রুষিয়া { ৬৬১ ] রুষিয়া পিত্তরের মৃত্যুর পর রুষিয়ায় দুইটা দলের আবির্ভাব কৃষ্টল। একদল বিধবা রাজী ৰাথারাইনকে সিংহাসন দিতে ইচ্ছা করিল, অন্যদল আলেক্সিসের পুত্রকে সম্রাট, করিতে সঙ্কল্প করিল। পিতরের প্রিয়পাত্র মেনসিকফু এই সময়ে অতীব ক্ষমতাশালী হুইয়া উঠিলেন। তিনি পূৰ্ব্বে মস্কে। নগরের পথে পথে রোটিক। বিক্রয় করিতেন । যাহা হউক ইছার মন্ত্রণাকালে রুষিয়া পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী সংস্কৃত প্রথা পদ্ধতি সকল অক্ষুণ্ণ থাকিল। কাথারাইন রাজ্যশাসনে ক্ষমতাশালিনী ছিলেন না । সুতরাং তাহাকে পরের পরামর্শ শুনিয়া চলিতে হইত। ১৭২৭ খৃঃ তাহার মৃত্যু হইল। তিনি আলেক্সিসের পুত্র দ্বিতীয় পিতর এবং তদ ভাবে হলষ্টিনের ডিউকের সহিত পূৰ্ব্বপরিণীতা আয়াকে এবং এলিজাবেথ ও তাহার কথাগণকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়া যান। রাজপ্রতিনিধিত্ব এক মন্ত্রণাসত্তাম্বারা পরিচালিত হইতে লাগিল । এই সভার সভ্যশ্রেণীর দুই কন্যা, হলষ্টিনের ডিউক মেনসিকফ এবং অন্ত ৮ জন সন্ত্রাস্তু ব্যক্তি ছিলেন। প্রকৃত প্রস্তাবে মেন্সিকফই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিলেন। তিনি স্বীয় কন্যার সহিত দ্বিতীয় পিতরের বিবাহ দিতে কাথারাইনের সম্মতি লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু ডলগরকিসের প্রাধান্যে র্তাহার পুৰ্ব্ব ক্ষমতা বিলুপ্ত হইতে লাগিল। তিনি প্রথমে স্বীয় জন্মভূমিতে প্রেরিত,পরে সাষ্টবিরিয়ার আন্তর্গত বেরেজ ফনামক স্থানে নিৰ্ব্বাসিত হন । তথায় ১৭২৯ খৃঃ তাহার মৃত্যু ঘটে । এই সময়ে ডলগঙ্ককিস-দলের প্রাধান্ত হইল। সম্রাটু “এই বংশীর নেটালিয়ার প্রণয়ে পতিত হইলেন এবং তাছাকে বিবাহ করিবেন বলিয়া আশ্বাস দিলেন। নূতন সমাট ২য় পিতরের কার্য্যে স্পষ্টই বোধ হইতে লাগিল, তিনি অচিরে পিতর দি গ্রেটের সংস্কারাবলীর মূলোচ্ছেদ করিবেন । তদক্ষসারে সেণ্টপিটসবর্গ হইতে মস্কেীতে রাজধানী স্থানান্তরিত হইল। কিন্তু অকস্মাৎ ১৭৩০ খৃঃ জানুয়ারী, তরুণ সম্রাট, বসন্তরোগে প্রাণত্যাগ করিলেন। মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে তিনি অচিরস্থত স্বীয় সহোদর নেটালিয়ার নাম লইয়া বলিতে লাগিলেম,—“শকট প্রস্তুত কর, श्राभि छ१िोंनौग्न निकछे গমন করিব।” ইষ্ঠার শাসনকালে উল্লেখষোগ্য বিশেষ কোন ঘটনা ঘটে নাই। কেবল সাৰূলনী প্রদেশের মরিস কোয়লাও প্রদেশ হস্তগত করিবার মানসে হলটিনের বিধবা ডাচেস জারাকে বিবাহ করিবার সঙ্কল্প করেন। ২য় পিতরের মৃত্যুর পরে সিংহাসনের জন্য অনেক প্রাধী উপস্থিত হইল। কিন্তু মন্ত্রিসভা আল্লাকেই সম্রাজ্ঞী মনোনীত করিলেন। তাছারা মনে করিলেন আন্না সৰ্ব্ববিষয়ে XIV అe তাছাদের সন্মতিক্রমে চলিবেন । এই জন্য গুপ্ত মন্ত্রিসম্ভার সভ্যগণ আল্লাকে নিম্নলিখিত মৰ্ম্মে স্বাক্ষর করাইয়া লইলেনঃ( ১ ) এই মন্ত্রণা-সভা উচ্চপদস্থ সন্ত্রাস্তু ব্যক্তি দ্বারা গঠিত হইবে, সম্রাস্ত্রী এই সভার সহিত পরামর্শ করিয়া সকল কাৰ্য্য করিবেন। (২) এই সভার অনুমতি ব্যতীত রাণী যুদ্ধঘোষণা বা সন্ধি করিতে পারিবেন না । অথব। কোন কর নিৰ্দ্ধারণ করিতে পান্নিবেন না। (৩) কুলীন বা সম্রাস্ত সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তিকে তিনি উপযুক্ত বিচার ব্যতীত হঠাৎ প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করিতে অথবা তাহার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিতে পরিবেন না । (৪) তিনি সভার সম্পত্তি খ্যতীত পতিনিৰ্ব্বাচন কিংবা উত্তরাধিকারী নির্ণয় করিতে পারিবেন না । এই সমস্ত নিয়মের অন্যথা করিলে তিনি সিংহাসন হইতে বঞ্চিত হইবেন। আল্প। এই সমস্ত প্রস্তাবে সন্মত হইয়া মস্কোঁতে আসিলেন । তিনি অবিলম্বে জানিতে পারিলেন যে, উক্ত মন্ত্রণা-সভার হস্তে ক্রীড়া-পুত্তলিকা থাকিয় তিনি সাধারণের অপ্রিয়ভাজন হইয়াছেন । প্রকৃত প্রস্তাবে তিনি ক একজন সম্রাপ্ত লোকের অধীন হইয়াছেন। তৎপরে তিনি তঁtহায় পৃষ্ঠপোষকদিগকে সমবেত করিয়া সৰ্ব্বসমক্ষে পূৰ্ব্বোক্ত প্রতিজ্ঞাপত্র ছিন্ন করিয়া ফেলিলেন। এইরূপে রুযিয়ার মন্ত্রণালভার ভিত্তিশিল উৎপাটিত হইল। অার এক্ষণে জৰ্ম্মণ-দেশীয় এক মন্ত্ৰদাতার পরামর্শে পরিচালিত হইয়া পুৰ্ব্ব শত্রুদিগের প্রতি বৈরনির্যাতনে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । রুষিয়ার আবার দুঃসময় উপস্থিত হইল। জম্মণদিগের আর দেশ লুষ্ঠিত হইতে লাগিল । অনেক রুথ ভদ্রলোক নিহত ও সাইবিরিয়ায় নিৰ্ব্বাসিত হইলেন। প্রধান মন্ত্রী ভলনস্কি ১৭৪০ খৃঃ প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হইলেন । বাইবেশের কোপেই তাছার অধঃপতন হইল । এই সময়ে পোলণ্ডের সিংহাসনপুস্ত হওয়ার ষ্টানিসুসকে তথায় প্রতিষ্ঠিত করিতে চেষ্ট হইয়াছিল।, কিন্তু রুষগণ বিরোধী হওয়ায় ষ্টানিসুলের চেষ্টা ফলবতী হইল না। তিনি অতি কষ্টে ডানজিক হইতে পলায়ন করিলেন । এই স্থত্রে তুরুদ্ধের সহিত কৰিয়ার এক যুদ্ধ সংঘটিত হইল। এই যুদ্ধ (১৭৩৫-৩৯ খৃ: ) চারি বৎসর স্থায়ী হইয়াছিল। এই যুদ্ধে অষ্টিয়াবাসিগণ রুষিয়ার প্রতিকূলতাচরণ করিয়াছিল। রুষসেনাপতিগণ এই যুদ্ধে অনেকগুলি নগর অধিকার করেন । অবশেষে অষ্ট্রীয়দিগের সহিত তুরুঙ্কদিগের বেলগ্রেড-নগরে সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। ভদন্থগারে ১৭৩৯ খৃঃ এই যুদ্ধের अदनान श्हेण ॥ २१8० ५ः गञ्चालौ च्भाझाग्न भुङ्का झम्र । ठिनि भ* रु९जग्न ब्रांछछ् कब्रिग्रांछ्tिणन । फिनि छैiशब्ल ভগিনীর পৌত্র অর্থাৎ মেকৃলেনবর্গের ডাচেল, কাথারাইনের
