পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র এই সমস্ত অনুষ্ঠানের পর, রামচন্দ্র স্বীয় প্রিয় অমুচর হনুমানকে অশোক বনে পাঠাইয়। দিলেন। এই দূতপ্রেরণ গীতাকে মানবার জন্য নহে, কেবল র্তাহুড়ক সংবাদ দেওয়ার জন্ত, যে তিনি রাবণকে নিহত করিয়া সসৈন্তে কুশলে অtছেন। যাই বার সময় তিনি হনুমানকে বলিয়া দিলেন যে, অশোকবনে প্রবেশ করিবার পুৰ্ব্বে রাগসরাজ বিভীষণের অমু मङि शशें प्र यांश्s ।’ হনুমান এই শুভ সংবাদ প্রদান করিলে সীতা হর্ষোচ্ছাসে কিছুকাল কোন কথাই বলিতে পারিলেন না। তাছার দুইটি চক্ষুতে অশ্রুবেগ উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়ছিল। যখন হনুমান জিজ্ঞাসা করিল, “আপনার কি কিছু বলিবার নাই ?” তখন দীনহীন জনক দুহিতা বলিলেন, “পৃথিবীতে এমন কোন ধনরত্ন নাই, যাহ। দান করিয়ু আমি এই শুভ সংবাদের আনন্দ বুঝাইতে পারি।” যে সকল রাগী সীতাকে নানারূপ যন্ত্রণ দিয়াছিল, হনুমান তাহাদিগকে নিধন করিতে উদ্যত হষ্টলে গীত। তাহাকে বারণ করিয়া বলিলেন—“ইহাদের প্রভুর নিয়োগে ইহারা আমাকে যে কষ্ট দিয়াছে, তজ্জন্য ইহার দ গুহে নহে।” বিদায়কালে সীতা হনুমানকে দিয়া বলিয়া ! পাঠাইলেন,—তিনি স্বামীর পূর্ণচন্দ্ৰানন দেখিবার অনুমতি ভিক্ষা করেন। হনুমান সীতার কথা রামচন্দ্রকে বলিলেন— “সীতাদেবী বিজয়বাৰ্ত্ত শুনিয়া আপনাকে দেখিতে অভিলাষ করিয়াছেন।” সীতার এই অমুমতি প্রার্থনfর কথা শুনিযু রামচন্দ্র গম্ভীর হইলেন, অকস্মাৎ তাহার চক্ষে এক বিন্দু অশ্রু দেখা দিল, তিনি মৃত্তিকার দিকে দৃষ্টি নত করিয়া রহিলেন ; তথন একটি গভীর মৰ্ম্মবিদারী শ্বাস ত্যাগ করিয়া বিভীষণের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন, “সীতার কেশকলাপ উত্তম রূপে মাঞ্জন করিয়া তাহাকে সুন্দর বস্ত্ৰালঙ্কারে সজ্জিত করিম এখানে আনিতে অনুমতি করুন, আমি তাছাকে দেখিতে ইচ্ছা করি।” বিভীষণ স্বয়ং রামের কথ। সীতাকে জানাইলে, অশ্রুপূরিত চক্ষে সীতা বলিলেন—“আমি যে ভাবে আছি, এইরূপ অন্নাত অবস্থায়ই স্বামীকে দেখিতে ইচ্ছা করি।” কিন্তু বিভীষণ বলিলেন, “রামচন্দ্র যেরূপ অনুজ্ঞা করিয়াছেন, সেইরূপ ভাবে কার্য্য করাই আপনার উচিত।” তখন জটিল কেশক লাপের বহু দিনান্তে মার্জন হইল । দিব্যাম্বর পরিধানপুৰ্ব্বক, মুদয় ভূষণ দিতে বিভূষিত হইয়। অলোকসামান্স ত্রশালিনী সীতাদেবী শিবিকারোহণে স্বামীসন্দর্শনে চলিলেন। সীতাকে দেখিবার ইচ্ছায় শত শত বানর ও রাক্ষস শিবিকার পাখে ভিড় করিল। বিভীষণ তাহা [ 8७२ ] রামচন্দ্র sistikstas SSASAS A SASGGAMMM S S S ェーで দিগকে অজস্র বেত্ৰাঘাত করিতে লাগিলেন ; কিন্তু রামচন্দ্র ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া বিভীষণকে বলিলেন, “বিপংকালে, যুদ্ধে এবং স্বয়ংবরস্থলে পুরাঙ্গনাদের দর্শন দূষণীয় নছে । সীতার স্থায় বিপদাপন্ন ও দুঃস্থ কে আছে ? তাছাকে দেখিতে কোন বাধা নাই, সীতাকে শিবিক ত্যাগ করিয়া পদব্রজে আমার নিকট মাসিতে বলুন ।” সেই বিশাল সৈন্ত্যমণ্ডলীর মধ্য দিয়া সীতাদেবী কম্পিত্ত-কলেবরে রামচন্দ্রের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । সীতাকে দশন করিয়। রামচন্দ্র বলিলেন—“অস্তু আমার শ্রম সফল, ধে ব্যক্তি অপমানিত হইয়। প্রতিশোধ না নেয়, সে পৌরুষশূন্ত, কৃপাৰ্ছ । অল্প হনুমানের সমুদ্র লঙ্ঘন, সুগ্ৰীব, বিভীষণ এবং সৈন্তবৃন্দের পরিশ্রম সার্থক।” এই কথায়ু সীতাদেবীর চক্ষে আননাশ্র পতিত হইতে লাগিল । গ ও রক্তিমাভ হই য়া উঠিল, র্তাহার হৃদয় উচ্ছসিত হইল। কিন্তু লোকনিন্দাভয় রামচন্দ্রের হৃদয়ে আঘাত করিতে লাগিল,তিনি বহু কষ্টে হৃদয়ের আবেগ সস্বরণ করিয়া বলিলেন—“ঙ্গামি মীনাক{জ্ঞী, রাবণ অামার অপমান করাতে ওtহার প্রতিশোধ লইয়াছি। পবিত্র ইস্কৃাকুবংশের গৌরব রক্ষার্থ আমি যুদ্ধে রাগসকে নিহত করিয়াছি, কিন্তু তুমি রাক্ষসগৃহে ছিলে, আমি তোমার চরিত্রে সন্দেহ করিতেছি। তুমি আমার চক্ষের পরম প্রীতির সামগ্ৰী, কিন্তু নেত্র-রোগী যেরূপ দীপের জ্যোতিঃ সহ করিতে পারে না, তোমাকে দেখিয়া আমি সেইরূপ কষ্ট পাইতেছি। এরূপ পৌরুষবর্জিত ব্যক্তি কে আছে যে, শত্ৰগৃহস্থিত। স্বীয় স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করিয়া মুখী হয় ! তুমি রাবণের অঙ্কক্লিষ্ট, রাবণের দুষ্ট চগে দৃষ্টা, তোমাকে গৃহে লইয়া গেলে আমার পবিত্র গৃহের কলঙ্ক হইবে। আমি যে সুহৃদগণের বাহুবলে এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করিলাম, ইহা তোমার জন্য নহে। অামার ংশের গৌরব রক্ষা করিয়াছি। তুমি যেখানে ইচ্ছ। সেখানে যাইতে পার। অথবা লক্ষ্মণ, ভরত, স্বগ্রীব কিংবা বিভীষণ, हंशप्श्व भर्श शैशरक অভিরুচি, তাহারই উপর আত্মসমপণ কর ।” রামের এই কথায় সীতার মন ব্যথিত হইল। তিনি cषाब्र दाज्ञ्जाब्र श्रदनडबूषौ श्रुंष्णन, णञ्जाग्न cयन निरछब्र শরীরের ভিতয়ে প্রবেশ করিতে চাছিলেন ; কিন্তু তিনি ক্ষত্ৰিয়-রমণী, অপ্রতিম তেজস্বিনী ; চক্ষুল্লাবি-অশ্রুয়াশি এক ছন্তে মার্জন করিয়া গদগদ-কণ্ঠে স্বামীকে বলিলেন—“তুমি আমাকে এই শ্রুত্তি কঠোর দুরক্ষর কথা কেন বলিতেছ ? এই ভাবের কথা ইতর ব্যক্তিগণ তাহাদিগের স্ত্রীদিগকে