পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোপামুদ্র [ రి( ) লোপামুদ্র দক্ষিণাভিমুখে আসিয়া এই স্থানের আমি অধিবাসী কামানগারদিগকে বিতাড়িত করিয়া আপনার এই নগর অধিকার পূৰ্ব্বক বাস করে। এখনও নিকুন্তগণ এই স্থানের সত্বাধিকারী রহিয়াছে । লোনেলী, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর পুণাজেলার অন্তর্গত একটা নগর। ভোর গিরিসঙ্কটের সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত। গ্রেটইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলপথের দক্ষিণপূৰ্ব্ব শাখার মধ্যে ইহা একটী প্রধান স্থান। এখানে রেলকোম্পানীর কারখানা থাকায় বহু যুরোপীয় ও দেশীয় লোকের বাস হইয়াছে। নগরের ২ মাইল দক্ষিপে রেলকোম্পানীর একটা মুন্দর গাথনীকর বঁধে আছে। ঐ বাধের জল নগরবাসীর গৃহে গৃহে পরিচালিত হইয়া থাকে। এখানে অনেকগুলি সুন্দর অট্টালিকা, প্রোটেষ্টান্ট ও রোমান কাথলিক ধৰ্ম্মমন্দির, মেসনিক লজ, রেলওয়ে স্কুল, কো-অপারেটিভ ষ্টোর প্রভৃতি বিদ্যমান দেখা যায়। নগর পাশ্বে একট সুন্দর বন আছে। লোপ (পুং ) লুপ-ঘঞ, ১ ছেদ। ২ আকুলীভাব। ৩ অভাব। “সোহহমিজ্যা বিশুদ্ধাত্মা প্রজালোপনিৰ্মীলিতঃ । প্রকাশক্ষাপ্রকাশণ লোকালোক ইবাচল ॥" ( রঘু ১৬৮) • ব্যাকরণমতে বর্ণনাশ, যাহাতে বর্ণের লোপ অর্থাৎ নাশ হয়। সকল বিধি অপেক্ষ লোপবিধি বলবান। “সকলেভো বিধিভ্যঃ স্তাম্বলী লোপবিধিস্তথা । লোপস্বরাদেশয়োস্ক স্বরাদেশে বিধিবলী ॥” ( দুর্গাদাস ) লোসক (ত্রি) নাশকারী, বিঘ্নকারী। লোপন (ক্লা) লুপ-লুটু। নাশন। শকতার দূষণঞ্চৈব বাৰ্দ্ধব্যং ত্রতলোপনম্। ভড়াগারামদারাণামপত্যন্ত চ বিক্রয় ” ( মন্ত্র ১১৬২ ) ८लाश्रीक (१) cगाणः नैशमननमकडि थाएझाडौडि অক জ• শৃগাল ভেদ। চলিত লেয়ে, খ্যাক্শিয়াল, ইহাকে লাঙ্গলকমৃগও কহে। (ত্রিকা” ) লোপাপক (পুং ) লোপং দ্রুতমদর্শন আগ্নোতীতি আপ-খুল। শৃগাল ভেদ । ( শলমাল ) লেসপিক (স্ত্রী) লোপাপক স্থিয়াং চাপ অত ইং। শৃগালী। ( শলমাল ) ( ) লোপয়তি যোধিতাং রূপাভিধানমিতি লোপ পচাগুণ, আমুদ্রয়তি স্ৰষ্ট হুষ্টিমিতি আমুদ্ৰা-অ', ততঃ কৰ্ম্মধারয়, কিংবা ন মুদ্রং রাতি অমুদ্র পতিগুঞ্জবায়া লোপে অনুগ্রা। অগস্ত্যমুনির পত্নী। স্মৃতিতে লিখিত আছে যে, ভাদ্রমাসের শেষ তিন দিনে জগস্তাৰে ও তৎপরে লোপামুত্রীকে অর্ঘ্য দিতে হয় । “অপ্রাগুে ভাস্করে কস্তাং শেষভূতৈন্ত্রিভিৈিনঃ ॥ অর্থ্যং দম্বারগস্ত্যায় গৌড়দেশনিবাসিনঃ ॥” ( মলমাসতত্ব ) এই অর্ঘ্য দক্ষিণদিকে শখে জল রাখিয়া শ্বেতপুষ্প, অক্ষত ও চন্দ্রনাদি রচনা করিয়া নিয়োক্ত মন্ত্ৰপাঠপূৰ্ব্বক দিতে হয়। “শখে তোয়ং বিনিক্ষিপ সিতপুষ্পাক্ষতৈযুতম্। মন্ত্ৰেণানেন বৈ দম্ভাদুদক্ষিণাশামুপস্থিত: ॥” অর্থ্যদানমন্ত্র“কাশপুষ্পপ্রতীকাশ অগ্নিমারতসম্ভব। মিত্রাবরণয়োঃ পুত্র কুম্ভযোনে নমোহন্তু তে।” প্রার্থনামন্ত্ৰ— “আতাপির্তক্ষিতে যেন বাতাপিশ্চ মহাসুরঃ । সমুদ্রঃ শোষিতে যেন স মেহগস্ত্যঃ প্ৰসীদ তু ॥” লোপামুদ্রার অর্ঘ্যদানের মন্ত্ৰ— “লোপামুদ্রে মহাভাগে রাজপুত্রি পতিত্ৰতে। গৃহাণাৰ্য্যং ময় দত্তং মৈত্রাবন্ধণিবল্লভে ।” ( মলমাসতত্ত্ব ) মহাভারতে লোপামুদ্রার জন্মাদির বিবরণ এইরূপ লিখিত আছে । মহর্ষি অগস্ত্য একদা তাহার পিতৃগণকে এক বিবর মধ্যে লম্বমান দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে, আপনার কি জন্ত এইখানে অতিকষ্টে এরূপ ভাবে অবস্থান করিতেছেন, তাহাতে র্তাহারা বলিয়াছিলেন যে, পুত্র অগস্ত্য ! তুমি পুত্র উৎপাদন করিয়া আমাদের এই নিরয় হইতে উদ্ধার কর, ইহাতে তোমারও মঙ্গল হইবে । তখন অগস্ত্য র্তাহাদিগকে কহিলেন, আমি আপনাদের এই অভিলাষ পূর্ণ করিব। তৎপরে অগস্ত্য আপনি পুত্ররূপে জন্ম গ্রহণ করিবেন স্থির করিলেন, কিন্তু মনোমত কন্যা দেখিতে পাইলেন না। পরে তিনি মনে মনে বিবেচনা করিয়া যে প্রাণীর যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অতি উৎকৃষ্ট, সেই সেই প্রাণীর সেই সেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মনে মনে সংগ্ৰহ করিয়া তৎসদৃশ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা একটা কষ্ট নির্মাণ কারলেন। এই সময়ে বিদর্ডাধিপতি অপত্যের নিমিত্ত তপস্যা করিতেছিলেন। অগস্ত্য আপনার জন্ত নিৰ্ম্মিত এই কন্ঠ বিদর্ভরাজকে প্রদান করিলেন। রাজা এই কস্তার নাম লোপামুদ্রা রাখিলেন। ক্রমে এই কষ্ঠা যৌবনসীমায় অধিরোহণ করিল। মহর্ষি অগস্ত্য লোপামুদ্রাকে যখন গার্হস্থ্যের উপযুক্ত বোধ করিলেন, তখন তিনি বিদৰ্ভনাথের নিকট গিয়া কছিলেন, রাজন। পুত্রের নিমিত্ত আমার গার্হস্থ্য ধর্শ্বে রতি হইয়াছে, অতএব আপনি আমার লোপামুদ্রাকে প্রত্যৰ্পণ করুন। তখন রাজা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া রাষ্ট্ৰীকে এই কথা বলিলেন, রাষ্ট্ৰীও কোন সম্ভুক্তর করিতে গারিলেন না, তখন লোপামুদ্র রাজা ও রাজীকে কাতর দেখিয়া কছিলেন, পিতঃ ! আপনি