পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগিন f צף J যোগিন নিয়ম । দ্বিতীয়ে ধেীতি, বস্তী প্রভৃতি ধটুকৰ্ম্ম ও কএক প্রকার কুম্ভকের লক্ষণ ; তৃতীয়ে দশপ্রকার মুদ্রাসাধন বিবরণ এবং চতুর্থ উপদেশে সমাধির বিষয় ও লানারূপ সিদ্ধাবস্থার বৃত্তান্ত লিপিৰদ্ধ আছে। অত্রি ও অনুস্থয়ার পুত্র দত্তাত্রেয় ঋষি ভগবানের ষষ্ঠ অবতার ও পরমযোগী বলিয়৷ ৰণিত হইয়াছেন। তিনি যোগধৰ্ম্ম প্রকাশ করিয়া ভগবন্ধুক্ত প্ৰহলাদাদি সাধকদিগকে উপদেশ দিয়াছিলেন । ( ভাগবত ১·৩ ) মার্কণ্ডেয়-পুরাণে লিখিত আছে যে, তিনি ইচ্ছাপুৰ্ব্বক লোকসংসর্গ পরিভ্যাগ করিয়া বহুকাল সরোবরে নিমগ্ন হুইয়াছিলেন । তৎপ্রতিপাদিত সংহিতায় মন্ত্ৰযোগের নিকৃষ্টত্ব স্থচিত হইয়াছে এবং লয়যোগের স্বচনা প্রসঙ্গে নাস গ্রাভাগে দৃষ্টি, ভূতলে শয়ন, মৃত্যুঞ্জয়ধান প্রভৃতির অঙ্গ ও প্রণালীক্রমে অষ্টাঙ্গ হঠধোগের সাবস্তার বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে । মহর্ষি 研る「び孤立似頭 エび落 “ঘমশ্চ নিয়মশ্চৈব আসনঞ্চ তত: পরম্। গাণায়াম-চতুর্থঃ স্তাং প্রত্যাহারশ পঞ্চমঃ ॥ ষষ্ঠ তু ধারণা প্রোক্ত ধ্যানং সপ্তমমুচ্যতে । সমাধিরঃমঃ প্লে কু: সৰ্ব্ব পুণ্যফলপ্ৰদ: ॥” গোরক্ষ-সংহিতাকার গুরু গোরক্ষনাথ স্বকীয় গ্রন্থে হঠপ্রদীপিক ও দত্তাত্রেয়ুসংহিতার যোগ প্রকরণ-পদ্ধতির অনুসরণ করিলেও যম ও নিয়ম ব্যতীত ষড় যোগাঙ্গের নির্দেশ করিয়াছেন । এতদ্ভিন্ন তদ্‌গ্রন্থে যট্‌চক্র-সাধনের বিশেষ বিবরণ উল্লিখিত হইয়াছে। অহিংসাদি দশ প্রকার ধমনিয়মও পালন ব্যতীত যোগীদিগকে ভোজনবিষয়ে আরও নানাপ্রকার কঠোর নিয়ম পালন করিতে হয় । কেবল পরিমিতাহারই যোগীর পক্ষে প্রশস্ত নহে। অম, লবণ, কটু, তিক্ত, উষ্ণদ্রব্য, হরীত শাক, বদরফল, তৈল, তিল, সর্ষপ, মৎস্ত, মগু, ছাগলাদির মাংস, দধি, তক্র, কুলখ, কলায়, বরাহমাংস, পিন্যাক, হিঙ্গু ও লণ্ডনাদি দ্রব্য যোগীদিগের অভক্ষ্য। গোধূম, শালিধান্ত, বব, যষ্টিকধান্তরূপ সুচারু অল্প, ক্ষীর, অথগুনবনীত, চিনি, মধু, শুষ্ঠ, কপোলকফল, পঞ্চশাক, মুদ্রগ প্রভৃতি ও উত্তমজল প্রভৃতি সামগ্ৰী সংবমীদিগের সুপথ্য বৰিয়া কীর্তিত হইয়াছে।

  • "অহিংসাসত্যমন্তেয়ং ব্রহ্মচৰ্য্যং কৃপাৰ্দ্ধকম্। ক্ষমাধূতিৰ্মিতাহার: শৌচং চেতি যম দশ । তপঃ সন্তোষ আস্তিক্যং দানং দেৰন্ত পূজনস্থ। সিন্ধান্তশ্রষণঞ্চৈব ইমতিচ্চ জপে স্থতম্।

শৈতে নিয়নঃপ্রোক্তযোগশাস্ত্রবিশারচাম”(হঃপ্রীপিক্ষ ১উপ-) বিন্দুধারণ করিলে যোগীদিগের যোগাঙ্গসিদ্ধি ঘটিয়া থাকে। অতএব বিন্দুক্ষয়জনিত আয়ুনাশ ও বলহানি প্রতিবিধান জন্য যোগিগণের সব্বতোভাবে স্ত্রীসংসর্গ পরিত্যাগ করা উচিত। এতদ্ভিন্ন আরও বিধান আছে যে, হঠযোগীরা উপদ্রবণুষ্ঠ নির্জন স্থানে অবস্থিত থাকিয়া যোগমঠে প্রবেশপূৰ্ব্বক যোগাভ্যাস করিবেন। যে স্থানে যেরূপ ভাবে এই মঠ নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়, হঠপ্রদীপিকায় তাহার এইরূপ বিবরণ লিথিত আছে,— 象 “স্বল্পদ্ধারমরন্ধ গৰ্ত্তপিটকং নাতু্যচ্চনীচামৃতম্ সম্যগ গোমধসাম্রলিপ্তমমলং নিঃশেষবাধোজঝিতম্। বাহে মগুপকুপথেদিরচিতং প্রাকারসংবেষ্টিতম্ প্রোক্তং যোগমঠত লক্ষণমিদং সিদ্ধৈহঁঠাভ্যালিভি: ॥” (হঠপ্রদীপিকা ) অর্থাৎ, ধোগমঠ ক্ষুদ্রদ্বারবিশিষ্ট, রন্ধহীন, গৰ্ত্তযুক্ত, নাপ্তি উচ্চ বা নাতি নিম্ন, গোময় দ্বারা সম্যগ রূপে লিপ্ত, পরিষ্কৃত ও যোগের বিশ্নদায়ক দ্রব্য পরিশুম্ভ হওয়া কৰ্ত্তব্য। উহার বাহিরে মণ্ডপ, কুপ ও বেদি রচিত থাকিবে এবং সমগ্র স্থান প্রাচার পরিবেষ্টিত হইবে। আগন্ত পরিত্যাগপুৰ্ব্বক প্রতিদিন সম্মার্জনার দ্বারা মঠ পরিষ্কৃত এবং ধুপ, ধূনা, গুগগুলু ও অস্তান্ত মুগন্ধি দ্বারা মঠ মুবাসিত রাখা যোগীর একাও কৰ্ত্তব্য। তিনি এইরূপে সুবাসিত গৃহমধ্যে উপবেশন করিয়৷ যোগাভ্যাসে নিঃত হইবেন । মোগাসনে উপবিষ্ট হইবার যে সকল কৌশল আছে, যোগীরা তাহাকে আসল বঠিয়ে থাকেন । সৰ্ব্বসমেত প্রায় ৮৪ প্রকার আসনের উল্লেথ দেখা যায়। সংহিতামতে, যোগসাধন ব্যাপায়ৈ যে সকল ও কায় আসন বিহিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে পদ্মাসন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ, কিন্তু হঠপ্রদীপিকায় সিদ্ধাসনেরই প্রাধান্ত কীৰ্ত্তিত দেথা যায়। গোরক্ষসংহিতায় পদ্মাসনের অমুষ্ঠান-বিষয়ে এইরূপ লিখিত আছে,--

  • বামোরূপরি দক্ষিণং হি চরণঃ সংস্থাপ্য বামং তথপ্যন্তোরূপরি তন্ত বন্ধনবিধে ধৃত্বা করাভ্যাং দৃঢ়ম্। অঙ্গুষ্ঠং হৃদয়ে নিধায় চিবুকং নাসাগ্রমালোকয়েদেতব্যোধিবিনাশকারি যমিনঃ পদ্মাসনং প্রোচ্যতে।"

( গোরক্ষ সংহিতা ) এইরূপে আসনবদ্ধ হইয়া প্রাণায়াম করিতে হয়, অর্থাৎ নাসিকাদ্বারা শরীর মধ্যে বায়ুপুরণ ও ধারণ করিয়া পশ্চাৎ রেচন অভ্যাস করিবে। প্রথম অভ্যাসকালে জল ও দুগ্ধপানই প্রশস্ত ; কিন্তু উত্তমরূপে অভ্যস্ত হইলে পর আর এ নিয়ম পালন করিতে হয় স ।