পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম কাপড় ক্রমাগত ব্যবহার করিলেও ৬ ৭ বংসব স্থায়ী হয়। ১০ গজ লম্বা ও এক গজ চওড়া কেটের থান ৫।৬ টাকায় পাওয়া যায়। চসম । চসম বলিলে ঠিক এক রকম জিনিস বোঝা যায় না – ১ চন্দ্র কী হষ্টতে কোয়া ঝুড়িবার সময় কোয়ার উপর যে আইস বা ফেসে বাদ যায়, তাহার নাম চলম। ২ ফে সোর স্তায় অতি মল্ল মাইসযুক্ত ছেলিয়া কোয়াকে ও চসম বলে। ৩ কাটাই করিবার সময় কোয়ার গুছি বা থাই বাহির করিতে যে রেশম টুকু বাদ যায়, তাহাও চলম। ৪ গেটে কোয়া ক্লাটাই করা যায় না, এ কারণ তাহাকেও চসম বলা হয় । লটি কোয় ও তসরের লাট কোয়া ও চসম বলিয়া গণ্য । ৬ এণ্ডি প্রভৃতি নিকৃষ্ট জ। ঠীয় কোয়াকে ৪ চলম বলা যায় । মুর্শিদাবাদ, রাজদাষ্ঠী ও মালদহ জেলাতে রেশমের লাট কোয় বা চসম চইতে মটক, বিষ্ণুপুর অঞ্চলে লাট তসরের কোয়া কষ্টতে কেটে ; রংপুর, দিনাজপুর, আসাম, পূর্ণিয়,বগুড়া, জলপাইগুটী, কোচবেহার, চট্টগ্রাম, গয়া, শাহাবাদ ও পুর। প্রভৃতি স্থানে এণ্ডির কোয়ায় এণ্ডি নামক কাপড় প্রস্তুত হয় । ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের পূৰ্ব্বে বিলাতে চ্যামের ব্যবহার কেষ্টই জনিত না। ঐ সময় ইষ্টতেই বিলাতে চ্যামের ব্যবঙ্গার আরম্ভ । সেই অবধি তথায় রেশম অপেক্ষ চ্যামের ততাধিক তাদর বাড়িয়া शर्टेब्रु। চসম পরিষ্কার কবিয় ধুলিয়া পিজয়ী লইবার জন্ত বড় বড় কল কারখানা প্রস্তুত হইতেছে। চসমের কারখানায় যেরূপ প্রকাগু প্রকাও ও বচ্চমূল্যের কলের ব্যবহার দেখা যায়, রেশম শিল্পের অন্য অন্য বিভাগে সেরূপ কলের বলবন্ত নই। বিলাতে চসম ইষ্টতে সাটিন, নি?? জার্তায় মখমল ও নানা প্রকার রেশমের কাপড় প্রস্তু ত হইতেছে। 经 ৫ রেশমের , রেশম কাটাই করিবার উপর। কোয়াগুলি রৌদ্রে শুকায় অথবা কাৰ্ব্বন বাইসালফাইড, দিয়া মারিয়া ফেলিতে হয়। বর্ষ ভিন্ন অন্য সময়ে ভাপ খাওয়াইতে হয়। যেখানে বেশী কোয় কাটাই হয়, সেখানে ভাপ দিবার জন্য তুলের আবস্তক। তুঙ্কুলে ৫ মিনিটকাল ১৬•• ডিগ্রী উত্তাপে রাখিয়া দিলে কোয়ার মধ্যস্থ পোকা নিশ্চয় মরিয়া যায়। তুলুল করিবার পরে একদিন রৌদ্রে দিয়া ভাল করিয়া শুকাইয়া লখতে হয়। ঘুটিং চুণের ঘরে কোয় রাশিয়া দিলেও সহজে শুকাইয়া যায়। সেই ঘরে অগ্নি বা আলোক লইয়া যাওয়া উচিত নয় । এদেশে কোয় কাটাই করিয়া স্থত বাহির করিবার জন্য তিনট আয়োজনের আবগুক, ১ম, একটা ঘাই বা গরম জলের পায় যেখানে কোয়াগুলি ঘুরিয়া থাকে ও স্বত दहिग्न [ १¢x ] - রেশম <-- - o: হয়। ২য়, একট চসম অর্থাৎ ছুইটী লৌহশলাকার প্রাপ্ত ভাগে সংলগ্ন দুইট ক্ষুদ্র ও সচ্ছিদ্র চীনা মাটীর পাত্র। যে কাঠফলকের সম্মুখে ঐ শলাক ইট সংলগ্ন থাকে, তাহারই অপরভাগে আরও দুইটী পিত্তলের শলাকা লম্বভাবে খাড় থাকে। ঘাইয়ের মধ্যগত কতকগুলির কোয়ার খাই চলমার একটা ছিদ্র দিয়া তবিলের চরকাতে লাগাইয়া দিতে হয়। ৩য়, তবিল বা চরকী। এই চরকীতে রেশমের খাই আটকাইয়া দিয়া হাতল দিয়া ঘুরাইলে ঘাইয়ের কোয় হইতে স্থত। আপনি খুলিয়া আসিতে থাকে। একটী কোয়া শেষ হইলে তার একটী কোয়া সেইস্থানে তৎক্ষণাৎ রাথিতে হয় এবং তাহারও ঘাই পুৰ্ব্ববৎ লাগাইয়া দিতে হয়। তবিলের উপর লক দুষ্টট ঠিক একস্থানেই পাছে ভাড়াইয়া যায়, তজ্জন্ত তাহার উপরি ভাগে একটী দগু জাতীর সহিত ঘুরিতে থাকে। যে দগুট ঐক্লপে খেলিতে থাকে,তাহার উপরি ভাগে দুইট কাচের ক্ষুদ্র শলাকা খাড়া থাকায় দুগুটী বামে ও দক্ষিণে থেলে বলিয়া লক্ ছুইটী তবিলের উপর একই স্থানে না জড়াইয়া ২/৩ ইঞ্চি স্থান ব্যাপিয়া জড়াইতে থাকে । ইহাতে সুবিধা এই লক ছিড়িয়া গেলেই উহার খাই সহজে খুজিয়া পাওয়া যায় এবং রেশমের বন্দিগুলি কাটাই হইতে, হইতেই শুকাই য়া যায়। বিলাতে রেশম কাটাইএর তিনট প্রণালী প্রচলিত দেখা যায় ;—১, ইতালীয় প্রণালী ২, ফরাসী গুণালী ; ৩, রোটেলিনে গালবিয়াট প্রণালী। ইতালীয় প্রণালীতে কাটাই করিলে একটা কৃতার সহিত নিকটস্থ স্থতায় সম্বন্ধ রাথিতে হয় না। এমন কি, কটাই করিতে করিতে স্থতা ছিড়িয়া গেলে নিকটস্থ স্থতার কাটষ্ট বন্দ রাথিয় সুতার খাই তবিলের সহিত যোগ করিয়া দিবার কোন ত্যাবশ্ব ক হয় না। এই প্রণালীতে স্থত বাহির করিতে গেলে ছুইটী যুগ্ম স্থল্ম কাচের চাকার প্রয়োজন হয়। মাঝে মাঝে সেই চাকা ফুট ভাঙ্গিবার সম্ভাবনা, ঐ চাকা ভারিয়া গেলে সপমাট। ফরাসী প্রণালী প্রায় বঙ্গদেশের প্রণালীর মত ; ইহাতে পাশাপাশী দুইটী স্থত ফের দিয়া কাটাই করিতে হয় । উঃ! অতি সহজ বলি য়া সকলে এই প্রণালীর পক্ষপাতী। রোটেলিলে। গালবিয়াট প্রণালী ইতালীয় অপেক্ষাও জটিল। এই প্ৰণালীতে একই স্থত ছুইটী ভিন্ন স্থানে ফের দিয়া কাটাই করিতে হয়। তজ্জন্তু চারিট সঙ্গ কাচের চাকা দরকার ; অধিকতর সংঘর্ষণ দ্বার শেষ স্থতাগুলি দৃঢ় ও সুগোল ভাবে সন্মিলিত করিয়া স্থত। ৫.স্তত করা যাইতে পারে বলিয়। এই গুটিল প্রণালী অবলম্বিত হইয় থাকে । ইহাতে সৰ্ব্বাপেক্ষ উত্তম সুতা প্রস্তুত হয় বটে, কিন্তু ব্যবহারের পক্ষে নানাবাধাও ঘটে। বঙ্গদেশের প্রণালী অতি সহজ ও অতি অল্প ব্যয়সাধ্য।