পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম এ দেশে আট হইতে ১৫ দিনের মধ্যে ডিম মুখায় বলিয়া বড় পলু ভিন্ন অন্ত পলুর ডিম ভাপিয়া যাইতে পারে না, কিন্তু বিলাতে ১০ মাস ধরিয়া ডিম সংগ্ৰহ করিয়া রাথিতে হয়। এই সময়ে ডিমের অযত্ন হইলে তাহ ভাপিয়। যাইতে পারে, কোথাও বা রৌদ্রে ও বায়ুতেও শুকাইয়া যাইতে পারে, অথবা আর্দ্র হইয়া ছাত ধরিতে পারে। এইরূপে দূষিত ডিম হইতে যে পলু হয়, তাহার্তে সচরাচর কালশিরা জন্মে। কিন্তু ঐ গুলি সাবধানে রাপিয়া তুতিয়ার জলে ধুইয়া লইলে আর কালশির রোগ হইতে পারে না । পরিপাকশক্তির হ্রাস, অন্ত্রের মধ্যে রসাল বা দুষ্পাচ্য পত্রের অবস্থান, এবং ত্বক্ হইতে বাষ্পউপশমের বাধা হইলে পলুর অন্ত্রের মধ্যে কালশিরার বীজাণু উৎপন্ন হয়। আবার ভূতের পাতা জলের সহিত মিশাইয় রাখিলে ও তাহাতে কালশিরার অণু জন্মে। কালশিরা হইয়াছে কি না ঠিক করিয়া লইতে হইলে, তাছার অন্ত্রের রস অণুবীক্ষণযন্ত্রের দ্বারা পরীক্ষা করা উচিত। যদি অস্ত্রের রসে কালশিরার অণু না থাকে, তবে কালশিরা হয় নাই, ঠিক করিতে হইবে। অণু থাকিলে তবে নিশ্চয় কালশিরা হইয়াছে জানিবে। কাহারও মতে কালশিরা রোগের বীজাণু একই প্রকার, আবার কাহারও কাহারও মতে এই জাতীয় রোগের বীজাণু দুই প্রকার। এক প্রকার অণু, হইতে গ্যাটা রোগ জন্মে, তাহাই এদেশে সলফ, তাতকে বা স্থাসা নামে প্রসিদ্ধ। কালশিরা রোগের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা আলোচনা করিয়া বৈজ্ঞানিকগণ স্থির করিয়াছেন, হাসা পল, ও কালশিরা পলু একই অণু হইতে জন্মে। অর্থাৎ ঐ দুই cরাগের সংস্বে যে অণুগুলি দেখা যায়, তাহা একই অণুর বিভিন্ন অবস্থা। কালশিরার পলুর মধ্যে যেমন বিন্দুবং অণু থাকে, ছাসা পলুর মধ্যেও সেইরূপ স্বয়খণ্ডের ষ্ঠায় অণু দেখা যায়। স্থাসা পশু মরিয়া গেলে কালশিরা পলুর হ্যায় কৃষ্ণবর্ণ ও পুতিগন্ধযুক্ত হয়। উভয় প্রকার পলু মরিবার অব্যবহিত পুৰ্ব্বে উভয়ের রসেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বয়খণ্ডবং অণু সকল চলাচল করিতেছে, অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা তাহ দেখা যায়, কখন কখন কালশিরা ও কটারোগ একত্র হইয়া পাকিবার পূর্ব দিবসেই হঠাৎ পলু মরিয়া যায়। এ দেশের অনেক পলু ব্যবসায়ীর বিশ্বাস—রাতচোর নামক পেচক জাতীয় এক প্রকার বৃহদাকার পক্ষী পলুর উপর দিয়া গিয়া অভিসম্পাত করাতেই পলুর এইরূপ হঠাৎ মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু এ কুসংস্কারের কিছুমাত্র মূল নাই। হঠাং পলু মরিয়া গেলে তাহাকে উপা-খাওয়া বলে। এরূপ পরের ডালার পলু মরিল না, কিন্তু তাহারই নিমের ২৩ স্থলে উ আবার তাহারই নিয়ের একখানি ডালার পলু সবই মরিয়া গেল, [ १8१ ] কোন পলুর | রেশম ডালার হয়ত কোন পলু ময়ে নাই এরূপ দেখা शग्रहशब কারণ এই ঘরের নিম্নভাগ অপেক্ষ উপর ভাগের বায়ু অধিক দুৰিত। এ কারণ উপ্র খাওয়া মাচানের উপর দিকেই অধিক হয়। সৰ্ব্বোপরিস্থ ডালাখানির পলু প্রায় উপ্র খাওয়া হইয়া মরে না, তাহার কারণ তাহার উপর বায়ু অনেকটা চলাচল করে। মোটের উপর অপরিষ্কার ও আবদ্ধ বায়ুর কারণেই উপা-খাওয়া হইয়া থাকে। আবদ্ধ বায়ুর মধ্যে নিতান্ত ক্ষীণ পলু থাকিলে নিশ্চয়ই তাহদের কালশিরা জন্মে। যে দ্বার ও জানাল দিয়া উত্তপ্ত বায়ু প্রবেশ করিতে পারে, সেই দ্বার জানালা বদ্ধ করিয়া উদ্ধ খিড়কীগুলি খুলিয়া রাখিলে বায়ুর চলাচল হইলে কখনই এইরূপ হয় না। ফাল্গুন চৈত্র মাসে এ দেশে তীতের পাতায় তেমন আঁসি থাকে না বলিয়া ঐ সময়ের পাতা খাইয়া পলুর অবয়ব গঠন সম্বন্ধে কিছু ব্যাঘাত হয় । তাহাতেই লালী বা রাঙ্গী জন্মে। অনেক সময় এই রোগ পুরুষামুক্রমিক হইয়া পড়ে। এ জন্য পাকিবার সময় যে পলুতে অধিক লালী হয়, তাহার সঞ্চ ব্যবহার করা উচিত নয়। লালীর ফরাসী নাম কুর অর্থ খৰ্ব্বাকার । বাঙ্গালা ভাষায়ও ইহার একটী নাম কুরকুটে, অর্থ খৰ্ব্বাকার । পলু কোয় প্রস্তুত না করিয়া লোহিত বর্ণ খৰ্ব্বাকার হইয় পড়ে বলিয়া এইরূপ নাম হইয়াছে। নৈচাপাত, ছায়াস্থানের পাত ও অল্প পাতা থাইতে দিলেও পলুর রাঙ্গী হয়। বর্ষাকালে অথবা আর্টস্থানে কোয় থাকিলে তাহাতে অনেক সময় গাজুল লাগে। গাঙ্গল কোয় হইতে স্থত। বাহির হয় না, এই কোয়া কাটাইবার সময় অনেক বেগ পাইতে হয়, গাজল। কোয় হইতে মোটা থমরুর স্থতাই বেশী পাওয়া যায় । গাজল। দোম নিবারণেরও উপায় আছে ৷ পলু চন্দ্র কীতে রাখিয়া ঐ চন্দ্র কীগুলি কোন ঘরে তাহ উত্তমরূপে আটিয়া তাহার মধ্যে রাখিয়া দাও । সেই আবদ্ধ ঘরে দুই মণ সস্ত পোড়া শামুক বা ঘুটিং রাখিতে হইবে, ঐ ঘুটিংএর প্রভাবে ঘরের বায়ুর জলীয় ভাগ টানিয়া যায়। এখানে কোয় হইতে পলুর মুখ দিয়া যেমন স্বত্র বাহির হয় অমনি শুকাইয়া যায়। এ দেশে কখন কখন দুষ্টট পলুতে একটী কোষ প্রস্তুত করে। অবশ্ব বড় পলু, ছোট পলু ও নিস্তারী পলুর মধ্যে এরূপ কোয় অতি বিরল। যুরোপ, চীন ও জাপানে কখন কখন দুই তিনট পলু একত্র একটা কোয় নিৰ্ম্মাণ করে। এরূপ কোয়াকে গেটে কোয়া ( Double eocoon ) বলে । এ দেশে এক কাহন মধ্যে একটা গেটে কোয় বাহির করাও কঠিন, কিন্তু যুরোপ, চীন ও জাপানে শতকরা কখন কখন ৬-৭৭ট পর্য্যৰ গেটে কোয় দেখা যায় । গেঁটে কোয় কাটাই করা যায় না, এজন্য কেন্থ