায়ের ভার থাকে। র্তাহার অত্যাচার জমিজারগণের জলহ হইয়৷ উঠিল ; কত জমিদার প্রাণত্যাগ করিল, কেহ বন্দী হুইল, কেহ বা দেশত্যাগ করিল। রেজা খ" নাম আছিলা। একের জমিদারী অপরের সহিত বন্দোবস্ত কল্পিতে লাগিলেন। এই সময়ে তাহদের প্রিয়পাত্র রঘুনন্দন বহু প্রাচীন জমিদায়ের সৰ্ব্বনাশ করিয়া একে একে বাঙ্গালাদেশের প্রধান প্রধান জমিদারীগুলি বন্দোবস্ত কম্বিয়া লইস্তে লাগিলেন । এইরূপে ১১১৩ সালে পরগণা বাণগাছী, ১১১৭ সালে সাভৈলের রাণী সব্বাণীর নামে পরগণা ভাতুড়িয়া, ১১২১ সালে নিজ ভ্রাত্ত রামজীবন ও ভ্রাতুপুত্ৰ কালুকোঙরের নামে উদিতনারায়ণের অধিকারভুক্ত সমগ্র রাজশাহী চাকুল, ১৯২২ সালে রামজীবনের নামে দলদী পরগণা, রাজা সীতারামের মৃত্যুর পর পরগণ ভূষণ ও ইত্ৰাছিমপুর প্রভূতিও রামজীবনের নামে বন্দোবস্ত করিয়া লইলেন। তৎপরে হাবেলী মহম্মদপুর, শাহ উজিয়াগ, তুঞ্জী, স্বরূপপুর ও জালালপুর পরগণা ও রামজীবনের হস্তগত হয়। রামজীবন লস্করপুর পরগণার অধীন কানাইথালীর অন্তর্গত নাটোরে গড়খাই বেষ্টিত মুখৃহৎ রাজপ্রাধাদ লন্মাণ করলেন। ১৭৯৬ খৃষ্টাব্যে তিনি দিল্পী হইতে ২২ থানি খেলাত ও রাজ বাহাদুর উপাধি পাইলেন। লস্করপুর, তাহিরপুর ও বাৰ্ব্বকপুর পরগণ৷ ব্যতীত বৰ্ত্তমান সমগ্র রাজসাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা, এ ছাড়া ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, সাওতাল পরগণা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, রঙ্গপুর, দিনাজপুর ও ভাগলপুরের মধ্যেও জমি

  • দেওয়ান—স্বয়ার লম্বাবের প্রতিনিধিস্বরূপ । বলিতে কি নবাব রাজ্যশাসনে দুৰ্ব্বল হইলে দেওয়ানই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইতেন।

[ ૭-૧ ] রাজসাহী দারী রামজীবনের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। তখনকার नाd tब्रड्राप्छब्र अशैौन छू"ब्रिमां* *२००• दर्श माहेtणब्र७ অধিক হইবে। মোট ১৩৯ পরগণার ১৭৪১৯৮৭ টাকা নবাব সরকারে রাজস্ব ধাৰ্য্য ছিল । রাজা রামজীবন এরূপ অতুল বৈভবশালী হইলেও সামাজিক পদমর্য্যাদায় তিনি হীন ছিলেন। তাছার পুৰ্ব্বপুরুষ জীবর মৈত্রের কুল যায়, তিনি কাপদলে প্রৰেশ করেন। অবশেষে রাজা কংসনারায়ণের ব্যবস্থানুসারে জীবর মৈত্রের বংশধর কাপ হুহ স্থা ও পরে শ্রোত্রিম্নবরে কস্তাদান করিয়া শ্রোত্রিস্থ হন। পদোন্নতির সহিত রামজীবন ও রঘুনন্দন উভয়য়েরই সিদ্ধ শ্রোত্রিয় হইবার অভিলাষ জম্মিল । তৎকালে তাহিরপুরের রাজাই বরেন্স ব্রাহ্মণসমাজের সমাজপতি ছিলেন। এখম নানা কৌশলে তাহিরপুরাধিপ লক্ষ্মীনারায়ণকে বীভূত কৰি তাহার কুচার সহিত ब्रांमजीवन श्री?न একমাত্র পুত্র কালিফা প্রসাদের বিবাহ দিলেন । এই বিবাহে মহাসমাল্লোহ ও সমস্ত বারেস্ত্রসমাজ একত্র হইয়াছিল। এই বিবাহ হইতেই নাটোর রাজবংশের সামাজিক ও পদগৌরব বৃদ্ধি হয় । ब्रांभसौदन ७ ॐाशग्न zिiग्नमश्5ग्न मग्नांब्रांभ नांtBItब्र থাকিয়। রাজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধি করিতে লাগিলেন । রঘুনন্দন গঙ্গাতীরে বড়নগরে বা বীরনগরে থাকিয়া চাণক্যের মত বুদ্ধি চালাইভে লাগিলেন । ১১৩১ সালে (১৭২৫ খৃষ্টাব্দে ) রঘুনন্দনের এবং তাছারই অন্ন পরে রামজীবনের একমাত্র পুত্র কণিকা প্রসাদ ইংলোক পরিত্যাগ করিলেন। কিছুদিন পরে রঘুনন্দনের একমাত্র শিশুপুত্র কালগ্রাসে পতিত হইল । লোকে বলিতে লাগিল যে, অদ্যায় উপায়ে রঘুনন্দন এত সম্পত্তি করিয়াছেন, তাই তাহার ও র্তাহার বংশধরগণের ভোগ্য হইল না। অবশেষে রাজা রামজীবন রসিক রায়ের পুত্র রামকাস্তকে দত্তক লইলেন । তজ্জগু রসিক রায় রামজীবনের নিকট হইতে পুরস্কারস্বরূপ রাজশাহীজেলার পরগণা চৌগ ও রঙ্গপুরজেলার পরগণ ইসলামাবাদ পাইলেন । রাসকের বংশধরেরা চৌগার রাজা বলিয়া পরিচিত । পদাঙ্কদূত প্রণেতা প্রসিদ্ধ কৰি ও নৈয়ায়িক ঐকৃষ্ণ শৰ্ম্ম৷ রাঞ্জ রামজীবনের সভা উজ্জল করিয়া গিয়াছেন । ১৭৩০ খৃষ্টাধে রামজীবনের মৃত্যু হয়। বালক রামকান্ত রাজ। হস্থলেন। তাহার নাবালক অবস্থায় দীঘাপতিয়ার দয়ারাম রায় নাটোরের রাজকাৰ্য্য পরিচালন করিত্তেম । ১৭৩৪ খৃষ্টাব্দে রাল। রামকস্তি ১৮শ বর্ষ বয়সে স্বয়ং রাজ্যভার গ্রহণ করিলেন । তাছার সময়ে ১৬৪ পরগণা নাটোর