পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੀ লক্ষণাদিত্যরাজপুর, জনৈক কৰি। ইনি ଚ୍ଯ ছিলেন। কবিকণ্ঠভরণে ইহার রচিত শ্লোক উদ্ভূত আছে। লক্ষণাবতী, বাঙ্গলার প্রাচীন রাজধানী। ইহার অপর নাম গৌড়। গৌড়েশ্বর মহারাজ লক্ষ্মণসেন (মতান্তরে সেনবংশীয় শেষ রাজা লছমণিয়া ) গৌড় রাজধানীর নানাবিধ সংস্কার সাধন করিয়া “লক্ষ্মণাবতী” নাম রাখিয়াছিলেন । তৎপরবর্তী মুসলমান ঐতিহাসিকগণও এই নগরকে “লনেীতী” মামে উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। ১২৪৩ খৃষ্টারে কিছু পরে মিনহাজ এই নগরে বাস করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণাবতীর তোরণার এবং অষ্ঠান্ত হিন্দু ও মুসলমান কীৰ্ত্তির নিদর্শন স্বরূপ অস্থাপি যাহা গৌড়রাজধানীতে বিদ্যমান আছে, তৎসমুদ্ৰায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ গৌড় শব্দে আলোচিত হইয়াছে। বর্তমান প্রত্নতত্ত্ববিদগণের অধ্যবসায়ে এই প্রাচীন জনপদের লুপ্ত ইতিহাসের অনেকাংশ বল্লালসেন ও লক্ষণসেন প্রভৃতি সেনবংশীর রাজগণের জীবনেতিবৃত্ত আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে উদঘাটিত হইতেছে, তাহার বিস্তৃত বিবরণ বাঙ্গালার ইতিহাসে বিধৃত হইবে । [ গৌড়, বাঙ্গালা ও সেনরাজবংশ দেখ ] লক্ষণেরু (ত্রি) [ লক্ষণোর দেখ। ] লক্ষণ্য (পুং ) লক্ষ্মণপুত্র। ( ঋক্ ৫৩থ১• ) লক্ষবাহী (স্ত্রী) লক্ষ্যপথ। লক্ষী (স্ত্রী) লক্ষ্যতি পশুতি উযোগিনমিতি লক্ষি (লক্ষে মুন্টু চ। উণ, ৩১৬০ ) ঈ প্রত্যয়ে মুড়াগমশ্চ। ১ বিষ্ণুপত্নী । পৰ্যায়— পদ্মালয়া, পদ্মা, কমলা, শ্ৰী, হরিপ্রিয়া, ইন্দির, লোকমাত, ম, ক্ষীরান্ধিতনয়া, রম, জলধিজী, ভার্গবী, হরিবল্লভ, দুগ্ধান্ধিতনয়, ক্ষীরসাগরত্নতা । ( কবিকল্পলত ) ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে লক্ষ্মীর উৎপত্তির বিষয় এইরূপ লিখিত আছে,—কোন সময়ে নারদ নারায়ণকে লক্ষ্মীর উৎপত্তি ও পূজাদির বিষয় জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন যে, পৃষ্টির অগ্রে রাসমণ্ডলস্থিত পরমাত্মা প্রকৃষ্ণের বামভাগ হইতে লক্ষ্মীদেবী উৎপন্ন হন। তিনি অতিশয় সুন্দরী ও তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভা, তাহার অঙ্গসকল শীতকালে সুখজনক উষ্ণ এবং গ্রীষ্মকালে শীতল, কটিদেশ ক্ষীণ, স্তনম্বর কঠিন ও নিতম্ব অতি বিশাল । এই দেবী স্থিরযৌবন এবং তাহার বর্ণশ্বেতচম্পকতুল্য। তাহার সুপমণ্ডল শারদীয় কোটি পূর্ণচন্দ্রের প্রতীকেওঁ লজ্জা দেয়। লোচনায় শরৎকালীন মধ্যাহের সুবিকলিত পদ্মকেও তিরস্কার করে। এই দেবী উৎপন্ন হইয়াই সহসা ঈশ্বরের ইচ্ছায় দুই রূপে বিভক্ত হন । এই উভয় মূৰ্ত্তিই রূপে, বর্ণে, তেজে, বয়সে, প্রভা, বঙ্গুেৰুত্র, ভূষণে গুণে, হান্তে, দর্শন, } বাক্যে, মধুরম্বরে, নীতিতে ঠিক সমান। এই হই মুৰ্বি |" [ ههد t लकर्धी রাধিক ও লক্ষ্মী। কৃষ্ণের বামাংশসম্ভূত মূৰ্ত্তি লক্ষ্মী এবং দক্ষিণাংশসস্তৃতা দেবীই রাধিক । রাধিক উৎপন্ন হইয়াই শ্ৰীকৃষ্ণকে কামনা করেন। পরে লক্ষ্মীও কৃষ্ণকে প্রার্থন করেন। শ্ৰীকৃষ্ণ এইরূপে উভম্বকত্ত্বক প্রাধিত হইয়া উভয়েরই অভিলাষ পূরণ করিয়াছিলেন। তখন শ্ৰীকৃষ্ণ দক্ষাংশ হইতে দ্বিভূজ ও বামাংশ হইতে চতুভূজ এই দুইভাগে বিভক্ত হন। পরে দ্বিভূজ মূৰ্ত্তিতে কৃষ্ণ রাধিকার্কে গ্রহণ করেন এবং স্বীয় চতুভূজ নারায়ণমূৰ্ত্তি লইয়া লক্ষ্মীর প্রার্থনা পূর্ণ করিলেন। লক্ষ্মীদেবী স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে সমুদয় বিশ্ব লক্ষ্য করেন বলিয়া তিনি দেবীগণের মহতী— : এই জন্য মহালক্ষ্মী নামে খ্যাতা । এইরূপে ৰিভুজ কৃষ্ণ রাধিকাকান্ত এবং চতুভূজ নারায়ণ লক্ষ্মীকান্ত হইয়াছিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ রাধিক ও গোপগোপীর সহিত গোলোকে থাকি-- লেন এবং চতুভূজ নারায়ণ লক্ষ্মীদেবীর সহিত বৈকুণ্ঠে গমন করিলেন । কৃষ্ণ ও নারায়ণ উভয়েই সৰ্ব্বাংশে তুল্য। এই লক্ষ্মীদেবী শুদ্ধসৰস্বরূপ। বৈকুণ্ঠধামই তাছার পুর্ণাধিষ্ঠান নির্দিষ্ট হইল । তিনি প্রেমে নারায়ণকে আবদ্ধ করিয়া সকল রমণীগণের প্রধান হইলেন । এই লক্ষ্মীদেবী ইন্দ্রের সম্পত্ত্বিরূপিণী স্বৰ্গলক্ষ্মীরূপে, পাতালে ও মর্ত্যে রাজগণের নিকট রাজলক্ষ্মীরূপে, গৃহিগণের গৃহে গৃহলক্ষ্মীরূপে, কলাংশ দ্বার গৃহিণী ও সম্পরূেপে, গোগণের প্রস্থতি স্বরভিরূপে, যজ্ঞকামিনী দক্ষিণারূপে, ক্ষীরোদসাগরের কস্তারূপে, চক্ৰন্থৰ্যমগুলে, রয়ে, ফলে, নৃপপীতে, দিবাস্ত্রীতে, গৃহে, সমস্ত শস্তে, বন্থে, পরিষ্ঠতস্থানে, দেব প্রতিমাতে, মঙ্গলঘটে, মাণিক্যে ও মুক্ত প্রভৃতিতে শোভারূপে অবস্থান করিতেছেন । যেখানে যেখামে সামান্তরূপও শোভা দেখিতে পাওয়া যায়, তথার লক্ষ্মীদেবী অবস্থিত। জানিতে হইবে ; কারণ লক্ষ্মীদেবীই একমাত্র শোভার আধার। তাহার অবস্থান ব্যতীত শোভা থাকিতে পারে না । লক্ষ্মীদেবী যেখানে বিরাজিত থাকেন না, তাহা হতশ্ৰী হইয়া থাকে। লক্ষ্মীদেবী প্রথমে বৈকুণ্ঠধামে নারায়ণ কর্তৃক পূজিত হন। পরে ব্ৰহ্মা ও মহাদেব র্তাহাকে পুঞ্জ করেন। অনন্তর ক্ষীরোদসাগরে বিষ্ণু, ভারতে স্বায়ন্ধুৰ মহু, মানবেন্ত্রগণ, ঋষীন্দ্রগণ, মুনীগ্রগণ, সাধুগৃহিগণ ও পাতালে নাগগণ যথাক্রমে তাহার পূজা করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে ব্রহ্ম ভাদ্রমাসের শুক্লাষ্টমী হইতে সমস্ত পক্ষ ভক্তিপুৰ্ব্বক তাহার পুজা দিয়াছিলেন, তদবধিই ত্রিলোক মধ্যে সেই পদ্ধতি প্রচলিত রহিয়াছে। চৈয়; পৌষ ও ভাদ্রমাসে শুদ্ধ ও মঙ্গলজনক দিনে বিষ্ণু তাহার পূজা করেন, পরে ত্রিলোকৰালীও এই তিনমাসে লক্ষ্মীদেবীর পূজা করিয়া থাকে। মৃদু পৌষমাসের সংক্রাত্ত্বিদিনে " প্রাঙ্গণ-মধ্যে লক্ষ্মীর পূজা করেন, ক্ৰমে ইহাও জগতে প্রচারিত