পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজসাহী করিলেন এবং বংশের চিহ্ন স্বরূপ তুরী ও ডস্ক ব্যবহার করিতে অনুমতি দিলেন। তদবধি দুবলহাটর জমিদারের তুরী ও ডক্কা’ ৰ্যৰছার করিয়া মাসিতেছেন। কেহ কেহ বলেন যে, আইনই-আকবরীর তক্‌সীম জমায় সরকার জিন্নতাবাদের অন্তর্গত বাৰ্ব্বকপুর প্রভৃতি ১১ খানি মহালের কোন রাজস্ব দেখা যায় তৎপরে ১১৩৫ ও ১১৬৮ সালের হস্তবুদে ৬• ০ ও ৭২২ সিক টাকা জমা দৃষ্ট হয়, ইছাই দুবলহাট জমিদারীর তখনকার দেয় রাজস্ব। ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় কৃষ্ণনাথ রায় চৌধুরীর সহিত বন্দোবস্ত হয় এবং লর্ড কর্ণওয়ালিস্ বাধিক ১৪৪৯ev• জমা ধাৰ্য্য করিয়া কৃষ্ণনাথের নিকট হইতে কবুলিয়ত লয়েন। কৃষ্ণনাথের পুত্র হয় নাই । তিনি মৃত্যুকালে পত্নী রূপমঞ্জরীকে দত্তক লইবার অনুমতি দিয়া যান। তিনিই রাজা হরনাথ রায়কে দত্তক গ্রহণ করেন। ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে হরনাথ রাজ্যভার প্রাপ্ত হন । রাজা হরনাথের চেষ্টায় বহু জমিদারী বৃদ্ধি হয়। তিনি রাজসাহী ব্যতীত বগুড়া, দিনাজপুর, ফরিদপুর, শ্ৰীহট্ট প্রভৃতি জেলায় জমিদারী খরিদ করেন। পূৰ্ব্বে দুবলহাট রাজ্যের যে আয়তন ছিল, রাজা হরনাথের সময় তাহার চারি গুণ বৃদ্ধি হইয়াছিল। উtহারই ব্যয়ে রাজশাহীতে ২য় শ্রেণীর কলেজ স্থাপিত হয়, তৰ্জ্জন্ত তিনি বার্ষিক পাচ হাজার টাকা আয়ের সম্পত্তি দান করেন। এতদ্ভিয় তিনি অতিথিশালা, রাজপথনিৰ্ম্মাণ, বেtয়।লিয়া ধৰ্ম্মসভায় ও সাধারণের হিতকর বহু কার্য্যে লক্ষাধিক টাকা দান করিয়া যান। ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হয়। তাহার দুই পুত্র কুমার ধনদানাথ রায়চৌধুরী ও কুমার ক্রাঙ্কারীনাথ রায়চৌধুরী বর্তমান উওরাধিকারী। উভয়েই বিদ্যোৎসাহী ও শিক্ষিত । বলিহাররঞ্জ । বাৎস্য ধরাধরের পুত্র বেদাস্তাচাৰ্য্য । লেদাস্তের দুই পুত্র হরিহর ও লক্ষ্মীধর। এই লক্ষ্মীধরের বংশে অনস্ত ও রামনাথের জন্ম। অনন্ত হইতে বলিহারের রাজবংশ ও রামনাথ হইতে দিনহাটার রায়চৌধুরিবংশের উৎপত্তি। কুল গ্রন্থে বলিহার কুড়মইল নামে খ্যাত । অনস্ত কুড়মইলের একজন প্রধান কুলীন বলিয়া গণ্য ছিলেন। অনন্তের প্র:পাত্র গোপাল । গোপালের তিন পুত্র কৃষ্ণদেব, প্রাণকৃষ্ণ ও রামরাম। সুদপুরের বাছিয়বদ ও ভিতরবঙ্গ পরগণার রাণী সত্যবতীর ভগিনীর সস্থিত কৃষ্ণদেবের বিবাহ হয়। এই र¢æ ॐt१ङ्क६ ७ ब्रांभद्रांम ब्राँगैौ नष्ठादउँौद्र अभिशांग्रेोtऊ প্রবেশ করিয়া তাহার প্রধান কার্য্যকারক হষ্টয়া উঠিলেন । काम ‘मरे शहे बोऊ ८को*ण कब्रिब्र जिठब्रवमा "ब्र?|१|| | || [ ৩৯২ ] রাজসিংহ অধিকার করিয়া বসিলেন। রামরামের বংশ ॥১৫ ও প্রাণকৃষ্ণের ংশ eye আনার মালিক হইলেন। এই প্রাণকৃষ্ণের বংশই বলিঙ্কার-রাজবংশ নামে প্রসিদ্ধ। ইহার নিরাবিল পঠীর কুলীন । এই বংশীয় রাজেন্দ্রের সহিত মহারাজ রামকৃষ্ণের কস্তার বিবাহ হয়, তাহাতে রাজেন্দ্র বহু ভূসম্পত্তি পাইয়াছিলেন। এই রাজেন্দ্র রায়ের পৌত্র বলিহারের প্রসিদ্ধ রাজা কৃষ্ণেন্দ্র বাহাদুর। ইনি লক্ষ্মী ও সরস্বতী উভয়ের কৃপাপাত্র ছিলেন, ইনি যেমন কুলে, শীলে,ধনে ও মানে সন্মানিত ছিলেন, সেইরূপ সুকবি ও স্বলেখক বলিয়া পরিচিত। অল্পদিন হইল ইহঁর মৃত্যু হইয়াছে। উপরোক্ত বিভিন্ন রাজবংশ ভিন্ন রাজসাহীতে সন্ত্রান্ত আরও অনেক ক্ষুদ্র জমিদারের বাস আছে। রাজসিংহ, (রাণী ) মিবারের রাজপুত রাণী। শিশোদীয় ংশসস্তুত রাণা জগৎসিংহের পুত্র। ১৭১০ সম্বতে পিতার মৃত্যুর পর রাজসিংহ চিতোর-সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই সময় বাদশাহ শাহজহান-পুত্র অরঙ্গজেৰ ষড়যন্ত্ৰপুৰ্ব্বক বৃদ্ধ পিতাকে কারারুদ্ধ করিয়া দিল্লীসিংহাসনলাভের প্রয়াসী হইলে দারা প্রভৃতি তাহার অপরাপর ভ্রাতৃবর্গ বিরোধী হইয়৷ দাড়াইলেন । মেবারপতি রাণী রাজসিংহ এই সময়ে দারীর পক্ষাবলম্বন করেন । রাজ্যাধিকারের অব্যবহিত পরেই মোগল-সিংহাসন সংক্রান্ত অশ্ববিপ্লবে সংলিপ্ত থাকিয়া তিনি আপনার অশাস্তি আপনিষ্ট কিনিয়া আনিলেন । তাহাকে দারার পক্ষাবলম্বন করিতে দেখিয় ক্ৰোধোদীপ্ত অরঙ্গজেব রাণার সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিলেন। সমবেত রাজপুতশক্তি ফতেহাবাদ সমরক্ষেত্রে অরঙ্গজেবের হস্তে পরাভূত হইল। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হতভাগ্য দারা ও রাণার অদৃষ্টচক্রের গতি বিপরীত দিকে ফিরিল। ইহার কিছু পুৰ্ব্বে অর্থাৎ রাজটক গ্রহণ করিবার অনতিকাল পরে রাণী রাজসিংহ আজমীরের অন্তর্গত মালপুর নগর আক্রমণপুৰ্ব্বক মোগলদিগকে পরাজিত ও তন্নগর লুণ্ঠম করিয়া স্বরাজ্যে প্রত্যাগমন করেন । এই ঘটনাক্সোত হইতে শিশোদীয় বীরগণ পুনরুজ্জীবিত হইয় উঠে । অতঃপর দ্বারার পক্ষাবলম্বনপূৰ্ব্বক রাণার যুদ্ধসন্দর্শন করিয়া রণজয়ী সম্রাটু অরঙ্গজেব রাজসিংহের এই অসংসাহসিক আচরণে ক্রুদ্ধ হইয়া তাহার বিরুদ্ধে অলিধারণ করিতে উস্তত হন। এই রাজপুত ও মোগল-সংঘর্ষে রাজস্থানে যে সমরানল প্রজ্বলিত হইয়! উঠে, তাঙ্গ ক্রমশঃই উভয় পক্ষকে দগ্ধ করিয়া নিস্তেজ করিয়া ফেলে। ভারতসাম্রাজ্যাধীশ্বর অরঙ্গজেব রূপনগররাজের লাবণ্যময়ী কম্ভার সৌন্দর্য্যের কথা অবগত হইয়া সেই কস্তাকে