পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ (হাবসীবংশ ) পড়িয়াছেন, এমন সময়ে সাধারণের বিস্ময় সমুৎপাদন করিয়া খোঙ্গা-সর্দার বারিক রাজপরিচ্ছদে ভূষিত হইয়া সিংহাসনে সমাসীন হইলেন। ঘটনাচক্রে সেই সময়ে উজীরপ্রধান থ। জাহান এবং হাবলীশ্রেষ্ঠ সেনাধ্যক্ষ মালিক আগুেল রাজধানীতে উপস্থিত ছিলেন না। তাছার রাজধানী রক্ষার্থ পাইকমাত্র নিযুক্ত রাখিয়া সমগ্র সেনাদল গষ্টয়া কোন হিন্দুরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র করিয়াছিলেন, পাইক-সর্দারও পূৰ্ব্ব হইতে উৎকোচ গ্রহণ করিয়া তুর্কীস্তাৰ ধারণ করিয়াছিল, সুতরাং বারিকের সিংহাসন গ্রহণে সে কোনও আপত্তি উত্থাপন করিল না। খোজা বারিক সুলতান শাহজাদা উপাধি ধারণ করিয়া ১৪৯১ খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালার সিংহাসনে আরোহণ করিলেন । শাহজাদা সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইলেন বটে, কিন্তু তাহা সাধারণের অভিমত হইল না। মালিক আগুেল সুলতানকর্তৃক স্বপদে নিয়োগাধিকার সত্ত্বেও তাহার বিরোধী হইয়া রাত্ৰিযোগে তাহার অন্তঃপুরে প্রবেশপূৰ্ব্বক সহযোগী যুগিস খার সাহায্যে তাহাকে নিহত করিলেন এবং সাধারণের অভিপ্রায়ামুসারে উক্ত বর্ষে সৈফ উদ্দীন ফিরোজশাহু হাবলী নাম ধারণ করিয়া ৰাঙ্গালার মসনদে উপবিষ্ট হইলেন। তিনি যেরূপ বীর ছিলেন, তদনুরূপ দয়াও তাহাকে অলঙ্কত করিয়াছিল। তাহার উদারতা সম্বন্ধে এইরূপ একটা কিংবদন্ত্ৰী আছে,— একসময়ে তিনি দরিদ্রদিগকে ১ লক্ষ মুদ্রা ভিক্ষাদানার্থ মন্ত্রীর প্রতি আদেশ করেন । মন্ত্রিবর মনে ভাবিলেন, "লক্ষ টাকা মিতান্তু কম নয় । সুলতান বোধ হয়, লক্ষ টাকায় পরিমাণ না ভানিয়াই এত অধিক অর্থ বিতরণের আদেশ করিয়াছেন। সুতরাং এই অর্থ তাছাকে চক্ষে না দেখাইয়া বিতরণ করা হইবে মা ; এই যুক্তি করিা তিনি লক্ষ পরিমাণ রৌপ্যমুদ্রা সুলতামের যাইবার পথের ধারে রাখিয়া দিলেন। সুলতান তাহাতে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, এ মুত্র কিসের ? উীরপ্রবর তাহা ভিক্ষার্থ দেয় বলিয়া অভিবাদন করিলেন । তাহাতে সুলতান বলিয়াছিলেন, “এই সামান্ত মুদ্রা কয়জনকে দিবে। हेशग्न रिस५ *ब्रियाण दिउग्रण कब्रिब्र मा ७ ।” ফিরোজ শাহ গৌড়নগরে একটা মুর্হৎ মসজিদ, মিনার ও স্থত বাধা পুষ্করিণী নিশ্বাশ করিয়া বান। ঐ কীৰ্ত্তিগুলি আজিও সাধারণের দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। প্রায় ৩ বৎসর কাল রাজত্ব করিয়া ১৪৯৭ খৃষ্টাব্দে ফিরোজ শাহ ভযলীলা সম্বয়ণ করিলে ওমরাহগণ র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র নাসির উদ্দীন মান্ধ, শাহকে • রাজা করেন ; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হাবলী • शशि बश्धन कथाशक्षैकूड sछिशश्न निदिक थरह नाण र भार शषनोङीठो" श्लिब मी, डिमि भूर्कथां4ठ एलणाम स्टडवांश्ब्र गूज । छैोशांब्र माउ tनना°छि भौलिक जोtसुरजग्न नष्च निश्झांनन छीन करब्रम ॥ [ ৪৩৬ ] বঙ্গদেশ (খ্রঃ ১৩শ ও ১৪শ শতাব্দে অবস্থা) জাতীয় উজীর হাবেশ খাই রাজ্যের সর্বময় কর্তা ছিলেন। মঞ্জিবরের অপ্রিয় আচরণে বিরক্ত ও উত্তাক্ত হইয়া অপরাপর হাবসীগণ ঈর্ষান্বিত হইয় তাহার বিনাশের চেষ্টা পান । সেই সময়ে সিদি বদর দেওয়ানে অত্যাচারী উজীরকে নিহত করিয়া জুলতানের বন্ধনদশ মুক্ত করিয়া দেন। মাক্ষ শাহের রাজ্যকাল একবৎসর অতিক্রম করিতে না করিতে উক্ত সিদ্ধি বদর সুলতানকে গোপনে বধ করিয়া বঙ্গসিংহাসন অধিকার করেন। সিদ্ধি বদর দেওয়ানে ১৪৯৫ খৃষ্টাৰো বাঙ্গালার অধীশ্বর হইয়। মুজঃফর শাহ নাম গ্রহণ করিলেন। এরূপ অত্যাচারী ৪ যথেচ্ছাচারী রাজা কখনও বঙ্গসিংহাসনে উপ্রবেশন করেন নাই । তিনি প্রথমে তুর্কজাতীয় ওমরাহর্গণের নিধনসাধন করিয়া স্বীয় বিজাতীয় জালা নিৰ্ব্বাপিত করেন। তদনন্তর তিনি হিন্দুলামন্তরাজ ও জমিদারদিগকে নির্জিত, নিহত ও বিধ্বস্ত করিয়া উহাদের যথাসৰ্ব্বস্ব লুণ্ঠন করিলেন। ইহাতেও তাহার কলুষময় জীবনের বিজাতীয় তৃষ্ণার বিলয় হয় নাই । তিনি সকল প্রকার অত্যাচারেই স্বীয় প্রজাবৰ্গকে উত্ত্যক্ত করিয়াছিলেন। অবশেষে তাহার প্রধানমন্ত্ৰী মক্কাবাসী সৈয়দ হাসন সরিফ মুসলমান ও "হিন্দু সর্দারবৃন্দে মিলিত হইয়া ১৪৯৭-৮ খৃষ্টাৰো রাজধানীতে কুল তানকে অবরোধ করেন। এই সময়ে সুলতানের অধীনে ৫ হাজার হাবলী এবং ২৫ হাজার পাঠান ও বঙ্গীয় সেনা ছিল। ৪ মাস গৌড়নগরে অবরুদ্ধ থাকিয়া সুলতান মনে করিলেন যে, “हे ठूइएँौ वांश्मैिौ ज्ञहेग्न डिनि अनांब्रांटगहे बिट्झांश्लिजहरू বিপৰ্য্যস্ত করিতে পরিবেন। এই আশায় উৎফুল্ল হইয়া তিনি দুর্গপ্রাকার অতিক্রমপুৰ্ব্বক গৌড়নগর-সন্মুখস্থ স্ববৃহৎ ময়দানে যুদ্ধার্থ অবতীর্ণ হইলেন। ঘোরতর যুদ্ধের পর সুলতান রণক্ষেত্রে প্রাণ বিসর্জন করিলেন ( ১৪১৮ খৃঃ) । তাহার সঙ্গে গৌড়প্রাঙ্গণে ২৩ হাজার সেনা প্রাণ দিয়াছিলেন। কথিত আছে, বিদ্রোহিদলের নেতৃবর্গ বন্দীভাবে মুলতান মুজঃফর শাহের সম্মুখে আনীত হইলে তিনি স্বহস্তে তাহাজের শিরচ্ছেদ করিতেন । নিজাম উদ্দীন বলেন,মস্ক্রিপ্রধান সৈয়দ হুসেন পাইকদিগের সহিত বড়ম্বন্ত্র করিয়া রাত্রিতে শয্যাগৃহে তাহাকে নিহত করেন। বিগত সাৰ্দ্ধৈক শতাৰ কালের মুসলমান ইতিহাস আলোচনা করিলে বেশ বুঝা যায় যে, ধৰ্ম্মরক্ষাকল্পে হিন্দুগণ এক সময়ে যেরূপ নির্যাতন ভোগ করিয়াছিলেন, অল্প সময়ে আবার তাহার সহৃদয় মুসলমান ময়পতিৰঙ্গের করুণায় স্বধৰ্ম্মপালনে সেইরূপই সামর্থ্যবান হুইয়াছিলেন। দুঃখের পর মুখোদয়, অত্যাচারের ও অনাদরের পর সমাদয় যেমন হৰ্ষজনক, মুসলমান রাজস্তগণের এই ৰিজাতীয় বিদ্বেষের পর হিন্দুসমাজের প্রতি সকরুণ কৃপাকটাক্ষপাত সেইরূপ হৃদালনকর হইয়াছিল। ইহার উপর মুসলমান