পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেলওয়ে ১৮৪৬ খৃঃ অক্টোবর মাসে ডিরেক্টর-সভ হইতে গৰুর্ণর জেনেরুলের নিকট যে মন্তব্য জাগিয়াছিল, তাহ হইতে উক্ত ভালিকা গৃহীত হইল। এই সকল পথের মধ্যে এই গত ৫০ বৎসরে ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানী কেৰল ১, ৩, ৮, ৯ এই চারিট পথ প্রস্তুত কল্পিআছেন । ৭ম পথট ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে খোলা হহৰে । ইষ্টাৰ্ণ বেঙ্গল ষ্টেট রেল এতকাল পরে সেই প্রাচীন প্রস্তাৰ কাৰ্য্যে পরিণত করিলেন। ওৎকালে বাঙ্গালা দেশের ইঞ্জিনিয়াল্পদিগের মধ্যে লেপ্টেহাণ্ট কর্ণেল ফর্বেস নামে একজন এতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন। তাহারই প্রস্তাৰ অমুসারে প্রথমে কলিকাভ হইত্তে মীর্জাপুরের মধ্য দিয়া দিল্লী পৰ্য্যস্ত রেলপথ নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা হইল। প্রথমে ডিরেক্টরগণ রেল কোম্পাণীকে ৮৯ বৎসরের মিয়াদে রেলপথ নিৰ্ম্মাণে জাদেশ দিলেন, কিন্তু উক্ত আজ্ঞাপত্রে ইহা ও উল্লিfথত আছে যে, গবর্ণমেণ্ট সুবিধা মনে করিলে মিয়াদের সময়ের পুরেও ক্ষতিপূরণ করিয়া যে কোন রেলপথ কিনিয়া লাইতে পারবেন এবং শতকরা ৪ টাকা মুদে ৫ • • • • • • পুডিও টাকা লছবেন, তাহাও বিজ্ঞাপিত হইল। আরও স্থিরীকৃত হুইল যে, প্রতি ম{হল ১৫ • • • পাউণ্ড হিসাবে ৩৩৩ মাইল পথ প্রথমে সম্মিত হুইবে । খরচ বাদে যাহ। লাভ হইবে, তাহ রেলকোম্পানী ও ডিরেক্টরগণ বিভাগ করিয়া লইবেন । পরে ১৮৪৬ খৃঃ ১৯এ ডিসেম্বর ডিরেক্টরগণ মন্তব্য প্রকাশ কল্পিয়। ইষ্টইণ্ডিয়া রেলকোম্পানী এবং গ্রেট ওয়েষ্টাৰ্ণ রেলওয়ে অব বেঙ্গল কোম্পানীকে জানাইলেন। ১৮৪৭ খৃঃ উভয় কোম্পানী একত্র হুইয়৷ ইঃছণ্ডিয়৷ কোম্পানী নাম ধারণ করিল। ১৮৪৭ খৃঃ ১৮ই আগষ্ট রেলকোম্পানী কলিকাত৷ ছইতে দিল্পী পৰ্য্যস্ত রেলপথ নিৰ্ম্মাণে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। এই সময়ে ডিপ্লেক্টরগণ মাজাঞ্জ হইতে আর্কট এবং বোম্বে হইতে কল্যাণ পৰ্য্যস্ত রেলপথ নিৰ্ম্মাণেও আদেশ প্রদান কল্পিলেন। গ্রেটখণ্ডিয়ান্‌ পেনিসুল কোম্পানীর সভাপতি ডিয়েক্টরগণের প্রস্তাৰ অনুসারে কায্য করিতে অগ্রসর হইলেন এবং ১৮৪৮ খু: ৬ই জুন তিনি ডিরেক্টরগণের প্রস্তাবে সন্মতি প্রদান করিলেন। কিছুদিন পরে ইষ্টইণ্ডিয়াকোম্পানী ও•••• এবং গ্রেটইণ্ডিয়া পেনিন্সলার প্লেগকোম্পানী ৩•••• পাউও ডিরেক্টরগণের নিকট জমা দিলেন । ५६ ७५फ tब्र माम बांग सूिर्दtएन ब्र *ारन sw8* शुः २* ५ জাম্বুখারী ডিরেক্টর রেলকোম্পানীদিগকে অধিকতর স্ববিধ প্রদান করিলেন। অবশেষে ১৮৪৯ খঃ ১৭ই আগষ্ট ইষ্টইণ্ডিস্থা [ १२७ 1 রেলওয়ে ও গ্রেটইণ্ডিয়ান পেনিন্স লায় রেলকোম্পানী ডিরেক্টরগণের প্রস্তাৰে সন্মত হইয়। নাম স্বাক্ষর করিলেন । ৪২ সাড়ে চারি ৰৎসর বাদামুবাদের পরে ভারতে রেলপ্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে পাক{ ৰন্দোবস্ত হুইল। উভয় কোম্পানী এক্ষণে রেলপথ-নিন্মঞ্চে বদ্ধপরিকল্প হইলেন । তদানীন্তন রাজকীয় ইঞ্জিনিয়ার কর্ণেল কেনেডী পূৰ্ব্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ারগণের নানা ভ্রমসংশোধন করিয়া এক প্রকাও পুস্তক লিখিলেন । ভারতের রেলওয়ে-ইতিহাসের সহিত কর্ণেল কেনেডির নাম চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে । তিনি যে প্রস্তাব করিলেন, তাছাই কার্য্যে পরিণত হইল । কর্ণেল কেনেডী পুৰ্ব্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ারগণের ভ্রম প্রদর্শনপুৰ্ব্বক বলিলেণ যে,-কলিকাতা হইতে রাজমহলের পাহড়ের মধ্য দিয়া বনারস পৰ্য্যন্ত রেলপথ নিন্মাণ করা অসম্ভব, এইজস্থ গঙ্গা নদীয় সহিত লমাস্তুরাগ ভাবে রেলপথ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে এবং গঙ্গার বামতীয়ে রেলপথ করিয়া চিৎপুর সীমাস্ত ষ্ট্রেশন কল্প অপেক্ষ গঙ্গার দক্ষিণতীরে সীমান্ত ষ্ট্রেশন করিয়া পশ্চিমাভিমুখে রেলপথ বিস্তার করাই যুক্তিসঙ্গত। তিনি গ্রেটছওিয়ান পেনিনসুগার রেলকোম্পানীविr१ब्र8 अम cन४ाहे ब्रl लिtणन । ইষ্টইণ্ডিয় রেলপথ । এই কোম্পানী প্রথমে কলিকাতা হইতে রাণীগঞ্জের কয়লাখনি পৰ্য্যস্ত রেল-বিস্তারের সঙ্কল্প করিলেন । এই স্থান কলিকাতা হহঁতে ১২১ মাইল । এই সময়ের গবর্ণর জেনেরল লর্ড ডালহৌসী রেলকোম্পানীদিগকে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করিতে লাগিলেন। ১৮৪৯ খুঃ আগষ্টমাসে কণিকাওঁ। হইতে রাণীগঞ্জ পর্য্যস্ত রেলপথের “কণ্টtট” ৰিলি হইতে লাগিল। এই কোম্পানীর প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মিঃ টাৰ্ণবুল ১৮৫ খৃঃ মে মাসে কলিকাতায়, আলিঙ্গ পৌছিলেন। ১৮৫১ খৃঃ কলিকাতা হইতে এঁরামপুর পর্য্যস্ত ভূমিখণ্ডের মূল্যনিৰ্দ্ধারণ ও পথের স্থান মীমাংসিত হইল। - মিঃ সিম্স ডিরেক্টরগণের নিকট গ্রস্তাব করিয়াছিলেন ষে, চিৎপুরই সীমাস্ত ষ্টেশন হইবে এবং তখ হইত্তে গঙ্গাৰু ধায় দিয়া ফোটউইলিয়াম পৰ্য্যন্ত একটা রেলপথ নিৰ্ম্মিত হইৰে। কিন্তু ১৮৫• খৃঃ এপ্রিল মাসে তিনি এই সঙ্কল্প ত্যাগ করি। ছাবড়ায় ধীমাস্তষ্টেশন করিবার পন্থামর্শ ছিলেন এবং বলিলেন যে, বারাকপুরের সন্নিহিত পলতাৰাটের লিঙ্কটৰঞ্জী হুগলীনদীর উপরে একট বৃহৎ সেতু নির্মিত হুইৰে। পরে তিনি কাশীপুরের নিকট সেতুনিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা দিয়াছিলেন। মি. লিমূল ইংলণ্ডায় ‘ব্রড-গেজ’ ও ‘ষ্টারো-গেজ'এর মাঝামাঝি