পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* সরণ করিও না । কিন্তু লক্ষ্মণের চরিত্র জানিয়া রাম এটি "পুনশ্চ" ছড়ির লক্ষ্মণকে সাবধান কৰি দিলেন। জাজ সেই মিথ্যাবাদীকে বিনাশ করিব, বালীর পুত্র জগন্ন এখন বানরগণকে লইয়া জানকীর অন্বেষণ করুন।” লক্ষ্মণের তীক্ষ অন্যায়বোধ স্নামের ফখায় প্রশমিত হয় নাই। তিনি স্বগ্রীবকে তুম্বকণ্ঠে তৎপনা করির রোষ"রিতাধরে ধন্থ লইয়া দাড়াইয় ছিলেন। ভয়ে বানরাধিপতি র্তাহার কণ্ঠবিলম্বিত বিচিত্র ক্রীড়ামাল ছেদনপূর্বক তখনই রামচন্ত্রের উদেশে যাত্র করিলেন। এতাদৃশ তেজী যুবককে তেজস্বিনী সীতা যে ফুঠোর বাক্য প্রয়োগ করেন, সে কঠোর বাক্য তিনি কিরূপে সহ করিয়াছিলেন, তাহ জানিতে কৌতুহল হইতে পারে। মারীচরাক্ষস রামের স্বর অনুকরণ করিয়া বিপন্নকণ্ঠে “কোথা রে লক্ষ্মণ" বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল । সীতা ব্যাকুল হইয় তখনই লক্ষ্মণকে রামের নিকট যাইতে আদেশ করিলেন। লক্ষ্মণ রামের আদেশ লঙ্ঘন করিয়া যাইতে অসন্মত হইলেন এবং মারীচ যে ঐৰূপ স্বরবিকৃতি করিয়া কোন কুরভিসন্ধিসাধনের চেষ্টা পাইতেছে, তাহা সীতাকে বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন। কিন্তু সীতা তখন স্বামীর বিপদাশঙ্কায় জ্ঞানশূন্ত, লক্ষ্মণকে সাশ্রনেত্রে ও সক্রোধে “তুমি ভরতের চর, প্রচ্ছন্ন জ্ঞাতিশত্র, আমার লোভে রামের অনুবর্তী হইয়াছ, রামের কোন অশুভ হইলে আমি অগ্নিতে প্রবেশ করিব।” এ কথা শুনিয়া লক্ষ্মণ ক্ষণকাল স্তম্ভিত ও বিমূঢ় হইয়া দাড়াইয়া রছিলেন, ক্রোধে ও লজ্জায় তাহার গও আরক্তিম হইয়া উঠিল। তিনি বলিলেন—“দেবি ! তুমি আমার নিকট দেবতাস্বরূপ, তোমাকে আমার কিছু বলা উচিত নহে। স্ত্রী-লোকের বুদ্ধি স্বভাবতঃই ভেদকারী ; তাহার বিমুক্তধৰ্ম্ম, ক্রা ও চপল । তোমার কথা তগুলেীহশেলের মত আমার কণে প্রবেশ করিতেছে,-আমার নিশ্চয়ই মৃত্যু উপস্থিত, চারিদিকে অশুভলক্ষণ দেখিতে পাইতেছি”—এই বলিয়া প্রস্থান করিবার পূৰ্ব্বে সীতাকে বলিলেন, “বিশালাক্ষি । এখন সমগ্র বনদেবতার তোমাকে রক্ষা করুন।” ক্রোধারিতাধরে এই ৰলিয়া গক্ষণ রামের সন্ধানে চলিয়া গেলেন। লক্ষ্মণের পুরুষোচিত চরিত্র সর্বত্র সতেজ, তাহার. পৌরুষদৃপ্ত মহিম সৰ্ব্বত্র অনাবিল,-শুভ্র শেফালিকার ছায় মুনিৰ্ম্মল ও স্থপবিত্র। সীতা কর্তৃক বিক্ষিপ্ত অলঙ্কারগুলি সুগ্ৰীব সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলেন , সে সকল রাম এবং লক্ষ্মণের নিকট উপস্থিত করা হইলে লক্ষ্মণ বলিলেন, “আমি হার ও কেয়ুরের প্রতি লক্ষ্য করি নাই, সুতরাং তাঁহা চিনিতে পারিতেছি না। নিত্য পদ পারিতেছি।” কিষ্কিন্ধ্যার গিরিগুহাস্থিত রাজধানীতে প্রবেশ ১২• ] লক্ষপগড় করিয়া গিয়াসিনী রমণীগণের মূলুর ও কাশ্মীর বিলাসभूषब्रनिचन उमिह शक५ गष्बिठ श्रेऊन ? औरं णब्बी প্রকৃত পৌরুষের লক্ষণ, চরিত্রবা সাধু পুরুষেরাই এইরূপ लब्छ cनषहेिष्ठ *ांtब्रन । पथन अपबिश्वणांचौ मभिङांक्रयाँडै তার তাহায় নিকট উপস্থিত হইল,—তাহার বিশাল শ্রোণী- “ খলিত কান্ধীর হেমন্থত্র লক্ষ্মণের সম্মুখে মৃতরঙ্গিত হইয়া উঠিল, তখন লক্ষ্মণ লজ্জায় অধোমুখ হইলেন। এইরূপ ছুই একটা ইঙ্গিতবাক্যে পরিব্যক্ত লক্ষ্মণের সাধুষের ছবি আমাদের চক্ষের নিকট উপস্থিত হয়। তখন প্রকৃতই র্তাহাকে দেবতার স্থায় পূজা মনে হয়। লক্ষণ, কএকজন গ্রন্থকার ও পণ্ডিত। ১ গুরুবংশটাকারচয়িত। ২ চূড়ামণিসার, দৈবজ্ঞবিধিবিলাস ও রমলগ্রন্থ নামক তিন খানি জ্যোতিগ্রন্থপ্রণেতা । ৩ পরমহংসসংহিতারচয়িত । ৪ সমস্তার্ণবপ্রণেতা। ৫ বৈম্ভকযোগচঞ্জিক ৰ৷ যোগচন্ত্রিক নামক গ্রন্থ-রচয়িত। ইনি দত্তের পুত্র এবং নাগনাথ ও নারায়ণের শিষ্য। ৬ মহাভাষ্যাদর্শপ্রণেতা। মুরারি পাঠকের পুত্র। ৭ প্যামৃততরঙ্গিণীস্থত একজন কবি। ৮ মৃচ্ছকটিকটকা-প্রণেতা লল্লা দীক্ষিতের পিতা ও শঙ্কর দীক্ষিতের পুত্র। লক্ষণ, ১ একজন হিন্দু মহারাজ ছিলেন। কোসামস্থ শিলাফলকে ঐ সস্বত উৎকীর্ণ দেথা যায়। ২ কচ্ছপঘাত বংশীয় একজন রাজা বজদামনের পিতা । ইনি খৃষ্টীয় ১০ম শতাব্দীর শেষ ভাগে বিদ্যমান ছিলেন । ৩ বাঙ্গালার সেনবংশীয় একজন কায়স্থ রাজা । রাজা কেশব সেনের পৌত্রও নারায়ণের পুত্র। ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই নারায়ণকে “নেজেকৃ” নামে ও সেন বংশের শেষ স্বাধীন রাজা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । লক্ষণ আচাৰ্য্য, ১ চওঁীকুচপঞ্চশতী প্রণেতা। ২ জগন্মোহন নামক জ্যোতিগ্রন্থ-রচয়িতা। ও বেদার্থবিচারপ্রণেতা। ৩ পাত্নকাসহস্ৰ, বিরোধপরিহার লক্ষণকবচ (ল্পী ) ১ লক্ষ্মণের স্তুতিজ্ঞাপক স্তোত্রভেদ। ২ ধরণীবিশেষ । L লক্ষণ কবি, ১ কৃষ্ণবিলাসচম্পূরচয়িত। ২ চম্পূরামায়ণ নামক গ্রন্থের যুদ্ধকাও প্রণেতা । লক্ষণকুণ্ডক (দী) তীর্থভেদ। লক্ষণগড়, রাজপুতনার জয়পুর রাজ্যের শেখাবতী জেলার অন্তর্গত একট নগর। জয়পুর রাজ্যের অধীনস্থ সামন্ত শীকর বংশীয় সর্দাররাও রাজা লক্ষ্মণসিংহ কর্তৃক ১৮৯৬ খৃষ্টাৰে এই নগর স্থাপিত হয়। এই নগর দুর্গাদি দ্বারা পরিরক্ষিত এবং জয়পুর নগরের অনুকরণে নিৰ্ম্মিত। এখানে ধনী মহাজনদিগের কএকটা সুন্দর মুনায় অট্টালিকা আছে।