পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম .-- -r দূরে অন্ত ঘরে দেওয়া উচিত। গেৰুড় কাটাই, আণুবীক্ষণক পরীক্ষা ও কোয় মজুত রাখা এ সকল পলুর ঘর হইতে কিছু দূরে অন্ত ঘরে করা উচিত। রেশম কাটাই করিতে গেলে কোয়া ভাপাইতে ও সিদ্ধ করিতে হয়। কি কটা, কি চুণা, কি কালশিরা এই সকল রোগের বীজাণু ৫৭ মিনিটে জলে সিদ্ধ श्डेढ मझिम्न प्लग्न | সাবধান হইবার জন্ত নিৰ্ব্বাচনের পর পলুর ঘর বীজ হইতে ভিন্ন হওয়া উচিত। বীজ যে ঘরে রাখা হয়, সেখানে ইন্দুর ও অপর জম্বর উপদ্রব হইতে পারে। ডালার কোয় ইন্দুর বা পিপীলিকায় না খায়, এইজন্ত পলুর ঘরে যেরূপ বন্দোবস্থ থাকে, বীজের ঘরেও সেরূপ বন্দোবস্ত করা উচিত। মাচানের খুট চারিটীয় নিয়ে মেজের উপর আধহীত উৰ্দ্ধে ৪ খানি শরা বসাইয়া iদলে মাচনের উপর ইদুর উঠতে পারে না। শরা চারিখানি গোবর মাটা দিয়া খুঁটর সহিত ভাল করিয়া আঁটিয়া দিতে হয়। বীজের ঘরে মাচানের উপর হইতেও ইন্দুর আসিতে পারে, এইজন্ত ঐ ঘরে খুঁটা চারটর উপরেও চারিখানি শরা জটিয়া রাখা উচিত। শরা আঁটিয়া রাখিয় তাহার উপর সেঁকো বিষ দিতে হয়। বীজের ঘরে বাশের খুটা না করিয়া যদি উপর হইতে শূিকল ঝুলাষ্টয়া সেই শিকলের উপর কোয়ার ডাল রাখিবার বন্দোবস্ত করা হয়, তাহ হইলে নিম্ন হইতে ইন্দুর বা পিপীলিকা উঠিবার সম্ভাবনা থাকে না। কটা পরীক্ষা করিতে হইলে যেদিন চোক্‌ড়ী ঢাকিয়া বৃথা যায়, তাহার ৫ দিন পরে পরীক্ষা আরম্ভ করতে হয়। পরীক্ষাকালে যে বীজাণুগুলি পুর্ণাবয়ব প্রাপ্ত হইয়াছে, সেইগুলি বাছিয়া লইতে হইবে। কালশিরার বীজ, রসার দানা ও চুণার বীজ এ সকল কিছু দেখিতে হয় না । কটার বীজ পরীক্ষা অতি সহজ, অভ্যাস হইলে প্রতিদিন ৩.০ চোকৃড়ী পরীক্ষা চলিতে পারে। কটারোগের বীজ পাকিলে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা ৬০০ গুণ বাড়িয়া ঠিক তিলের মত দেখায়, ঐ বীজ পাকিতে ১০ হইতে ২০ দিন সময় লাগে। তবে সেই সঙ্গে কালশিরা থাকিলে ১• দিনের মধ্যেই কটার বীজ পাকিয় উঠে। ডিমের দোষে কট' হয় তাহা নহে, ডালায়, ঘরে, চন্দ্র কীতে, কেবল উঠানে, লাট কোয়ার কালারের গাদায় ও নাদী দেওয়া জমিতে এবং বিশুদ্ধ ডিম হইতেও পলুল্ল কটারোগ জন্মিতে পারে। এ কারণ পরীক্ষিতডিমগুলি ও ঘর ডাল প্রভৃতি উড়িয়ার জলে ধুইয়। ইয়া পলু পোষা উচিত। পলু মুখাইবার পূৰ্ব্বে চঞ্জকীগুলি উংগু করিয়া তাঙ্গতেও উতিয়ার জল দেওয়া কৰ্তব্য। কটারোগ এ দেশে শীতকালেই দেখা যায়, অন্ত সময় কটারোগের বীজ, পলুর মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে খাকিস্থা অম্লান্ত রোগ টানিয়া আনে। ৰে ডিমে কটা রোগ নাই, সেই ডিম হইতে পলু পুষিলে অন্যান্য [ १8७ ] রেশম -- রোগ হয় না। কটাযুক্ত বীজ হইতে পলু ২৫ দিনের মধ্যে পাকাইতে পারিলে কিছু কোয় পাওয়া যাইতে পারে। চুণা রোগ হইলে অনেক সময় গন্ধক জালাইয় তাহা নিবারণ করা যায়। রহ অবস্থাতেই চুণারোগের বীজ পলুর গারে উৎপন্ন হয়। এই রোগ সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক সংক্রামক । কটায়োগ যেমন শোদের কলপ শেষ হইবার পরেই দেখা দেওয়া সম্ভব, চুণা রোগ সেরূপ নহে। প্রথম যে দিন কাসারের মধ্যে ২। ১ট পলু দেখা যাইবে, সেই দিনই সকল ডালার ভালরূপে ময়লা পরিষ্কার করিয়া দেওয়া উচিত। যেন কোন ডালাতে মরা পলু না থাকে। প্রথম দিন ময়লা পরিষ্কার করবার পরেই পলুকে পাতা না দিয়া তুতিয়ার জলে পলুর ঘর নিকাইয়া ফেলা উচিত। আধসের গন্ধক জালাইয়। দিয়া দরজা জানাল ৪৷৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখিবে। পরে পলুকে পাত দিলে চুণারোগ কাটিয়া যায়। চুণারোগের পরেই রস রোগ পলুর পক্ষে অনিষ্টকর। যুরোপে রস রোগে পলুর বিশেষ ক্ষতি হয় না, এজন্য যুরোপীয় রেশমতত্ত্ববিদগণ এ সম্বন্ধে কিছুই আলোচনা করেন নাই । রস কি কারণে জন্মে, তাহাও য়ুরোপে জানা নাই। এ দেশে কিন্তু কখন কখন রসারোগে সমস্ত পলুই মারা যায়। এ কারণ এ দেশের রেশমকারিগণ রস রোগের লক্ষণ ভাল করিয়৷ জানিয়া রাখে। এ দেশে অগ্রহায়ণ হইতে বৈশাখ পৰ্য্যস্ত প্রায় অনাবৃষ্টির কারণ বায়ু বেশ শুষ্ক থাকে। ২৩ মাস বৃষ্টি না হইয়া হঠাৎ যদি একদিন অতিশয় বৃষ্টি হয় ও সেই সময় যদি পলু রোজে থাকে, তবে ঐ সমস্ত পলু প্রায় রসায় মারা যায়। আবার কলপ চারিট হইবার সময় একটা পলুও মারা ন গেলে পাকিবার সময় ২৪টা পলুতে রস হয়। পাকিবার সময় এইরূপ য়ুরোপেও ২৫টির রস হইতে দেখা যায়। অধিক দিন বৃষ্টি ন হইয়৷ হঠাৎ একদিন বৃষ্টি হইলে প্ললুকে বড় তুত গাছের পাতা দিলে আর রস হয় না রোজের পলুকে পাতা দিবার সময় কোমল পত্রগুলি ফেলিয়া কড়া পাতা দিলেও সেই পলুতে আর রস হুইবার সম্ভাবনা থাকে না । এ কারণ রেশমচাষিগণের সকলেরই কতকগুলি বড় তুত গাছ থাকা আবশুক । আবগুক হইলেই ঐ গাছের পাতা ভাজিয়া পলুকে খাওয়াইলেই রস নিবারণ করা যাইতে পারে। রোজের পলুকে ছায়। স্থানের পাত খাওয়াইলে রস, লালী ও কালশিরা এই তিন প্রকার রোগই জন্সিয়া থাকে। যে সকল কারণে রসা হয়, সেই সকল কারণে কালশিরা রোগও হইতে পারে, এজন্ত যুরোপন্থ পণ্ডিতগণ এই উভয় রোগকে অভিন্ন বলিয়া ভ্রমে পতিত হইয়াছেন। রস সংক্রামক নহে, কালশিরা রোগই সংক্রামক ।