পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র [ 8¢२ ] রামচন্দ্র দেখিতে পারিতেছি না।” প্রজাগণ সুমন্ত্রকে বিনয় করিয়া বলিতে লাগিল,— “ছে সারথি ! তুমি অশ্বগণের মুখরশ্মি সংযত করিয়া ধীরে ধীরে চালাও, আমরা রামচন্দ্রের মুখখানি ভাল করিয়া দেখিয়া লই, অতঃপর ইহার দর্শন আর আমাদের সুলভ হইবে না ।" । রাম স্নেহাৰ্দ্ৰকণ্ঠে প্রজাদিগকে বলিলেন— 犧 “অযোধ্যাবাসিগণ ! তোমাদের আমার প্রতি যে বহুসন্মান ও প্রাতি, তাহ আমার প্রীতির জন্য ভরতে বিশেষরূপে অপশ করি গু।” রথের পীশ্বে একত্র হইয়। বলিলেন, “আমরা এই হংসগুল J | | i i t | অযোধ্যার প্রান্তদেশে সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণগণ । কেশযুক্ত মস্তক ভূলুষ্ঠিত করিয়া প্রার্থনা করিতেছি, রাম তুমি মামাদিগকে সঙ্গে লইয়। যt ৪ ।” রামচন্দ্র রথ হইতে অবতরণ পুৰ্ব্বক তাহাদিগকে সন্মান করিলেন । গোমতী পার হইয়। রামচন্দ্র স্তন্দক নদী উত্তীর্ণ হইলেন, অযোধ্যার তরু রাজি হামাভ আকাশপ্রান্তে নীলমেঘের দ্যায় অস্পষ্ট দেখা যাইতেছিল, তখন রাম একটিবার সতৃষ্ণ দৃষ্টিতে সেই চিরস্নেহজড়িত জন্মভূমির প্রতি দৃষ্টি করিয়া গদগদ কণ্ঠে সুমন্ত্রকে ৰলিলেন—“সরযুর পুষ্পিত বনে আবার কবে ফিরিয়া আসিব ?” রামচন্দ্র গঙ্গাতীরে আধিয়া বিশেষ প্রফুল্লিত হইলেন । সহস। এই বিশাল তরঙ্গিণী সন্দর্শন করিয়া রাজকুমারদ্বয় ও সীতার মনে প্রতিসঞ্চার হইল। তাচার। ইঙ্গুদীতরচ্ছায়ায় । বিশ্রামের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। নিষাদরাক্ত গুহক নান দ্রব্যসস্তার লইয়। প্রিয় সুহৃদ রামচন্দ্রের প্রতি আতিথ্য প্রদর্শনে ব্যস্ত হইলেন । তিনি বলিলেন – “রাম অপেক্ষ এ জগতে আমার প্রিয়তম কিছুই নাই ।” কিন্তু ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্মানুসারে প্রতিগ্রহ নিষিদ্ধ, এই বলিয়া রামচন্দ্র গুহকের আতিথ্য গ্রহণ করিলেন না। রথের অশ্বসমু ছের খাদ্যসংগ্রহের জন্ত তিনি নিষাদপতিকে অনুরোধ করিয়া আপনার তিনজনে কেবলমাত্র জলপান করিয়া অনাছারে ইক্ষুদীমূলে তৃণশয্যায় রাত্রি ধাপন করিলেন। পরদিন মুমন্ত্র বিদায় লইবেন । বুদ্ধ সচিব কঁাদিয়া বলি লেন, “শূন্য রথ লইয়া আমি কোন প্রাণে অযোধ্যায় ফিরিয়া যা ব ? যখন উন্মত্ত জনসত্ত্য শত কণ্ঠে অামাকে প্রশ্ন করিতে থাকিবে, আমি কি বলিয়। তাহাদিগকে বুঝাইব ? হে সেবকবংসল ! আমাকে সঙ্গে যাইবার আদেশ করুন। চতুৰ্দশ বৎসর পরে আমি এই রথে আপনাদিগকে লইয়া সগৌরবে ও মানদে অযোধ্যায় ও বেশ করিব।” রাম বৃদ্ধ মন্ত্রীকে নানারূপ প্রবেtধবাক্যে ফিরিয়া যাইতে বাধ্য করিলেন ও সকাতরে বলিলেন, “তুমি ফিরিয়া না গেলে মাতা কৈকেয়ীর মনে প্রত্যয় হুইবে না যে, আমি বনে গিয়াছি।” মমস্ত্রের বিদায়কালে রামচন্দ্র যে সকল কথা বলিয়। পাঠাইয়াছিলেন, তাহ উদ্দিষ্ট ব্যক্তিদের মন্মচ্ছেদ করিয়াছিল, সন্দেহ নাই। পরে তিনি মুমন্ত্রকে বলিলেন—“তোমার তু। হক্ষ কুগণের আর মুহৃদ নাই, মহারাজ দশরথ যেন আমার জষ্ঠ শোকাকুল না হন, তাহাই করিবে।” লক্ষ্মণ ক্রুদ্ধস্বরে দশরথের কার্য্যের সমালোচনা করিতে লাগিলেন, রাম মুমন্ত্রকে সাবধান করিয়া দিলেন ও বলিলেন— “রাজ। বুদ্ধ, করুণ স্বভাব এবং আমার বনবাসজ দ্য ব্যথিত, সহস এই সকল সুখী কথা শুনিলে তিনি শোকে প্রাণত্যাগ করিতে পারেন । মুমন্ত্র, এই সকল বৃক্ষ কথা মহারাজের নিকট বলি ও না।” KSBB DDBB BBB 0 gD SKKS gBB BBBS আরণ্যপথে রাজকুমারদ্বয় এবং আদরের রাজবধু চলিতেছেন। এখনও সাতার পদ্মকোশ প্রভ পাদযুগে অলক্তকরাগ মলিন হয় নাই, তাহাতে কুশাস্কুর বিদ্ধ হইতে লাগিল। হিংস্র জন্তুর ভীতিকর ধবনি শুনিয়া তিনি রামের আশ্রয় করিয়া যন্ত্রস্ত হইতেছেন। মহেন্দ্ৰধ্বজ সদৃশ রামচত্রের २{fछ् বাহুষ্ট আজ ইন্দুনিভাননার একমাত্র অবলম্বন । রাfএ যাপনের জন্ত তাহার এক বৃক্ষ মুলে আশ্রয় লইলেন ; এই ঘোর অরণ্যে প্রথমে রাত্রিবাসের কষ্ট দু: হু হইল । ক্ষোভে রামচন্দ্র লক্ষ্মণের নিকট অনেক পরিতাপ করি লেন, কথ। তাহার অভ্যস্ত উদারভাবের নহে। তাছার প্রশান্তচিত্ত অসহ কষ্টে ঈশান্ত হইয়া উঠিয়া ছিল । তিনি বলিলেন, "ভরত রাজ্য প্রাপ্ত হইয়া সুখী হইবে, সন্দেহ নাই । রাজা অবশু মনোকষ্ট ভোগ করিতেছেন, কিন্তু যাহার। ধন্মত্যাগ করিয়া কামসেব করে, তাহাদিগের দশরথ রাজার ন্যায় দুঃখ প্রাপ্তি অবগুস্তাব । আমার অল্প ভাগ্য জননী অাজ শোক সাগরে পতিত হইয়াছেন লক্ষ্মণ এরূপ কোথাও কি গুনা যায়, যে বিন অপরাধে প্রমদার বাক্যের বশবৰ্ত্তী হইয়। অামার ন্যায় ছন্দাকুবই পুত্রকে ও পরিত্যাগ করিয়াছে ? যাহা হউক, এই কঠোর বন্যজীবনে তোমার প্রয়োজন নাই, আমি ও সীতা বনবাসের দণ্ডভোগ করিব, তুমি অযোধ্যায় ফিরিয়া যাও। নিষ্ঠুর নীচপ্রকৃতি কৈকেয়ী হয় ত আমার মাতাকে বিষ-প্ৰদান করিয়া বিনাশ করিবেন, তুমি গৃহে যাইয়া আমার মাতাকে রক্ষা কর। তুমি মনে করি ও না, অযোধ্য। কিংবা সমস্ত পৃথিবী আমি বাহুবলে অধিকার করিতে পারি না, কেবল মাত্র অধৰ্ম্ম ও পরলোকের মনে স্ট্র সে সকল