পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোম-সাম্রাজ্য স্বরূপ সামনাইটদিগের নিকট থাকিৰে। যখন এই সংবাদ রোমে পৌছিল, তৎকালে সেনেটের সদস্যগণ প্রতিজ্ঞাপালনে সক্ষত হইলেন না ; তাহারা বলিলেন, সেনাপতিদিগের স্বীকৃত বিষয় পালন করিতে তাহার বাধ্য নহেন। পুনরায় যুদ্ধ চলিতে লাগিল। রোমের অদৃষ্ট আবার প্রসন্ন হইল। ৩০৪ খৃঃ পূঃ রোমকগণ সম্পূর্ণরূপে জয়লাভ করিল। এই সময়ে এটাস্কানগণও পরাজিত হইয়া সকলে রোমের অধীনতা স্বীকার করিল। মধ্য ইতালীর অধিবাসীরাও রোমের সহিত সন্মিতি হইল। ৩•• খৃঃ পূঃ রোমের প্রভুত্ব মধ্য ইতালীত সম্পূর্ণরূপে বন্ধমূল হইয়া পড়িল। রোমের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখিয়া সামনাইটগণ পুনরায় যুদ্ধ ঘোষণা করিল। গলগণ তাহদের সাহায্যাৰ্থ যুদ্ধ করতে চাহিল। মাক্সিমাস ও ডেসিয়াস নামক কন্সলঙ্গয় সসৈন্তে রণক্ষেত্রে যাত্রা করিলেন। ডেসিয়াস্ ভয়ঙ্কর যুদ্ধ করিয়া প্রাণত্যাগ করলেন, ম্যাক্সিমাস জয়লাভ করিলেন। সামনাইটগণ পুনৰ্ব্বার রোমের সহিত একত্র মিলিত হইল। ইহার দশ বৎসর পরে এটাস্কান ও গলসৈন্যগণ ভাডিাম হ্রদের যুদ্ধে রোমকদিগের নিকট সম্পূর্ণ পরাস্ত হইল। এক্ষণে রোমের রাজ্যসীমা দক্ষিণদিকে বৰ্দ্ধিত হইতে চলিল। দক্ষিণ ইতালী পুৰ্ব্বে গ্ৰীকগণকর্তৃক উপনিবিষ্ট হইয়াছিল, এই কারণে এই স্থান মান গ্রীশিয়া বলিয়। কথিত হইত। এই সমস্ত নগরবাসিগণ লুকানিয়ানদিগের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া রোমের সাহায্য প্রার্থনা করিল। রোমকসৈন্য তাহাদিগের সাহায্যার্থ যাষ্টয়া বহুযুদ্ধে ২৮২ খৃঃ পূঃ লুকানিয়ানদিগকে পরাজিত করিল এবং তথায় রোমকসৈন্য স্থাপিত হইল। রোমক কৰ্ম্মল দশখানি নৌকা লইয়া টরেন্টাম নগরের উপকণ্ঠবস্ত্রী সমুদ্র দিয়া রোমে ফিরিতে ছিলেন, এমন সময়ে টরেস্টাইনগণ রঙ্গালয়ের উচ্চ অলিন্দ হইতে তাহা দেখিতে পাইয়া অবিলম্বে সজ্জিত হইয় নৌযুদ্ধে তাহাদিগকে আক্রমণ করিল। ৪ খানি জাহাজ জলমগ্ন হইল। কন্সল ভালেরিয়াস হত হই লেন, অবশিষ্ট কেহ কেহ পলায়ন করিল। রোমের সেনেট এই ঘটনার কারণ জানিতে ইচ্ছুক হইয়া পষ্টমিয়াস নামক এক ব্যক্তিকে দূত প্রেরণ করিলেন। তিনি অভদ্রোচিত ভাবে অপমানিত ইষ্টয়া প্রত্যাগমন করেন। টরেন্টাম্ ও রোমের মধ্যে যুদ্ধ বাধিল । ষ্টয়েন্টাইন গ্রীক্ষগণ এপিরাসের রাজা পিয়হাসের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিল। পিরহাল মনে মনে সমস্ত ইতালী পরাজয় করিয়া এক প্রকাও হেলেনিক সাম্রাজ্য সংস্থাপনের সঙ্কল্প ফণ্ডিতেছিলেন। তিনি মুযোগ উপস্থিত দেখিয়া টরেন্টানজিগের ও সামলাইট যুদ্ধ (২৯৮-২৯• খৃ: পূ:) [ St. J রোম-সাম্রাজ্য প্রার্থনায় সন্মত হইলেন এবং বৃহৎ সৈন্যদল সংগঠন করিতে লাগিলেন। অবিলম্বে তিনি মিলে নামক এক সেনাপতিকে ৩••• পদাতিক সৈন্তসং টরেন্টাম নগরে প্রেরণ করিলেন। অবশেষে (২৮১ খৃঃ পূঃ)তিনি ২•••• পদাতিক, ৩••• অশ্বরোহী এবং ২-টা হস্তী লইয়া রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিলেন। টরেস্টামে পৌঁছিয়া তিনি রঙ্গালয়ের ক্রীড়া কৌতুক বন্ধ করিয়া দিলেন এবং সমস্ত যুবকদিগকে যুদ্ধ শিখাইতে লাগিলেন। রোমক কন্সল ভালেরিয়াস নিৰ্ভিনাস সসৈন্তে লুকানিয়ার মধ্য দিয়া যাত্রা করিলেন । পিরহস্ কৌশল করিয়া সময় লইবার জন্ত রোমক কন্সলের নিকট পত্র লিখিলেন। কন্সল গৰ্ব্বিতভাবে তাঁহাকে স্বদেশে ফিরিতে উপদেশ দিলেন। তখন পিরহাস অগত্যা যুদ্ধ যাত্রা করিলেন। সিরিস নদীতীরে হিরাক্লিয়া নামক স্থানে উভয়পক্ষীয় সৈক সমবেত হইল। পিরহাস প্রথমে অশ্বারোহী সৈন্ত্য লইয়া রোমক-সৈন্ত আক্রমণ করিলেন । রোমক ‘লিজন ভীমৰেগে আক্রমণ প্রতিরোধ করিল। তথন পিরছাস পদাতিক সৈন্ত পরিচালনা করলেন। ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলিতে লাগিল! ৭ বার নূতন আক্রমণ হইল, তথাপি জয় পরাজয় নির্ণত হইল না। তখন পিতৃহাস রণহস্তী চালন, করিলেন । হস্তিগণের পরাক্রমে রোমক সৈন্য বিমুখ হইয়া পলায়ন করিল (২৮০ খৃ: পূ: )। পিরহাস রোমক সৈন্তের বীরত্ব এবং পৃষ্ঠে অস্ত্রাঘাতচিহ্ন না দেখিয়া বলিয়াছিলেন, “আমি এই সৈন্তের চালক হইলে পৃথিবী জয় করিতে পারি।” তিনি দেখিলেন, আয় একটা যুদ্ধ হইলে তাহার অবস্থা শোচনীয় হইবে। তজ্জন্ত ইতালীবাসী গ্রীকগণের স্বাধীনতা প্রার্থনাপুৰ্ব্বক সন্ধিস্থাপনের জন্ত রোমে দূত পাঠাইলেন। গ্রীক-দূত সিনিয়াসের বক্তৃতাচ্ছটায় সেনেটের সদস্যগণ সন্ধির পক্ষপাতী হইয়াছিলেন, কিন্তু স্বদেশবৎসল বৃদ্ধ ক্লডিয়াস কিকাসের উদ্দীপনাপূর্ণ বাক্যে সন্ধিবন্ধন ত্যাগ করিলেন। তখন পিরছা শনৈ: শনৈঃ সসৈন্তে রোমের দিকে অগ্রসর হইলেন। পরে বিপদ বুঝিয়া শীতকালের আশ্রয়ের জন্ত টরেটামে আগমন করিলেন । রোমকগণ এই সময়ে বন্দীর বিনিময় করিবার জন্য পিয়হাসের নিকট দূত প্রেরণ করিলেন । পিরহাস রাজেচিত সন্মান প্রদর্শনপূর্বক রোমক দূত কেত্রিশিয়াসকে অভিনন্দন করিলেন। ক্ষেত্রিশিয়াস্ অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ এবং বিক্রমশালী বলিয়া খ্যাত ছিলেন। তিনি স্বহস্তে হলচালনা করিতেন। পিরাস তাহাকে হস্তগত করিতে সাম, দান, ভেদ ও দও এই চারিনীতি অবলম্বন করিয়াও কৃতকাৰ্য্য হইলেন না । ফেব্রিশিয়ান মন্তু মাতঙ্গের শুওান্দালনেও অচলভাবে দণ্ডায়মান থাকিলেন। পিরহাস