পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশবাটী [ లిస్క్రిe I বংশবাটী পোৰাক ) খিলাত দিয়াছিলেন এবং রাজপদ্ধৰী সন্মানের সহিত রক্ষা করিৰার জন্য বঁাশৰেড়িয়া গ্রামে ৪৯১ বিঘা জমি জায়গীর এবং কলিকাতা, বালিমা, হাতিয়াগঞ্চ, জালোয়ারপুর, মেদনমল, মাগুর, ধার্শা, খালোড়, মানপুর, সুলতানপুর, কুঞ্জপুর ও কাউমিয়া মামক স্বাদশট পরগণার জমিদারী দিয়াছিলেম । উহার একখানি লনমোয় অঙ্কুবাদ দিয়ে দেওয়া গেল :– “রাজ রামেশ্বর স্থার মহাশয় বরাবরেষু— মোকাম বঁাশবেড়িয়া, পরগণে জার্শ সরকার লাতুর্গ পরগণ অধিকারে জানিয়া ও জরিপ জমাবন্দী কষ্ক্রিয়া যে হেতু তুমি রাজ্যশাসনের সাহায্য করিয়াছ এবং ধর্থন যে কাৰ্য্য তোমাকে তার দেওয়া গিয়াছে, যে হেতু তুমি যথেষ্ট ধরে সহিত তাহা সম্পন্ন করিয়াঙ্ক, এজঃ তোমাকে পুরস্কার দেওয়া উচিত। তোমার গুণের পুরস্কার স্বরূপ তোমাকে পঞ্জ পাট্র খিলাত্ত ও “রাজা মহাশয়" উপাধি দেওয়া হইল। পুরুষানুক্ৰমে তোমার বংশের জ্যেষ্ঠ পুত্র এই উপাধি ধারণ ক্ষরিৰে, ইহাতে কেহ কোন আপত্ত্বি করিতে পরিবে না। ১• সক্ষর ১৯৯৪ হিজরী ? বাশবেড়িয়ার বাসুদেবমন্দিরও রাজা রামেশ্বর কর্তৃক স্থাপিত। ইহা ইষ্টক নিৰ্ম্মিত এবং ক্যুপরি নানা শিল্পনৈপুণ্য খচিত । दोषूक्व भविद्र । ১৮৭১ শকাম্বে ( ১৬৭৯ খৃঃ অঃ এই মঙ্গির প্রতিষ্ঠিত হয় । ঐ মন্দিরের গাত্রে প্রাচীম বাঙ্গল অক্ষয়ে এই শ্লোকটী জস্থাপি খোদিত রহিয়াছে “গহীবোমাঙ্গশতাংশু গণিতে শকৰৎসরে । ঐরামেশ্বরদত্তেন নির্ণমে বিষ্ণুমন্দিরন্থ।” রাজা রঘুদেবকে নৰাৰ মুর্শদকুলী খাঁ শূদ্রমণি” উপাধি দিয়াছিলেন। রাজস্ব আদায়ে মুরশীদকুলীর কঠোর বন্দোবস্ত ৰাজালার ইতিহাসে প্রসিদ্ধ জাছে। কিন্তু মুরশীদের গুণগ্রান্তিাও সামান্ত ছিল না । শুনা যায়, যথাসময়ে রাজস্ব উগুল দিতে ল পারায় একজন ব্রাহ্মণ জমিদার নবাব কর্তৃক বৈকুণ্ঠকুওে প্রক্ষিপ্ত হইতে জাষ্টি হন। রাজা রঘুদেব একথা • শুনিতে পাইয়া আপনি সেই দেন শোধ করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া দেন। রঘুদেবের এই বদান্ততার মোহিত হইরা নবাব রঘুদেৰকে "পূদ্রমণি” উপাধি প্রদান করেন । তদবধি তাহার নাম "শূদ্রমণি রাজা রঘুদেব রায় মহাশয়” হয়। ৰস্বতঃ এর সময়ে কি রাজকাৰ্যো, কি সমরকৌশলে, কি দানধৰ্ম্মে, ৰুি নীতিনিপুণতায় পাটুলীর মহাশয় বংশ বাঙ্গালার গৌরব স্থান ছিলেন। বিচক্ষণ আকবর, ভূৱনীতি অরঙ্গজেব, তাহানীর ও সমৃদ্ধিশোক্তমাম শাহজহান পাটুলীবংশকে গরীয়ান রাগাকলাপটু করিতে সকলেই যুক্তহস্ত ছিলেন। মুরশীদকুলী ও মুরাঙ্গম প্রভৃতি সকলেই এই তান্ত্রিক হিন্দু কায়স্থবংশকে সুমঙ্গনে দেখিয়াছিলেম। কুলজী-পঞ্জিকায় এবং মুসলমান ইতিহাসে পাটুলীৰংশের যথেষ্ট প্রশংসা আছে। রাক্তা রঘুদেবের পুত্র রাজা গোবিদদেৰ বঙ্গদেশের ব্রাহ্মণদিগকে একলক্ষ বিঘা ভূমি ত্রন্ধোত্তর দাম করিয়াছিলেন। রাজা গোবিন্দদেবের পুত্র রাঙ্গ নৃসিংহদেব পিতার মৃত্যুর তিনমাস পরে ১৯৪৭ সালে ( ১৭৪০ খৃঃ অঃ ) পৌষমাসে ভূমিষ্ট হন। নবাব আলীবর্দী খাঁ তখন বাঙ্গালী বিহারের মসমঙ্গে সমাসীন । বৰ্দ্ধমানের জমিদারের পেস্কার মাণিকচষ্ণু আলীবর্দীকে সংবাদ দেম যে, ধাশবাড়িয়ার রাজা গোবিনদেবের নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যু হইয়াছে। আলীবর্দী খ৷ গোবিন্দদেবের সমুদায় জমিদারী ৰদ্ধমানের জমিদারকে দান করেন । পাচ মাসের শিশু নৃসিংহ দেব শত্রুর কৌশলে নিমেষ মধ্যে বিপুল ধনে বঞ্চিত হইলেন । নৃসিংহদেব স্বহস্তে এ কথা লিখিয়া গিয়াছেন- “সন ১১৪৭ সালে মাহ আশ্বিনে আমার পিতা গোৱিন্দদেব স্লায়ের কাল হয়, সে কালে আমি গৰ্ভস্থ ছিলাম । স্বৰ্দ্ধমানের জমিদারের পেক্ষার মাণিকচন্দ্ৰ নৰাৰ আলীবর্দী খার নিকট আমার পিতার জপুত্ৰক কাল হইয়াছে খেলাপ জাহির করিয়া আমার পুস্ত পুস্তানের জরথরিদা সনশী গুমিদারী আপন মালিকের জমিদারী সামিল কল্পিঞ্জী সন ১১৪৮ সাঙ্গে মাহ ৰৈশাখে