পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র [ 86 s ] রামচন্দ্র ঘোর অনর্থ ঘটিয়াছে। তিনি ব্যাকুল হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ অভিষেকের মুহূৰ্ত্তে তোমার মুখ এরূপ নিরানন্ম হইয়াছে কেন ?” নানা ব্যাকুল প্রশ্নের উত্তরে রামচন্দ্র সীভাকে আসন্ন মহাপরীক্ষায় উপযোগিনী করিবার জন্য আপনার মহৎ বংশকীৰ্বি স্মরণ করাইয়া দিলেন । সীতা বনবাসের কথা শুনিয়াই রামের সঙ্গিনী হুইবার অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলেন, রামচন্দ্রের সঙ্গে তাহার একটি নাতিক্ষুদ্র বাকযুদ্ধ হইয় গেল। রামচন্দ্রের নিষেধ, বা ভয় প্রদর্শন সমস্তই যুক্তি দ্বারা খগুন করিয়া সীতা অরণ্যচারিণী হইতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইলেন। তাছাকে সঙ্গে না লইয়া গেলে তিনি আত্মঘাতিনী হইবেন, ইতাদি সংকল্প প্রকাশ করিলেন। সাঁতার গণ্ডস্থল বহিয়া ধীরে ধীরে অশ্রুবিন্দু পড়িতে লাগিল । তথন রাম কণ্ঠলগ্ন অশ্রুপূর্ণনয়ন সুন্দরী সাধবীকে বাছবন্ধনে আবদ্ধ করিয়া স্নিগ্ধ ও করণকণ্ঠে বলিলেন,—“দেবি, তোমার দুঃখ দেখিয়া আমি স্বৰ্গও অভিলাষ করি না ; আমি তোমাকে রক্ষা করিতে কিঞ্চিম্মাত্র ভীত নহি ; সাক্ষাৎ রুদ্র হইতে ও আমার ভয় নাই। তুমি বলিলে, বিবাহের পুৰ্ব্বে ব্রাহ্মণগণ বলিয়াছিলেন, তুমি স্বামীর সঙ্গে বনবাসিনী হইবে,--তুমি যদি বনবাসের জন্ত স্বঃ হইয়া থাক, তবে আমার তোমাকে ছাড়িয়া যাইবার সাধা নাই।” যে লক্ষ্মণ বধ্যতাং বধ্যতামপি' বলিয় রাজাকে বাধিবার, এমন কি বিনাশ করিবার ব্যবস্থা দিয়াছিলেন, ধনুর্ধারণপূর্বক একাকী রামের শক্ৰকুল নিৰ্ম্মল করিবেন বলিয়া, এত বিক্রম প্রকাশ করিয়াছিলেন, তিনি রামের অটল প্রতিজ্ঞ ও বনগমনোদ্যোগ দেখিয়া কাদিয়া বাণকের ন্যায় অগ্রজের পদতলে পতিত হইলেন এবং বলিলেন,— “তোমাকে ছাড়া আমি ত্রিলোকের ঐশ্বৰ্য্য ও কামনা করি ন।’ অশ্রুপূর্ণচক্ষু পদতলপতিত পরমস্নেহাস্পদ লক্ষ্মণকে রামচন্দ্র সাদরে উঠাইলেন এবং বনবাসসঙ্গী করিতে স্বীকৃত হইলেন । তখন লক্ষ্মণ পুলকে অএ মুছিয়া বনবাসোপযোগী অস্ত্ৰ শস্ত্র বাছিয়া বনগমনে প্রস্তুত হইলেন। রামচন্দ্র ভরত কিংবা কৈকেয়ীর প্রতি কোন বিদ্বেষপূচক বাক্য প্রয়োগ করেন নাই। তিনি সীতার নিকট বলিলেন— "ভরত এবং শক্রয় উভয়ে আমার প্রাণ হইতে প্রিয়।’ কৈকেয়ী এবং অপরাপর মাতাদের কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন—“স্নেহ এবং শুশ্রীষায় আমার প্রতি আমার সকল মাতাই সমদৰ্শিনী।’ বনবাল-কালে বিদায় প্রার্থী রামচন্দ্র দশরথের নিকট উপস্থিত হইলেন, মহিষীবৃন্দ-পরিবৃত দশরথ রামের মুখ দেখিয়া চিত্তাবেগ সংবরণ করিতে পারিলেন না, ==F*r= - †-F - শোক রুদ্ধ কণ্ঠে রামচন্দ্রকে আর একটী দিন থাকিয়া যাহতে অনুরোধ করিলেন ও অনেক অমুনয় করিয়া বলিলেন,— *আমি আজ তোমাকে চক্ষে চক্ষে রাখিয়া তোমার সহিত «qपण श्रांशद्र कब्रिस” ब्रांभ कश्tिणन, “अछहे व८न याझेद বলিয়া প্রতিশ্রুত হুইয়াছি, সুতরাং ইহার অgথা করিতে এyপরিব না।” সন্ত্রম ও বিনয়ের সহিত পুনৰ্ব্বার বলিলেন, "ব্রহ্মা যেরূপ স্বীয় পুত্রগণকে তপশ্চরণার্থ অনুমতি দিয়াছিলেন, আপনি বীতশোক হইয়৷ সেইরূপ আমাদিগের বনগমনের আদেশপ্রদান করুন।” দশরথের শোকাবেগ বৃদ্ধি পাইল, তিনি বিহবল হইয়ু পড়িলেন। সুমন্ত্র, মহামাত্র সিদ্ধার্থ এবং গুরুদেব বশিষ্ঠ কৈকেয়ীর সহিত বাক্ৰিতওtয় প্রবৃত্ত হইলেন, অtষ্ট্ৰীয়-সুহৃদ ও স্বজনবর্গের উত্তেজিত কণ্ঠ ধ্বনিতে রাজভবন প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল এবং সেই কোলাহলকে পরাজিত করিয়া ত্যাগশীল রাজকুমারের অপুৰ্ব্ব বৈরাগ্য ও ধৰ্ম্মভাবপুর্ণ কণ্ঠধ্বনি স্বগীয় শুভবাণীর দ্যায় শ্রুত হইতে লাগিল। কৃতাপ্ললিবন্ধ হইয়। রামচন্দ্র পিতাকে বারংবার বলিতে লাগিলেন“আপনি দুঃখিত না হইয়। এই রাজ্য ভরতকে প্রদান করুন। আমি জীবনে সুখ, সম্পদ, রাজ্যৈশ্বৰ্য্য এমন কি, স্বর্গ ও কামনা করি না; আমি সত্যবদ্ধ, আপনার সত্য পালন করিব। পিতা দেবতাগণ অপেক্ষা ও পূজ্য, সেই পিতৃদেবতার আজ্ঞাপালনে আমি কোন কষ্টই বোধ করিব না । চতুদশবৎসর পরে ফিরিয়া আসিয়া অামি আবার আপনার শ্ৰীচরণ বন্দনা করিব।” মাতৃগণের দিকে চাহিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে রাজকুমার বলিলেন“আমি ভ্রমবশতঃ কিংবা অজ্ঞানতাবশতঃ যদি কোন অপ. রাধ করিয়া থাকি, তবে অস্ত আমাকে ক্ষমা করিবেন।” যে দশরথের অন্তঃপুর মুরজ ও বীণার সুমধুর নিকণে মুখরিত হুইত, আজ তাহ শোকার্তা রমণীগণের আর্তনাদে পুর্ণ হইল । রাজকুমারদ্বয় ও রাজবধু যখন ভিখারীর বেশে ফোপীন ও চার-পরিহিত হইয়া পথে বাহির হইলেন, তখন অন্তঃপুরে মহা আৰ্ত্তনাদ উথিত হইল । রাজমহিষীগণ কাদিতে কাদিতে ইতস্তত: ছুটি বেড়াইতে লাগিলেন এবং প্রঞ্জামণ্ডলীর মধ্যে গভীর পরিতাপস্থচক হাহাকার ধ্বনি উথিত হইল। সেই মৰ্ম্মবিদারক শব্যে উন্মত্ত হই। বুদ্ধ রাজা দশরথ ও কৌশল্য দেবী নগ্নপদে ধুলিলুষ্ঠিত পরিধেয় বস্ত্র সংবরণ না করিয়া রামকে আলিঙ্গন করিবার জন্ত বাহু প্রসারণপুৰ্ব্বক রাজপথে দৌড়িয়। যাইতে লাগিলেন। রাজাধিরাজ দশরথের প্রধান মহিবীর এই অবস্থ। দর্শনে প্রজাগণ ব্যাকুল হইয়া উঠিল। রামচন্দ্র বলিলেন, “নুমন্ত্র, তুমি পত্র রথ झाशाहेब्र ग३ग्न। यो७, अमि श्राङ्ग यहे cणाकावश् धृष्ट