পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাহোর দেখা যায়। তাছার উত্তরপশ্চিম অভিমুখে দেখ নদী তীর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড জঙ্গলাকুত । উপরোক্ত নদীসমূহের অববাহিক প্রদেশ এবং খালপ্রবা- | তি স্থান ব্যতীত এই জেলার আর কোথাও পৰ্যাপ্ত শস্ত । উৎপন্ন হয় না । জলের অভাবই তাহার একমাত্র কারণ। সেখানে কুপ খনন করিয়া জল পাওয়া যায়, অথবা থাল হইতে বা অন্ত কোন কৃত্রিম উপায়ে শস্তক্ষেত্রে জলসেচন করা যায়, তথায় অষ্টান্ত জেলার সমান শস্ত উৎপাদন করিতে পারা যায় ; } কিন্তু বিশেষ চেষ্টা করিলেও তথায় শিয়ালকোট, হসিয়ারপুর বা জলন্ধরের দ্যায় শস্তোৎপাদন করা যায় না। ইরাবতী নদী এই জেলার মধ্য দিয়া এবং লাহোর নগরের সন্নিকট দিয়া প্রবাহিত । মধ্যে মধ্যে ইহার জলগতি পাৰ্ব্বত্য ভূমিতে বাধা প্রাপ্ত হইয়৷ নানা শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হইয়াও | পুনরায় কিছু দূরে আসিয়া পরস্পরে সম্মিলিত হইয়াছে। শতদ্রু ও বিপাশা নদী এক্ষণে জেলার সীমাস্তুভাগে পরস্পরে মিলিত হইয়। প্রবাহিত রহিয়াড়ে। এক সময়ে উহা স্বতন্ত্র শাখায় এই জেলার । মধ্যে প্রবস্থিত থাকিয়া সিন্ধুনদে মিলিত হইয়াছিল। এখনও মাঝার পূৰ্ব্বোক্ত বাধের নিকট বিপাশা নদীর পূর্বতন খাত দৃষ্ট হয়। গ্রামবাসীদিগের মধ্যে কিংবদন্তী আছে যে, ১৭৫০ খৃষ্টাৰে কোন অনৈসর্গিক কারণে এই নদীর গতি পরিবষ্ঠিত হয়। লোকে বলিয়া থাকে, বিপাশা মদীর প্রখরস্রোত প্রবাহিত হইয়। এইস্থানে তপস্তানিরত শিখগুরুর কুটার ভাসাইয়া । লইয়া যায়। সাধক প্রবর তাহাতে কুপিত হইয়া অভিসম্পাত করেন । তদবধি তৎপ্রদেশে বিপাশার গতিরোধ হইয়াছে। কর ও নিয়ান নগয় এবং বহুসংখ্যক প্রাচীন গওগ্রাম এই পুরাতন নদীগর্ভের পাশ্বে অবস্থিত। - [ २8४ ] চাসবাসের সুবিধার জন্ত এষ্ট জেলার চতুদিকে থাল কাটিয়া . ভূমির উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধি করা হইয়াছে। তন্মধ্যে নানা শাখা । বিস্তৃত বড়িদোয়াব খাল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ইহা শতদ্রু হইতে | আরম্ভ করিয়া লাহোর নগর ও মিঞান মীরের সেনানিবাসের মা দিয়া প্রবাহিত হইয়ানিয়াজবেগের নিকট ইরাবতীতে সংযুক্ত। চুইয়াছে । ইহার কন্নুর শাখা ও সোত্ৰাওন শাখা পুনরায় ঘুরিয়া | শতক্ষতে মিশিয়াছে। মোগলসম্রাট শাহজস্থানের প্রসিদ্ধ i স্থপতি আলীমৰ্দ্দন খ এখানকার হস্নী খাল কাটাইয়াছিলেন। ; উঃ পূর্কে শালিমারের বিখ্যাত উদ্যান ও ফোয়ারার জল সরবরা করিত, কিন্তু এক্ষণে বড়িদোয়াব খালের কলেবর পুষ্ট । করিতেছে। এতরি কটাের, খানা ও সোহাগ নামক তিনটা খাত শতস্ক্রর গর্ভ হইতে কাটাইয়া মাঝা ও উক্ত নদীর মধ্যবর্তী ত্রিকোণাকার ভূমিভাগে জলদান করা হইতেছে। লাহোর جنتين حسيجيبيسي باسم مدججيجبجدت- تته عميد بعد এখানে কীকর, সিরীয, তুখ, কল, বান, ফুলাহি, কীল, শিশু, আম্র, বকাইন, আমলতা, বর্ণ, পিপুল, বট প্রভৃতি বৃক্ষ প্রধানতঃ জন্মে। বনভাগে অস্তান্ত নানাজাতীয় বৃক্ষ এবং নেকড়ে চিত, নীলগাই, বনবরাহ ও হরিণাদি পশু এবুং নদীতীর প্রভৃতি স্থানে নানাজাতীয় পক্ষী বিচরণ করিতে দেখা যায়। বহু পূৰ্ব্বকাল হইতে এই জেলা আৰ্য-সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ছিল। এখনও জনশৃষ্ঠ বনান্তরাল-প্রদেশস্থ ধ্বস্ত নগর এবং কুপতড়াগাদি তাছার পরিচয় প্রদান করিতেছে। ঐ সকল প্রাচীন কীৰ্ত্তি অপেক্ষাকৃত উচ্চভূমে অবস্থিত থাকায় অনুমান হয় যে, তৎকালে এখানকার জলরাশি অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্তরে প্রবাচিত ছিল এবং অধিক সম্ভব তৎকালীন স্ট্রশিক্ষিত ও সভ্যদেশবাসিগণ সুকৌশলে আপনাদের প্রতিষ্ঠিত নগরাদিতে জলীনয়নে সমর্থ হইয়াছিলেন। এখনও সেই প্রাচীন আর্যসভ্যতার কএকটা মাত্র নিদর্শন এখানে পরিলক্ষিত হইয় থাকে। এই জেলার ইতিহাস লাহোর নগরের ইতিবৃত্তের সহিত সৰ্ব্বতোভাবে সংযুক্ত। উক্ত নগরের নামানুসারেই এই জেলার । নামকরণ হইয়াছে। আফগানস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত একট স্বপ্রশস্ত রাস্তার উপর অবস্থিত হওয়ায়, এই নগর মাকিদনবীর আত্ত্বেকসালারের ভারতাক্রমণের পূর্ব হইতেও পাশ্চাত্যু বৈদেশিক শত্র হস্তে আক্রান্ত হইয়াছে। পঞ্চনদের সহিত গান্ধীররাজ্যের সম্বন্ধ মহাভারতাদি প্রাচীন গ্রন্থে বিবৃত দেখা যায়। ইসলামধৰ্ম্মস্রোত রোধ করিবার জন্ত এক সময়ে এই নগরে হিন্দুধর্মের একট প্রবল কেন্দ্র স্থাপিত হইয়াছিল। তদনন্তর গজনীরাজংশ এখানে রাজধানী স্থাপন করিলে, ধীরে ধীরে মুসলমানগঞ্জ উপনিবেশ স্থাপন করিতে আরম্ভ করে। অতঃপর মোগলসম্রাট as গণ কিছুকালের জন্য এখানে রাজপাট স্থাপন করিয়াছিলেন। মহারাজ রণজিৎ সিংহের অভু্যদয়ে এই স্থান উন্নতির উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিতে আরম্ভ করে এবং ক্রমে উহ পঞ্চনদ রাজ্যের রাজধানীরূপে পরিগণিত হয়। বর্তমান সময়ে উহ! ইংরাজাধিকৃত একটা স্ববিস্তৃত-প্রদেশের বিচারসন্ধুক্ষপে *

  • প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে।

মাকিদনপতি আলেকসান্দার যে সময়ে ভারত আক্রমণ . . করেন, সেই সময়ে লাহোর জনপদের প্রসিদ্ধির বিশেষ কোৰু . পরিচয় পাওয়া যায় না। খৃষ্টীয় ৭ম শতাৰে যখন চীন-পরিব্রাজক বৌদ্ধতীর্থ পরিদর্শনে ভারতবর্ষে আগমন করেন, তখন তিনি এই স্থান অতিক্রম করিয়া জালঙ্কর উপস্থিত হইয়াছিলেন। তঃকালে লাহোর নগর ব্রাহ্মণ্যধর্শ্বের কেন্দ্রস্থান ছিল। উক্ত শতাদের শেষভাগে যখন মুসলমানগণ সর্বপ্রথম ভারতব আক্রমণ করেন, তখন লাহোর নগরে আজমীর রাজবংশের একজন রাজা 3.