পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগ ( পাতঞ্জল ) [ 8१ ] 拳 যোগ ( পাতঞ্জল ) ২ । “ঈশ্বরপ্রণিধানা ৰা।” ( যোগস্থ• ১২৩) অথবা, ঈশ্বরের প্রণিধান হইতে চিত্তবৃত্ত্বির নিরোধ হয়। এস্লম্বন্ধে ভাষ্যকার এইরূপ নির্দেশ করিয়াছেন—“কিমেতন্মাৎ এবাগন্নভমঃ সমাধির্তবন্তি । অথান্ত লাভে ভবতি অষ্টোইপি কশ্চিং উপায়ে ন বেfত। ঈশ্বর-প্রণিধানা বা । প্রণিধানা ভক্তিধানাং ভক্তিবিশেষাদ আবর্জিত ঈশ্বরস্তমকুগ্ৰহ্লাতি অভিধ্যানমাত্রেণ, তদভিধ্যানাদপি যোগিন আসন্নতমঃ সমাধিলাভ ফলঞ্চ ভবতাত্তি।’ ( ১২৩ ব্যাসভায্য ) অর্থাৎ এই অভ্যাস বৈরাগ্য হইতেই কি অচিরে সমাধি. লাভ হয়, অথবা ইহার প্রাপ্তির পক্ষে আরও কোন উপায় আছে ? তদুত্তরে বলি যে, বিশেষ ভক্তিসহকারে আরাধিত इहैtण न्नेश्वब्र ७थमझ श्हेब्रl “हेशंद्र अझैौहे निक रुडे क” dाहेक्लty অনুগৃহীত করেন, এই প্রকার সঙ্কল্পসহকারে ধোগীর সমাধি লাভ সুলভ হয় । ৩ । *প্লচ্ছৰ্দ্দনবিধারণা ভ্যাং বা প্রাণস্ত ।” (যোগস্থ• ১৩৪) অথবা প্রাণের নি:সারণ ও বিধারণ দ্বারা ও চিত্তবৃত্তির নিরোধ হটতে পারে। অর্থাৎ, প্রাণায়াম ও সমাধিলাভের । অন্যতম উপায় । ৪। “বিযয়বর্তী বা প্রবৃত্তিরৎপন্ন মনসঃ স্থিতিনিবন্ধনী”(১৩৫) অথবা, ইঞ্জিয়বিশেধে ধারণ দ্বারা গন্ধাদি বিষয়ের সাক্ষাৎকার হইলেও চিত্ত স্থির হয়। অর্থাৎ, নাসাগ্র, জিহ্বামূল প্রভূতিতে ধারণা করিলে যোগী অলৌকিক গন্ধ রূপ রস স্পশ শব্দ প্রভৃতির অনুভব করেন, তাহাতে তাহার চিত্ত নিবি? হইয়া যায়। অতএব, চিত্তস্থৈৰ্য্যের ইহাও অন্যতম উপায় । ৫ । “বিশোকা বা জ্যোতিষ্মতী।”—( ১৩৬ ) অথবা (হৃৎপদ্মে ধারণা করিলে) যে শোক-রহিত জ্যোতির প্রকাশ হয়, তাহার দ্বারা ও চিত্ত্বের স্থিরতা হইতে পারে । জ্যোতির সাক্ষাংকার ও চিত্ত্বস্থৈৰ্য্যের অন্যতম উপায়। ৬ । “বাঁতরোগ বিষয়ং বা চিত্তম্।”( ১৩৭ ) ‘অথবা যাহারা ধাঁতরাগ, (বিষয়বিরক্ত ) তাছাদের বিষয়ে ধ্যান করিলে ও চি ও স্থির হয় ; অর্থাৎ, নিষ্কাম মহাত্মার ধ্যান ও চিত্তস্থৈৰ্য্যের অন্যতম উপায়। ৭ । “স্বপ্ননিদ্রাজ্ঞানাবলম্বনং ব৷ ”—(১৩৮) “অথবা, স্বল্পজ্ঞান কিংবা নিদ্রাজ্ঞানুকে অবলম্বন করিলেও চিত্ত স্থির হয়। অর্থাৎ, স্বপ্নে মূৰ্ত্তিবিশেষ কিংবা সাত্বিক বৃত্তিকে আশ্রয় করিয়া ও চিত্তস্থৈৰ্য্য লাস্ত করা যাইতে পারে। ৮ । *প্রথাভিমতধ্যানাং বা ”—(১৩৯ ) অভিমত যে কোন বিষয়ের ধ্যান করিলেও চিত্ত স্থির হয়। ধর্থাৎ, অভিমন্তধ্যানও চিত্তস্থৈৰ্য্যেয় অঞ্চতম উপায়। भाषभाशष्ट्रोग्न, ८याँञाज्रोोएजङ्ग रु.एण cशा%ौङ्ग कडक खनि অলৌকিক শক্তিয় সঞ্চার হয় ; ইহাদিগকে বিভূতি বা সিদ্ধি বলে। পাতঞ্জলদর্শনের তৃতীয় পাদে এই সঙ্কল সিদ্ধির সৰিস্তার উল্লেখ আছে। ইহার প্রকৃত যোগসাধনার পক্ষে নছে किङ्खु-अस्वग्नाम्न । -তে সমাধাবুপসর্গ বুখানে পিন্ধয়ঃ”—(৩৩২ ) অর্থাৎ, সমাধিরস্থিতের পক্ষে এই সকল বিভূতি বলিয়া গণ্য হয়, কিন্তু সমাধিযুক্ত যোগীর পক্ষে ষ্টার উপসর্গমাত্র। এই . উপসর্গ কি ? “ৰাধিস্ত্যানসংশয় প্রমাদালস্তাবিরতিভ্রাপ্তিদর্শনালন্ধভূমিকত্বানবস্থিতত্ত্বানি চিত্তবিক্ষেপাস্তে হস্তুরায়াঃ” (যোগসু- ১৩০) যাহা দ্বার চিত্ত্বের বিক্ষেপ হয় অর্থাৎ একাগ্রতা বিনষ্ট হয়, তাছাকে অস্তুরায় বলে, ব্যাধি, স্তান, সংশয়, প্রমাদ, আলস্ত, অবিরতি, ভ্রাস্তিদর্শন, অলব্ধভূমিক ও অনবস্থিতত্ত্ব এই ৯টা অস্তুরায় । - ধাতু, বায়ু, পিত্ত ও কফের বৈষম্য জন্ত ব্যাধি, চিত্তের কাৰ্য্যকারিতা শক্তির অভাবই স্ত্যান, এই বস্তুটী এক্টরূপ কি না ? এইরূপ জ্ঞানই সংশয়, সমাধির উপায়ের অঙ্গুষ্ঠানই প্রমাদ, তমোগুণের আধিক্যবশতঃ চিত্তের এবং কফাদির আধিক্যবশতঃ শরীরের গুরুতাপ্রযুক্ত প্রযত্নের অভাবের নাম আলস্ত, সৰ্ব্বদ। বিষয়সংযোগরূপ তৃষ্ণাবিশেষই অবিরতি, এক বস্তুতে অদ্যবস্তু বলিয়। জানার নাম ভ্রাস্তিদর্শন, মধুমতী প্রভৃতি সমাধিভূমির লাভ না হওয়া অলব্ধভূমিকত্ব। "ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যং মূলমুত্তমং।” শরীর সুস্থ না থাকিলে কোন কাৰ্য্যই হয় না, তাই সুত্রকার প্রথম ব্যাধিকেই বিঘ্ন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। সংশয় ও বিপর্যায় এই দুইটাই চিত্তের বৃত্তিবিশেষ, সুতরাং ধোগ বৃত্তির বিরোধী, কারণ যুগপদ চিত্ত্বের বৃত্তি হয় না, ‘জ্ঞানদ্বয়স্তাযোগপস্থাৎ’ । ব্যাধি প্রভৃতি চিত্তবৃত্তি ন হইলেও ইহার যোগের বিরুদ্ধ বিক্ষেপ বৃত্তি উৎপাদন করিয়া যোগের প্রতিপক্ষ হয়। অস্বয় ও ব্যতিরেক দ্বারাই কাৰ্য্যকারণভাব গৃহীত হয়, সুতরাং অন্তরায় থাকিলে চিত্তের বিক্ষেপ হয়, না থাকিলে হয় না, অতএব ব্যাধি প্রভৃতি অস্তুরার চিত্ত্বের ধিক্ষেপক জানিতে হইবে। সকল বিষয়েই যে পর্য্যস্ত পরিপক্ক না হওয়া যায়, ততদিন বিশেষ সতর্ক থাকিতে হয়, ধোয় সাঙ্গাৎকার না হওয়৷ পৰ্য্যস্ত পদে পদে ধোগভ্রংশ হইতে পারে, অতএব বিশেষ প্রণিধান সহকারে যোগের অনুষ্ঠান করিতে হয় । ->