পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র [ 86૧ ] রামচন্দ্র ধাইর সঙ্কেন রক্ত বমন করিলেন এবং অতি দীন ও মৃদু বাক্যে রামকে ৰশিলেন—*হ আয়ুষ্মন, তুমি যাঙ্গাকে বনে বনে মহৌষধির ন্যায় খুজিছে, ধেই সীতা দেবী এবং আমার প্রাণ উভয়ই রাবণ কর্তৃক হৃত হইয়াছে। অামি সীতাকে তৎকর্তৃক অপহৃত হইতে দেখিয় তাহার্কে রক্ষা করিবার জন্য যুদ্ধ করিয়াছিলাম । এই ষে ভগ্ন-রথচ্ছ ত্র ও ভয় দণ্ড দেখিতেছ, তাহা রাবণের । তাহার সায়খি ও আমার দ্বারা বিনষ্ট হইয়াছে। রাবণকে আমি রথ হইতে নিপাতিত করিয়াছিলাম । কিন্তু আমি পরিশ্রাস্ত হইয় পড়াতে সে থড়গ-দ্বারা আমার পাশ্বচ্ছেদন করিয়া গিয়াছে । রাবণ অামাকে নিহত করিয়াছে, সুতরাং পুনৰ্ব্বার নিধনচেষ্ট! তোমার পক্ষে উচিত নহে ।” এই কথা শুনিয়া রামচন্দ্র স্বীয় রহং ধতু পরিত্যাগপুৰ্ব্বক জটায়ুকে আলিঙ্গন করিয়া কাদতে লাগিলেন હઃ অতি দীনভাবে বলিলেন, “লক্ষ্মণ, দেখ ইহার প্রাণ কণ্ঠীগত, জটায়ু মল্লিতেছেন, মামার ভাগ্যদোষে আমার পিতৃসখ। জটায়ু নিহত হইয়াছেন, ইহার স্বরবিক্লব ও চক্ষু নিম্প্রভ হুইয়াছে।” রাম জটায়ুর দিকে সজললেত্রে চাহিয়া কৃতাঞ্জলপুটে বলিলেন, “যদি শক্তি থাকে, তবে তোমার বধ-কাহিনী ও সীতা-হরণের কথা আমাকে এক বার বল । রাবণ আমার স্ত্রীকে কেন হরণ করিল, আমার সঙ্গে তাচfর কি শত্র তা ? তাহার রূপ ও শক্তি-সামর্থ্য কি প্রকার ? অামার কি অপরাধ পাই । সে এই কাৰ্য্য করিয়াছে ? អ៊ួង মনোহর মুখ তখন কিরূপ হইয়। গিগাছিল-বিধুমুখী তখন কি বলিয়াছিলেন ? হে তাত । রাবণের গৃহ কোথায় ?” এত গুলি প্রশ্নের উত্তরে জটায়ু এই মাত্র বলিলেন, “আমি দৃষ্টিহায় হইয়াছি, কথা বলিতে পারি না—দুরাত্মা রাবণ সীতাকে চরণ করিয়া দক্ষিণদিকে লইয়া গিয়াছে, রাবণ বিশ্বশ্রব মুনির পুত্র এবং কুবেরের ভ্রাতা’ এই শেষ কথা বলিতে বলিতে তাহার চক্ষুতার স্থির হইল, জটায়ু প্রাণত্যাগ করিলেন । রাম কৃতাঞ্জলি হইয়া “বল বল” কহিতেছিলেন, কিন্তু জটায়ু ততক্ষণ প্রাণত্যাগ কন্ধিয়া স্বৰ্গগষ্ট হইলেন। রামচন্দ্র অশ্রুপুর্ণনয়নে বলিলেন, “এই জটায়ু বহুবংসর দ গুকারণ্যে ধাপন করিয়া বিশার্ণ হইয়াছিলেন, কিন্তু আমার জন্য আজ ইনি কালগ্রাসে পতিত হইলেন । এই পৃথিবীতে সৰ্ব্বত্রই সাধু ও মহাজনগণ বাস করিতেছেন, নীচকুলে জটায়ুর মত দেবতাসদৃশ পূজনীয়চরিত্র ছিল ! আমার উপকারের জঞ্চ ইনি প্রাণ বিসর্জন দিলেন, আজ জামার গীতাহরণের কষ্ট নষ্ট, জটায়ুর মৃত্যুশোঙ্ক আমার 5िख श्रपिकाब्र फब्रिग्नttछ् । XVI ১১৫ আমার নিকট যশস্বী রাজা দশরথ যেমন পুজনীয় ও মান্ত, অাজ জটায়ুও সেই প্রকার। লক্ষ্মণ ! কাষ্ঠ স্বtছরণ কর, অtমি এই পবিত্র দেহের সৎকার করিব।” জটায়ুর দেহের শেষকাৰ্য্য সমাধাপুৰ্ব্বক প্রথমত: পশ্চিমদিকের পথ অবলম্বন করিয়া শেষে ভ্রাতৃদ্বয় দক্ষিণ উপকূলের সমীপবৰ্ত্তী ইষ্টলেন । ক্ৰৌঞ্চারণ সম্মুখে বিস্তারিত,—অস্তি ফুর্গম অরণ্য ! সেই স্থানে এক স্ট্রীষণ-রাক্ষসীকে শাসন করিয়৷ বিকৃতমুঠি কবন্ধের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ চটল। কবন্ধ রাম কর্তৃক নিহত হইল। মৃত্যুকালে সে রামচঞ্জকে পম্পী তীরবর্তী ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বতে সুগ্ৰীবের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করিয়া সীতা উদ্ধারের চেষ্টা করিবার পরামশ প্ৰদান করিল। তংপর শবরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া উভয় ভ্রাতা দক্ষিণাপথের বিস্তুত ভূখণ্ড অতি ক্ৰম করিয়া সারস-ক্রৌঞ্চ-নাদিত পম্পাঙ্কদের উপকুলে উপনীত ইষ্টলেন । পম্পী তীরবর্তী স্থান বড় রমণীয় ; তখন হ্ৰদকুলস্থ বনরাঞ্জির অঙ্গে অপুৰ্ব্ব শ্ৰীশম্পন্ন নববাস পরাইয়। বসন্ত আগমন করিয়াছে। অদূরে ঋষ্যমুথের কৃষ্ণচ্ছায়া মেঘের সঙ্গে মিশিয়া আছে। গিরির সমুদেশ হইতে নিম্ন সমতল ভূমি পর্য্যস্ত বিস্তীর্ণ বনরাঞ্জির মধ্যে মধ্যে সুদৃপ্ত কণিকার বৃক্ষ পুষ্পসংক্ষুেন্ন হষ্টয় পীতাম্বর-পরিহিত মকুষ্যের স্তায় দেথা যাইতেছিল । রামচন্দ্র এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্ঘ্যে আত্মহারা হষ্টয়া সীতার জন্য বিলাপ করিতে লাগিলেন । গীতাবিরহকাত্তর রাম লক্ষ্মণকে বলিলেন, “দেখ ভাষ্ট লক্ষ্মণ! এই বসন্থাগমে নিশ্চয়ই আমি প্রাণত্যাগ করিব । ঐ দেখ, কার গুব পক্ষী শুভ সুলিলে অবগাহন করিয়া স্বীয় কাস্তার সহিত মিলিত হইয়াছে । আজ যদি সীতার সঙ্গে শুভ সন্মিলন হুইত, তবে অযোধ্যার ঐশ্বৰ্য্য কিংবা স্বর্গ ও আমি অভিলাষ করিতাম না। এখানে যেরূপ বসস্থাগমে ধরিত্রী দেবী হৃষ্ট হইয়াছেন, যে স্থানে সীতা আছেন, সেখানেও কি বসস্থের এই লীলাভিনয় হুইতেছে ? তিনি তাঙ্ক চইলে যেন কত পরিতাপ পাইতেছেন ! সীতাবিরহে আজ এই হিমশীতল বায়ু, আমার নিকট অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ছায় বোধ হইতেছে। এই বিশাল পুষ্পসস্তার আজ আমার নিকট বৃথা । আমি অযোধ্যtয় ফিরিয়া গেলে বিদেহরাঞ্জকে কি বলিব ? সেই মৃদুছলিয় অস্থরালব্যক্ত চির-ংিতৈর্ষিণীর অতুলনীয় কথাগুলি শুনিয়া মার করে জুড়াইব ? লক্ষ্মণ, তুমি ফিরিয়া যাও, আমি সীতাবিরহে প্রাণধারণ করিতে পারিব না ।” লক্ষ্মণ রামচন্ত্রের এই উন্মত্ততাদর্শনে ভীষ্ঠ হইলেন, প্তাহাকে কত শত সংস্কনা-বাক্য বলিলেন, কিন্তু রামচন্ত্রের