পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় জন্য রাধাকান্ত দেব তৎকালীন প্রধান প্রধান পণ্ডিত সমভিব্যাহারে উপস্থিত ছিলেন। অনেক তর্কযুক্তির পর মুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রী রামমোহন রায়ের মতপ্রাধান্ত স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । নানা বৈষয়ি কবিপ্লবে এতকাল রামমোহন ব্রহ্মোপাসনাপ্রচার জন্য একটী সমাজ সংস্থাপিত করিয়া উঠিতে পারেন নাই । ধৰ্ম্মবিচারে গৌত্তলিক মত খণ্ডনের পর এবং উপরোক্ত মোকদ্দমায় জয়লাভ করিয়া তিলি সানলাহাদয়ে স্বীয় অভাঃসিদ্ধির উদ্যোগ দেখিতে লাগিলেন । তিনি সরলহুদয় আডাম সাহেবের সহযোগে বিশেষ উৎসাহে একেশ্বরবাদপ্রচারে প্রবৃত্ত হন । [ বিস্তৃত বিবরণ ব্রাহ্মসমাজ শবো দেখ। ] এই সময়ে রাজপুরুষদিগের মধ্যে সতীদাহনিবারণ বিষয়ে ঘোরতর আন্দোলন চলিতেছিল । লর্ড ওয়েলেসলী, লর্ড কর্ণওয়ালিস, সরু জর্জ ৰালে, মার্ক ইস্ অব হেষ্টিংস প্রভৃতি গবর্ণর জেনারলগণ সতীদাহ নিবারণের জন্ত নানা উপায় করিলেও, হিন্দুধর্মের মূলে আঘাত লাগিবে ভাবিয়া তাহার প্রকৃতপক্ষে ইহার উৎসাদন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন নাই। এমন কি, তৎকালে খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারক পাদ্রিগণও ইহার বিরুদ্ধে বাঙ নিম্পত্তি করিতে সমর্থ ছিলেন না । ১৮১০ খৃষ্টাব্দে রামমোহনের রঙ্গপুরে অবস্থানকালে, র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃজায় (লগন্মোহনের দ্বিতীয় পত্নী) সহমৃতা ছন। এই ঘটনা হইতে রামমোহনের হৃদয়ে সতীদাহনিবারণের এক বলবতী আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠে। সতীদাহের আমুষঙ্গিক অত্যাচার হ্রাসের জন্ত নিজামভ আদালত যে কুঠোর নিয়ম বিধিবদ্ধ করেন, তাহ রহিত করেবার জন্ত গোড় হিন্দুগণ গবর্ণর জেনারল হেষ্টিংসের নিকট এক আবেদন পাঠান। ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে রামমোহন তাহার বিরুদ্ধে আমার এক আবেদন প্রেরণ করেন। ঐ পত্ৰখানি Asiatic Journal নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উক্ত বর্ষে ৩০ এ নবেম্বর তিনি সতীদাহবিষয়ক প্রথম পুস্তকের ইংরাজী অতুবাদ প্রকাশ করেন। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রবর্তক ও নিবৰ্ত্তকের প্রথম সংবাদ ; প্ৰবৰ্ত্তক ও নিবৰ্ত্তকের দ্বিতীয় সংবাদ এবং ‘বিপ্রনাম’ ও ‘মুগ্ধবোধছাত্র’ নামক হই ব্যক্তির পত্রের উত্তর উপলক্ষে তৃতীয় গ্রন্থ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় গ্রন্থখানি ১৮২০ খৃঃাথে ইংরাজীতে অনুদিত এবং মাকুইস অব হেষ্টিংসের সহধৰ্ম্মিণীর করে উৎসৃষ্ট হয় । এতদ্ভিন্ন সতীদান্থসম্বন্ধে তিনি লংৰাদকৌমুদীতে কএকট প্রবন্ধ প্রকাশ प८ब्रन ा ५४७• धुंडेitक ॐांश ब्र ‘नश्मद्र१ विषब्रक छूऊँीग्न ८.स्वाद' स क्लोरङ्ग हे९ब्राजैो अष्ट्रवान मक्काब्रि७ दङ्ग ।


--- রায়

এই সময়ে লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিক ভারতের বড়লাটপঙ্গে অধিষ্ঠিত। রামমোহন রায়কে প্রচলিত নৃশংস সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধবাদী জানিয়া এবং উছা যে স্থায় ও শাস্ত্রবিরুদ্ধ তাহ তাহার গ্রন্থে পাঠ করিয়া ভারডের মহামান্ত বড় লাট বাহাদুর তাহার সহিত সাক্ষাতের বাসনা করিলেন। উভয়ের সাক্ষাতে সতীদাহনিবারণবিষয়ে অনেক পরামর্শ হইয়াছিল। ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে ৪ঠা ডিসেম্বর বেণ্টিক বাহাদুর এই কুপ্রথা ভারত হইতে বিদূরিত করেন। ১৮৩০ খৃষ্টাবে ১৬ই জানুয়ারী বড়লাটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থ রামমোহন রায় টাউনহলে একটী সভা করেন। টাকার সুপ্রসিদ্ধ জমিদার কালীনাথ রায়চৌধুরী ঐ সভায় বাঙ্গালী ভাষায় লিখিত অভিনন্দনপত্র ও হরিহর দত্ত র্তাহার ইংরাজী অনুবাদ পাঠ করিয়াছিলেন । ঐ অভিনন্দনপত্রে দ্বারকানাথ ঠাকুর, কার্ণীনাথ রায় ও ভেলিনীপাড়ার প্রসিদ্ধ ভূম্যধিকারী অন্নদাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যতীত আর কোন সন্ত্রাস্ত ব্যক্তিই স্বাক্ষর করেন নাই। এই কারণে রামমোহন ঐ অভিনন্দনপত্রের শেষভাগে সাধারণের জন্তু ক্ষম প্রার্থনা করিয়া লিখিয়াছেন —“That your Lordship will condescendingly accept our most grateful acknowledgement for this act of benevolence towards us and will pardon the silence of those who, though equally purtaking the blessing bestowed by your Lordship, have through ignorance or prejudice omitted to join us in this com mon cause.” যাহাতে দেশের লোক সংস্কৃত ও পারস্ত ব্যতীত ইংরাজী ভাষা শিক্ষা করিতে পারে, তদ্বিষয়ে তিনি বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেন। ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে তিনি সকেন্সিল বড়গাট লর্ড মামস্থাষ্ট কে কলেজস্থাপনের প্রার্থনা জানাইয়া এক পত্র লেখেন। তাহাতে তিনি লিথিয়ছিলেন, ইংরাজী শিক্ষা ভিন্ন এদেশীয় লোকের কুসংস্কার দূর করিবার উপায় নাই। পারসী বা সংস্কৃত শিক্ষায় বিশেষ উপকার দর্শিবে.না, মুতরাং সংস্কৃত কলেজস্থাপনের পরিবর্তে একটা ইংরাজী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হউক। তিনি বেদশিক্ষার জন্তু একটা বেদবিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন । ৭৪নং মাণিকতলা ষ্ট্রীটে ঐ বিদ্যালয়ের কার্য্য হইত । ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে খৃষ্টধৰ্ম্মপ্রচারক মহাত্মা ডক্ষ, কলিকাতায় আসেন। রামমোহন রায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তিনি এদেশীয় বালকদিগের শিক্ষার্থ একটি ইংরাজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিবার ৰাসন জানাইলেন। ইংল্লাল্পী শিক্ষার পক্ষপাতী