পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামানুজদর্শন এইরূপে যখন আর্থ তমতের প্রধানভূত জীবপদার্থ নির্ণয় দোষপূর্ণ ও ভ্রান্ত্রিসস্কুল প্রতিপন্ন হইতেছে, তখন ঐ দর্শনের অন্যত্র ভ্রম বা দোষ নাই, ইহা কি প্রকারে সম্ভব হইতে পারে । 韌 অদ্বৈতমত প্রবর্তৃক শঙ্করাচার্যের মতাবলম্বীর বলেন, একমাত্র ব্রহ্মই সত্য এবং শ্রীতি প্রতিপাদ্য । জগৎ প্রপঞ্চ কিছুষ্ট সত্য নহে, সকলই মিথ্যা। যেমন ভ্রমবশতঃ রজ্জ্বতে সর্পভ্রম হইয় থাকে এবং রজ্জ্ব বলিয়। নিশ্চয় হইলে ভ্রম নিবারিত হইয়। ঐ সর্পভ্রমও নিবৃত্ত হয়, সেই রূপ অবিদ্যা দ্বারা এই জগং প্রপঞ্চ ত্ৰক্ষে হইতেছে, এহ্মজ্ঞান হষ্টলেই ঐ অবিস্কার নিবৃত্তি হইয়। জগৎপ্ৰপঞ্চেরও নিবৃত্তি হইয় থাকে। অবিদ্যা ভাব পদার্থ, কিন্তু উহা সৎ বা অসৎ পদার্থ নহে, সুতরাং উহা সদসদনিৰ্ব্বচনীয় নামে খ্যাত । বিস্তু অর্থাৎ ব্ৰহ্মজ্ঞান হইলে ঐ অবিস্তার নিবৃত্তি হয় । কিন্তু এই বিষয়ে যে উপনিষদবাক্য ও অনুভব প্রমাণরূপে অদ্বৈত মতাবলম্বীর উক্ত করিয়াছেন, তদ্বারা উল্লিখিত ভাবস্বরূপ অবিস্কা সিদ্ধ হষ্টতে পারে না। কারণ শ্রুতিতে যে অমৃত শব্দ আছে, তাহার অর্থ সাংসারিক অক্সফলজনক কৰ্ম্ম, এবং যে মায়া শব্দ দৃষ্ট হইয় থাকে, তাছার অর্থ বিচিত্র স্বষ্টিজনক ত্রিগুণাত্মিক। প্রকৃতি, সুতরাং যে সকল শ্রীতি দ্বারা তাঙ্কার অবিদ্যা সিদ্ধ করিয়া এইরূপ সিদ্ধাস্থে উপনীত হন, নিরপেক্ষভাবে বিচার করিয়া দেখিলে ঐ অবিদ্য। কিছুতেই সিদ্ধ করা যায় না। কারণ "আমি জানি না’ ঈদৃশ অনুভব স্বারা ও জ্ঞানাভাবেরই বোধ থাকে ; ভাবরূপ অধিষ্ঠার বোধ হয় না। আর উহাকে যুক্তিসিদ্ধ বলিয়া ও অঙ্গীকার করা যায় না ; কারণ ব্রহ্ম জ্ঞানস্বরূপ, সুতরাং* কিরূপে তাহাকে আশ্রয় কfরয় অবিদ্যারূপ অজ্ঞান থাকিবে ? আলোক আশ্রয়ে কখন কি অন্ধকার থাকিতে পারে ? সুতরাং এই মত নিতান্ত যুক্তিবিরুদ্ধ, ইহা অনায়াসেই প্রতীয়মান হয়। অতএব ভাবক্ষপ আবিষ্ঠা পদার্থ যে অলীক ও যুক্তিবিরুদ্ধ তাহাতে আর সন্দেহ কি ? এইরূপে শঙ্কবাচার্য্য j যখন যুক্তিবিরুদ্ধ বিষয়ের অবতারণা করিয়াছেন, তখন সুধীগণের সেই বিষয়ে কোন মতেই প্রযুক্তি হইভে পারে না । সমস্ত দর্শনশাস্ত্রে যেরূপ একমাত্র দুঃখনিবৃত্তির উপায় মিৰ্দ্ধারিত ইয়াছে, রামামুগ্ধ দর্শনে ও তাহা বিশেষরূপে আলোfচত হইয়াছে । রামাতুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী, তিনি এই দর্শনে তিনটী পদার্থ স্বীকার করিয়াছেন–চিৎ, অচিং ও ঈশ্বর । ইছার মধ্যে চং জীবপদবাচ্য, ভোক্তা, অসঙ্কুচিন্ত, অপরি छट्रे ग्री | | | | | i | |

  • চ্ছিন্ন, নিৰ্ম্মল জ্ঞানস্বরূপ ও নিত্য এবং অনাদি কৰ্ম্মরূপ অবিস্তু

বেষ্টিত। জ্ঞবদারাধনা ও তৎপদ প্রাপ্তি প্রভৃতি জীবের স্বভাব। কেশাস্ত্রকে শতভাগে বিভক্ত করিয়া তাহার একাংশকে পুনৰ্ব্বার শতাংশ করিলে যেরূপ সুক্ষ্ম হয়, জীব সেইরূপ સ્વઃ । অচিৎ পদার্থ ভোগ্য ও দৃশুপদবাচ্য ; অচেতনস্বরূপ জড়াত্মক জগৎ এবং ভোগত্ববিকারাস্পদত্বাদি স্বভাবশালী। ঐ অচিৎ পদার্থ আবার তিন প্রকার—ভোগ্য, ভোগোপকরণ ও ভোগায়তন । যাহাকে ভোগ করা যায়, তাছাকে ভোগ্য, মেমন অন্নপানীয়াদি । যাছা দ্বারা ভোগ করা যায়, তাহাকে ভোগোপকরণ, যথা ভোজনপাত্রাদি ; এবং বাহাতে ভোগ করা যায়, তাহাকে ভোগায়তন কহে, যথা শরীরাদি । ঈশ্বর পরমাত্মা হরি। ইনি সকলের নিয়ামক। সকলের কৰ্ত্ত, উপাদান, সকলের অন্তর্যামী, এবং অপরিচ্ছিন্ন জ্ঞান, ঐশ্বধা, বীৰ্য্য, শক্তি, তেজ: প্রভৃতি গুণাস্পদতারূপ স্বভাবশালী । চিৎ অচিৎ সমুদায় বস্তুই তাহার শরীরস্বরূপ এবং পুরষোত্তম ও বাসুদেবাদি র্তাহার সংজ্ঞ। তিনি পরম কারুণিক, এবং ভক্তবৎসল উপাসকদিগকে যথোচিত ফলপ্রদান করিবার নিমিত্ত লীলাবশে পাচ প্রকার মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া থাকেন । তাহার পচে প্রকার মুক্তি যথা—প্রথম অর্চ। অর্থাৎ প্রতিমাধি, দ্বিতীয় রামাস্তবতার স্বরূপ বিভব । তৃতীয় বামুদেব, সঙ্কর্ষণ, প্রস্থায় ও অনিরুদ্ধ এই চারি সংজ্ঞাক্ৰান্ত বৃহ । চতুর্থ স্বস্ব ও সম্পূর্ণ ষড় গুণ বাসুদেব নামক পরব্রহ্ম, পঞ্চম অস্তগামী সকল জীবের নিঃস্তা । ভগ্নবানের এই পাচ প্রকার মূৰ্ত্তির মধ্যে পূৰ্ব্বপুঞ্চের উপাসনা দ্বারা পাপক্ষয় হইলে উত্তরোত্তরের উপাসনাতে অধিকার হইয় থাকে । প্রথমে প্রভিমাদি পুজা করিয়া চিত্তশুদ্ধি ও ভগবদুভক্তি হইলে পরে রামাদি অবতাররূপ বিভবের উপাসন করিতে হয়। এইরূপ করিতে করিতে দুঃখনিবৃত্তিরূপ মোক্ষ হইয়া থাকে । এইমতে উপাসনাও পাচ প্রকার । অভিগমন, উপাদান, কথা, অধ্যায় ও যোগ । দেবমন্দিরের মার্জন ও অমুলেপন প্রভৃতিকে ও অভিগমন কছে, এবং গন্ধপুষ্পাদি পুজোপকরণের আয়োজনকে উপাদান, পূজাকে ইজ্য, অর্থামুসন্ধানপুৰ্ব্বক মন্ত্র ও স্তোত্রপাঠ, নামসঙ্কীৰ্ত্তন ও তত্ত্বপ্রতিপাদক শাস্ত্রাভ্যাসকে স্বাধ্যায় এবং দেবতামুসন্ধtলকে যোগ কহে । এইরূপ উপাসনা স্বার বিজ্ঞান লাভ হইলে করুণাসিন্ধু ভগৰান্‌ স্বকীয় ভক্তগণকে নিত্য পদ প্রদান করিয়া থাকেন। ঐ পদ গ্রাপ্তি হইলে ভগবানকে যথার্থক্কপে জানিতে পারঃ