পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামদাস স্বামী [ 8१७ ] রামদাস স্বামী মনোৰোগ সহ কর নাম সংকীৰ্ত্তন । দুই হাতে থাকে দুই করতাল, বাঞ্জিবার কালে ধরে এক তাল ; খাকে যদি তব মনে দ্বৈতভাব, বিদূরিত করি, ধর প্রেম ভাব ; বোধের মৃদঙ্গ রয়েছে অস্তরে, , মনের আনলে বাজাওরে তারে ; - দাস বলে হবে তবে রাম দরশন ॥ ইছার পর, স্বামীজী বাল্মীকি মুনির এবং অজামীলের বৃত্তীস্থ বর্ণনা করিয়া, শ্রোতৃবর্গকে হরিনামের মাহাত্ম্য বুঝাইয়া দিলেন । এইরূপে কীৰ্ত্তন করিয়া ও উপদেশ দিয়৷ রামদাস স্বামী পণ্যরপুর হইয়া মাস্থলীতে প্রত্যাগমন করিলেন। এখানে কিছু দিন থাকিয়া, রামদাস স্বামী নানাস্থানে গমন করিয়া লোককে ধৰ্ম্মোপদেশ দিতে লাগিলেন। অনেকে তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করিল। স্বামীজী পরীক্ষা না করিয়া কাহাকে ও শিষ্যরূপে গ্রহণ করিতেন না । শেয়াপুরে আকাবাঈ নাম্নী একটী বিধবা স্বামীজীর সহিত ধৰ্ম্ম আলোচনায় দিবস অতিবাহিত করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। তাহার ধৰ্ম্মভাবপরীক্ষা করিবার জন্ত জী তাহার ঘরে প্রবেশ করিয়া তাছার দ্রব্যাদি নষ্ট করিতে লাগিলেন । ইহা দেখিয়া আকাবাঈ হাসিলেন মাত্র । তথন স্বামীজী আকাবাঈকে বলিলেন যে, যদি ধৰ্ম্মপথ অবলম্বন করিতে চাও, তোমার যাছ কিছু অাছে উপযুক্ত পাত্রে দান কর । আকাবাঈ তাহাই করিলেন। পরে, স্বামীজী আকাবাঈকে ভিক্ষা করিতে আদেশ দিলেন। আকাবাঈ মনের আনন্দে স্বামীজীর আজ্ঞা পালন করিতে লাগিলেন । ইহার পর কায়াড় নামক স্থানে, বেমুবাঈ, স্বামীজীর সহিত ধৰ্ম্মালীপে জীবনযাপন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । তাছার বয়স অল্প বলিয়া স্বামীজী র্তাস্থাকে গৃহে থাকিয়া ধৰ্ম্ম সাধন করিতে বলিলেন । কিন্তু, বাটীর লোকের অত্যাচারে তাহাকে স্বামীজীর নিকট যাইতে হইল। স্বামীজীর সহিত ধৰ্ম্মালাপ করিয়া বেকুবাঈয়ের অন্তঃকরণ ক্রমে উন্নত হইতে লাগিল। তিনি ভজন ও কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন । তাহার কীৰ্ত্তন শুনিম্ন লোকে সন্তোষলাভ কল্পিত । এই সময়ে রামদাস স্বামী দাসবোধ” নামক একখানি গ্রন্থ রচনা করিত্তে আরম্ভ করিলেন। কথিত আছে যে, স্বামীজী যাহা মুখে বলিতেন, তাহার শিষ্য কল্যাণস্বামী তাহা णिथिव्र गहेtड़न । ब्रांछ निदालौ ब्रांछकोtई दौङब्रांश्रृं প্রকাশ করান্তে তাছাকে প্রবোধ দ্বিৰায় জঙ্ক এই গ্ৰন্থখানি M রচনা করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত, তিনি, “মনাচে শ্লোক” অর্থাৎ মনের প্রতি উপদেশ, “শ্লোকবদ্ধ রামায়ণ” অর্থাৎ শ্লোক বর্ণিত রামায়ণ, গুরুগীত, আত্মারাম এবং পঞ্চীকরণ প্রণয়ন করিয়াছিলেন । রাজা শিবাজী প্রত্যহ মনোযোগপূৰ্ব্বক “দাসৰোধ” পাঠ করিতেন । মরাঠীভাষায় গ্রন্থ প্রকাশ সে সময়কার পণ্ডিতগণের অনুমোদিত ছিল না । গঙ্গ। পণ্ডিত রাজবাটীতে পুরাণ পাঠ করিতেন। তিনি রাজাকে “দাসবোধ” পাঠ করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন। রাজ তাছার কথা না শোনাতে, তিনি রাজবাটীতে পুরাণ পাঠ করা বন্ধ করিয়াছিলেন। বামন নামক আর একজন বিখ্যাত পণ্ডিত মরাঠাভাষার প্রতি বীতরাগ ছিলেন। কিন্তু, রামদাস স্বামী তাহাকে বুঝাইলেন যে, সংস্কৃতজ্ঞ ব্যক্তি অতি অল্পই আছেন, এজষ্ঠ ভাষায় লিখিত পুস্তক প্রকাশ করিয়া সাধারণের উপকার করা উচিত। এ কথায় বামন পণ্ডিতের মত ফিরিল। তিনি নিগমসার প্রভৃতি গ্রন্থ ভাষায় প্রকাশ করিলেন। ইহার পর, রামদাস আলী প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণ করিয়া চাপড়ে উপস্থিত হইলেন। কথিত আছে যে, এখানকার শ্রীরামচন্দ্রের মন্দিরট তিনি স্বহস্তে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । তাহার শিষ্যগণ প্রস্তর আনিত, আর তিনি নিজে গাথিতেন । ক্রমে রামনবমী উপস্থিত হইল। এই উপলক্ষে, সে দিন উৎসব হইয়াছিল । উৎসব শেষ হইলে পর, স্বামীজী কএকটা স্থান ভ্রমণ করিয়া মাছণীতে প্রত্যাগমন করিলেন । তদনন্তর নানা স্থান দর্শন করিয়া পুনরায় চাপড়ে ফিরিলেন। এই সময়ে রামদাস স্বামীর ইচ্ছ। ইছল যে ভারতবর্ষের নানা স্থানে ধৰ্ম্ম প্রচার করা হয়। এই নিমিত্ত তিনি র্তাহার শিষ্যগণকে আদেশ দিলেন যে, তাহার নানাস্থানে গিয়া ভজন ও কীর্তন করিয়া লোকের মনে ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপন কয় । তিনি শিষ্যগণকে এইরূপ উপদেশ দিলেন যে, তোমরা দিবাভাগে ভিক্ষা করিবে, এবং এই ভিক্ষালব্ধ অন্নের দ্বারা জীবনধারণ করিবে । কখন কিছু সঞ্চয় করিবে না। যেদিন ধtছ! ভিক্ষা করিবে, সেই দিন তাহা ব্যবহার করিবে । রাঞ্জিতে রামগুণ গান ও ভজন করিবে । এই প্রকার সমস্ত বৎসর অত্তিবাহিত করিয়া রামনবমীর পূৰ্ব্বে প্রত্যাবর্তন করিবে ।” রামদাস স্বামীর আজ্ঞানুসারে তাহার শিষ্যগণ ধৰ্ম্মপ্রকাশীর্থ যাত্র করিলেন । এদিকে রামদাস স্বামী পশ্চয়পুরে আসিলেন। পথিমধ্যে স্নাত্রিযোগে যেখানে অবস্থিত্তি করেন, সেইখামে ভজন ও কীৰ্ত্তন করিয়া লোকের মনে ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপন করিয়া দেন ।