পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম কেহ 蕩 পৃথক্ করিয়া লইয়া বীজের জন্য ব্যবহার করে। কিন্তু গেটে কোয়ার বীজ হইতে যে কোয়া হয়, তাহাতে অধিকাংশ গেটে কোয়াই বাহির হইয়া থাকে, সুতরাং গেটে কোয়া ব্যবহার করা উচিত হয়। যুরোপে ও জাপানে অধিক গেটে কোয় জন্মে বলিয়| তথায় ব্যবসায়ীরা গেটে কোয় বেচিয়া প্রায়ই বিক্রেতাকে ঠকাইয় থাকে। ভারতবর্ষের মধ্যে কাশ্মীর ও পঞ্জাবে বম্বিন্ধ ‘মরী (Bombyx mori) জাতীয় অবহু বিলাতী পলুতে গেটে কোয় অধিক দেখা যায়। গেটে কোয়া সঞ্চের জন্য কখনও ব্যবহার করিতে নাই । পলুর পালন। সকল পলুর পালন প্রথা এক প্রকার নয়। বিভিন্ন জাতীয় কয়েকটা পলুর পালন প্রথা লিপিবদ্ধ চইল। বড়পলু —এদেশে যত প্রকার রেশমের কোয়া হয়, তন্মধ্যে বড়পলুই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার বড়পলুর কোয় শ্বেতবর্ণ ও দেখিতে অতিসুন্দর। মেদিনীপুর অঞ্চলে শ্বেত, পীত, হরিত, পাটল এই চারিবর্ণের কোয়া দেখা যায়। বড়পলুর ডিম ফোটাইতে দশমাস লাগে। ইহার ডিম ভাল করিয়া মুখাইতে হইলে কাপড়ের উপর ডিম পাড়ান উচিত, তাহার ১৫ দিন পরে জুলে ধুইয়া ভাল ডিমগুলি কাপড় হইতে খসাইয়া লইতে হয়। পরে ছায়ায় লইয়া শুকাইয় বেলেমাটর ছাড়ীর মধ্যে রাখিয়া হাড়ীর মুখ ভাল করিয়া আঁটিয়া দিতে হয় । ইtড়ীতে রাগিবীর পূৰ্ব্বে হাড়ীর তলায় পেজ তুলা আলগা করিয়া ছাড়াইয়া রাখা উচিত। মশারির কাপড়ের দুইটী থলি চাই, এক একটা থলির মধ্যে ২ ছটাক ওজনের ডিম রাখিবে। থলির মধ্যে ডিম পাতলা ও আলগা ভাবে যেন থাকে। স্থাড়ীর মুখ হইতে থলির ব্যবধানে যেন আট অঙ্গুলি ফাক থাকে। সে ঘরে যেন কোন প্রকার অগ্নিজালান অথবা অধিক বায়ু সঞ্চালন না হয়। রৌদ্রও যেন প্রবেশ করিতে না পারে। অথবা যে খর অধিক শীতল সেই ঘরে ঝুলাইয়া রাখিবে। ১৫ দিন হইতে ২ মাস পর্য্যন্ত বেশী শীত খাওয়াইয়। পরে দিবীরত্রে দশ বার দিন সমান ভাবে ৭৫ ডিগ্রী উত্তাপে রাখিতে পারিলে ডিম বেশ ভাল রকম ফুটিয় উঠে। ইচ্ছা করিলে অতি অল্পকাল মধ্যেও বড়পলুর ডিম ফুটান যাইতে পারে। অত্যধিক শীত খাওয়াইয় পরে উত্তাপে রাখিলে অসময়ে ডিম ফুটিতে পারে। সম্ভ প্রস্তুত বড়পলু বা বিলাতী পলুর ডিম খাট হাইড্রোক্লোরিক এসিডে , ৫ মিনিট ডুবাইয়া জলে ধুইয়া শুকাইয়া লইয়া গরম জায়গায় রাখিয় দিলে ছোট পপুর ডিমের মত ১৯১২ দিন মধ্যেই ফুটিয়া উঠে। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠমাসে বেণী গরম হয় বলিয়া বড়পলু পোষ फेडि नग्न । [ ૧8t ] রেশম বিলাতীপলু।--বিলাতী পলু পালন অনেকটা বড়পলুরই মত। প্রভেদ এই যে বড়পলুর ডিমকে ৬০° হইতে ৫•• ডিগ্রী পর্য্যস্ত ফারেনহিট দিতে হয়, কিন্তু বিলাতী পলুর ডিমকে ৪•• হইতে ৩০° ডিগ্ৰী পৰ্য্যন্ত ঠাণ্ডায় রাথিতে হয় । এ কারণ গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বিলাতীপলু পোষা সুবিধাজনক নহে। বেশী শীত পড়িলে বিলাতী পলুর ডিম দার্জিলিং বা অন্ত কোন উচ্চ শৈলে পাঠাইরা ২১ মাস পরে নিম্ন প্রদেশে আনিয়া গরম জায়গায় রাখিয়া দিলে ১০১২ দিনের মধ্যেই পলু মুখাইয় পড়ে। অপর সময়ে বরফ কলের সহিত বন্দোবস্ত করিয়। সকল সময়ই ৩০ কি ৪•• ডিগ্ৰী ঠাও খাওয়াইতে হয় । মাদ্রাজ সহরের বরফের কারখানায় বিলাতীপলু পালনের উদ্যোগ চলিতেছে। নিম্নবঙ্গে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ ভাদ্র মাসে বিলাতীপলু পালন করিলে প্রায়ই কালশিরা রোগে মারা যায়। আবার সাধারণ এদেণী ভূত পাতা খাইয়া বিলাতীপলু পুষিতে হইলে বড়বড় তুত গাছ প্রস্তুত করিয়া লইতে হয়। এরূপ করিতে পারিলে ছোট পলু বা নিস্তারীপলু অপেক্ষ বিলাতীপলু পোষায় অধিক লাভ আছে। আবার ছোট পলুর পক্ষে বড় উত গাছের পাতা নিতান্ত অনিঃকর। একারণ যিনি বড় বড় উত গাছ করিতে পারেন, তাহার পক্ষে বিলাতীপলু পোষাই কর্তব্য । সূক্ষ্মতা সম্বন্ধে বাঙ্গাল দেশের রেশম শ্রেষ্ঠ বটে, কিন্তু বিলাতী পলুতে আয় বেশা। এদেশী ৫। ৮ট রেশমের কোয়ায় ব্যবহারোপযোগী যতটা রেশম স্বত্র প্রস্তুত হয়, বিলাতী পলুর ৩৪টা একত্র কাটাই করিলে সেইরূপ রেশম প্রস্তুত হইতে পারে। কি বিলাতী পলু কি বড় পলু উভয়ের ডিমই হইবার পরে অন্ততঃ দেড় মাস কাল উষ্ণ স্থানে স্বাধিয়া শীত থাওয়াইবার জন্ত বরফের বক্সে অথবা শীতপ্রধান পাহাড়ে রাখা উচিত। বিলাতী পলুর পালন সম্বন্ধে বিশেষ কোন নিয়ম নাই, কেবল বড়গাছের পাতা অথবা কড়া পাতা খাওয়াইতে পারিলে বিলাতী পলু হইতে ভাল কোয় পাওয়া যায়। শীত খাওয়াইবার পূৰ্ব্বে বড়পলু বা বিলাতী পলুর ডিম তুতিয়ার জলে ডুবাইয়া পরে পরিষ্কার জলে ধুইয়া बाहेऊ शम्न | * e. ছোট পলু ও নিস্তারী পলু—বিলাতী ও বড় পলুকে যেরূপ শীত খাওয়াইতে হয়, নিস্তারী, ছোট পলু ও চীনার পলুর ডিম সম্বন্ধে এরূপ কোন নিয়ম প্রয়োজন হয় না, এই সকল পলুকি শীত কি গ্রীষ্ম সকল সময়েই মুখাইয়া থাকে। এই সকল পলু পালন করা অতি সহজ বলিয়াই বিলাতী ও বড় পলুতে উংকৃষ্ট < রেশম হইলেও, এ দেশের কৃষকের সাধারণতঃ ছোট পলু প্রভৃতি পালন করিয়া থাকে। সকল প্রকার পলুকেই মুখাইবার পূৰ্ব্বে তিয়ার জলে ধুই লণ্ডর আবর্তক।