পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামনারায়ণ [ [ سراسرا8 রাম, রায়ণ তর্করত্ন এ দিকে মীরকাসিম রামনারায়ণের প্রভূত অর্থভাণ্ডার ও সরকারী রাজস্বের অপব্যবহার-কথা রঞ্জিত করিয়া ইংরাজগবর্ণরকে লিথিলেন এবং জানাইলেন যে রামনারায়ণ প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করিয়াছে, সুতরাং ইংরাজপক্ষের টাকা পরিশোধ করা আমার পক্ষে একান্ত অসম্ভব। ভান্সিটার্ট টাকার লোভে নবাবের কথায় বিশ্বাস করিলেন । তাছা না হইলে বেহার প্রদেশে ক্রমাগত যুদ্ধকাৰ্য্য চালাইতে রামনারায়ণ এত টাকা কোথা হইতে পাইলেন ? ভান্সিটার্ট ও তাছার মতাবলম্বী সদস্তত্রয় যেমন নুতন নবাবের পক্ষসমর্থনে অভিলাষী, তাছার প্রতিপক্ষদল ও সেই রূপ নুতন নবাবের ছিদ্রান্বেষণে তৎপর। উভয়পক্ষের মতভেদে রামনারায়ণের হিসাবপ্রদান ঘটিয়া উঠিল না। ক্রমশঃ ইংরাজসেনাপতি ও নবাবের মধ্যে ঈর্ষ বুদ্ধি পtহতে লাগিল । শাহ আলম্ প্রত্যাবৃত্ত হইলে, নবাব পাটনাদুগে যাইয় বাদশাহের নামে খুৎবাপাঠ ও মুদ্র প্রচার করিবেন এই পরামর্শ করিয়! তিনি ইংরাজসেনাপজিকে দুর্গদ্বার হইতে সিপাহী ও ঠংরাজ-রক্ষাদিগকে সরাইতে আদেশ দিলেন। কুট ইংরাজ রক্ষীদের না সরাষ্টয়া বলিয়া পাঠাইলেন, “চহারা নবাবের অধীন সৈন্ত, তাহার আদেশ পালনে সৰ্ব্বদ প্রস্তুত।” । - } নবাব এই অপমানজনক অবস্থায় দুগে প্রবেশ করিয়া খুৎবা ; পাঠ বা মুদ্রা প্রচার করিক্তে সম্মত হইলেন না। রাম- , নারায়ণের পক্ষ হইতে সেনাপতিকে বুঝান হইল, নবাব বলপূৰ্ব্বক পাটনা অধিকারে সঙ্কল্প করিয়াছেন । নবাবের সেনাদলের একাংশ রাজিতে অল্প স্থা চলিয়। যা ওয়ায় সেনাপতির সন্দেহ দৃঢ়ীভূত হইল। তিনি বিশেষ সতর্কতার সহিত নবাবের গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন । কুটের ব্যবহাৱে মীরকাসিম আপনাকে যথেষ্ট অপমানিত বোধ করিলেন । তিনি সেনাপতির দুর্বাবহার ও রামনারায়ণের কথ। অতিরঞ্জিত করিয়া ভান্সিটার্টকে বিচলিষ্ঠ করিলেন এবং লিম্বিলেন, রামনারায়ণ নবাবের অজ্ঞাতসারে বাদশাকের নামে সিন্ধ। মুদ্রিত ও প্রচারিত করিতেছে, স্বতরাং যদি আমাকে স্থবাদারী পদে রাখিতে হয়, ত{*} হটলে রামনারায়ণকে পদচ্যুত করিয়া অবিলম্বে হিসাবনিকাশের আদেশ দিন। গবর্ণর ভাঙ্গিটার্টের আদেশে পাটনাকুঠীয় মাগেয়ালের কর্তৃত্বাধীনে ও কাপেন কাষ্টেয়ারের অধিনায়কতায় ক্ষুদ্র একদল ইংরাজসৈন্ত ও সিপাহী রাখিয়া কুট ও কাণীক কলিকাতায় অানীভ হইলেন । ইংরাজদল পাটন। ছাড়িয়া চলিয়৷ যাইবামাত্রই মীরকাসিম হিসাবনিকাশের জন্ম রামনারায়ণকে উৎপীড়ন করিতে লাগিলেন । নিকাশ অধ্যক্ষ । পরিষ্কার না হওয়ায় রামনারায়ণ কারারুদ্ধ হইলেন । যথোচিত নিৰ্য্যাতনের পর, তাছার বাসগৃহ হইতে ৭ লক্ষ টাকার সম্পত্ত্বি মাত্র হস্তগত হইল। অবশেষে রাজার বন্ধুবৰ্গকে উৎপীড়ন করিয়া তাহার রক্ষিত বলিয়া আরও ৭ লক্ষ টাকা আদায় করা হইল । যাহারা আকার হঙ্গিতে রাজা রামনারায়ুশের সহায়তা করিতেছিলেন, তাহাদের উপরও অকথ্য অত্যাচার চলিল । নারায়ণের বন্ধু জায়গীরদার রাজা সুন্দর সিংগু ও র্তাহার দেওয়ান গঙ্গাবিষ্ণু, রামনারায়ণের ভ্রাত ধীরাজনারায়ণ এবং চরাধ্যক্ষ রাজা মুরলীধর অশেষ যন্ত্রণ। পাহয় বন্দিবেশে মুর্শিদাবাদে প্রেরিত হলেন । পাটনার কোতোয়াল মহম্মদ ইশাখ ও প্রধান কুঠিয়াল মনসারাম শাহু এবং সমুদায় আঢ্যনাগরিকগণের ধনরত্ব নৰাবের কবলিত হঠল । হতভাগ্য রামনারায়ণ পাটনায় বন্দী রহিলেন । তাহার সধ্বস্ব নবাবের কত্বায়ুত্ত হইল । -r রাম উধু্যানালার্তারে ইংরাজকরে মীরকাশিমের পরাজয়ের কএকদিন পূৰ্ব্বে ১৭৬৩ খৃষ্টাব্যের আগষ্ট মাসে নবাব রামনারায়ণের গলে বালুকাপুণ থলি বাধিয়। গঙ্গাগর্ভে ডুবাইয়্য দিতে আদেশ দেন । ঐ সঙ্গে আরও ক একজন ব্যক্তি নবাবের কঠোর দণ্ডাদেশে ভবলীলা শেয করিতে বাধ্য হন । রাজ রামনারায়ণ এক জন বিশেষ শিক্ষিত লোক ছিলেন । পারসী ভাষায় তিনি একজন স্থপণ্ডিত ছিলেন। তাহার রচিত পারসী ও উদ্ধ, কবিতা পাওয়া যায়। কবিত্ব-শক্তির পরিচয় স্বরূপ তিনি ‘মেজুিন উপাধি লাভ করিয়াছিলেন । রামনারায়ণজাব, রাজভেদ । রামনারায়ণ তর্কপঞ্চানন, নবদ্বীপবাসী একজন গ্রসিদ্ধ নৈয়াত্মিক । রামনারায়ণ তর্করত্ন, একজন বৈদিক ব্রাহ্মণ, কলিকাতার দক্ষিণ ২৪ পরগণার হরিনাভি-গ্রামনিবাসী রামধন শিরোমণির পুত্র । ১৭৪৫ শকে তাছার জন্ম হয় । তিনি প্রথমে গ্রামস্থ চতুষ্পাঠাতে কিছুকাল সংস্কৃতশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া, পরে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি হন । তথায় পাঠ সমাপন করিয়া, তিনি দুই বৎসর মধ্যেই ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ঐ কার্য্যে ব্ৰতী থাকিয়াই তিনি পেন্সন প্রাপ্ত হন ও ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । তর্করত্ন মহাশয় কলেজে অধ্যয়ন-কালে ১৮৫২ খৃষ্টাকে পতিব্ৰতোপাখ্যান এবং বিদ্যালয় ত্যাগ করিবার এক বৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৫৪ খৃষ্টাবো কুলীনকুলগৰ্ব্বস্ব রচনা করেন । অতঃপর তিনি ক্রমে ক্রমে রত্নাবলী, বেণীসংস্থায়, শকুন্তলা, নৰনাটক, মালতীমাধব ও রুক্মিণীহরণ নামক ছয় খানি নাটক