পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ ( মোগল-শাসন ) [ 844 | বঙ্গদেশ (মোগল-শাসন ) ৰাঙ্গালার শুভদৃষ্ট যে, তাহাকে বহুকাল জীৰিত থাকিতে হয় নাই। বর্ষাধিকমাত্র জীৰিত থাকিয় তিনি কালের কয়াল কবলে নিপতিত হইলে সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৯৮৭ হিজিরায় শেখ আলী উদ্দীন ইসলাম খাকে বাঙ্গালার মসনদে এবং আফজল খাকে বেহারের শাসনকর্তৃপদে নিযুক্ত করেন। ইসলাম খান রাজমহল হইতে ঢাকা সহরে রাজপাট পরিবর্তন করিয়া উহার নাম জাহাঙ্গীর-নগর রাখেন। এই সময়ে আরাকান ও চট্টগ্রামবাসী পর্তুগীজ স্থাদিগের অত্যাচারে নিম্নবঙ্গ উৎসর প্রার হইতে থাকে। ১৬০৯ খৃষ্টাব্দে সিযাষ্টিয়ান গঞ্জালে সন্দ্বীপ অধিকার করেন। তথাকার মুসলমান সেনানায়ক ফতে থ উপায়াস্তুর না দেখিয়া একট ক্ষুদ্র দুর্গে আশ্রয় লন । এই সময়ে ওলমান খার অধীনস্থ পাঠানের পুনরায় অস্ত্র ধারণ করে। ইসলাম খাঁ। সুজাত খ" নামক একজন দক্ষ সৈন্তাধ্যক্ষকে তাহাদিগের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। পাঠানেরা সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয় ; ওসমান যুদ্ধে নিহত হন এবং তদীয় ভ্রাতা, পুত্র ও আত্মীয়কুটুম্বগণ সম্রাটের বহুত স্বীকার করেন ( ४७०२ भूहेोक) । এই বিদ্রোহাবকাশে কুতব নামে একজন রোহিলা আফগান জাহাঙ্গীরের জ্যেষ্ঠ পুত্র খসরুর পরিচয় দিয়া বেহারে বিদ্রোহ উপস্থিত করে এবং পাটনা নগরী অধিকার করিয়া লয়। শাসনকর্তা আফজল থ। তখন গাজিপুরে ছিলেন। তিনি এই সংবাদ শুনিয়া সসৈন্তে পাটনা অভিমুখে যাত্রা করিলেন। ছদ্মবেশী খসরু পাটনা হইতে কয়েক ক্রোশ দূরে যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইল, কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত হওয়ায় পুনরায় পাটনা নগরীতে আশ্রয় গ্রহণ করিল ; শাসনকর্তা উক্ত নগরী অবরোধ করিলেন। পরিশেষে দূরস্থ গৃহছা হইতে নিক্ষিপ্ত ইষ্টকের আঘাতে কুতবের প্রাণবায়ু বহির্গত হয় । [ পাটনা দেখ। ] ইসলাম খাঁর মৃত্যুর পরে ( ১৬১৩ খৃষ্টাৰে ) তাহার ভ্রাতা কাশিম খ সম্রাটের আদেশে বাঙ্গালা ও উড়িষ্কার সুবাদার হন। কাশিম খণয় রাজ্যশাসনকালে গঙ্গালে বিশ্বাসঘাতকতা দ্বারা আরাকান-রাজের যুদ্ধজাহাজগুলি হস্তগত করির আরাকানের উপকূল প্রদেশ লুণ্ঠনপূর্বক গোরানগরীন্থ পর্তুগীজদিগকে আরাকান জয় করিতে আহবান করে। রাজা ওলন্দাজদিগের সাহায্যে পর্তুগীজদিগকে পরাজিত করেন ; এবং সমৃদ্বীপ আক্রমণ ও অধিকার করেন। অতঃপর আরাকানের মগের বারংবার বাঙ্গালার পূর্ব-দক্ষিণ প্রদেশ লুণ্ঠন কনিয়া বাঙ্গাল উৎপন্ন করিতে থাকে। এই কারণে नञ्चाहे बांशग्रेौद्र कनिय थांब थङि चगङठे श्इ छैशिट्रक भन्न চুতি করিলেন এবং নূর-জস্থানের ভ্রাতা ইব্রাহিম খাঁ। ফতে জঙ্গকে বাঙ্গাল ও উড়িষ্যার মুবাদার করিয়া পাঠাইলেম ( ১৬১৮ খৃঃ ) { ইব্রাহিমের সময়ে বাঙ্গালার বাণিজ্যের বিশেষ উন্নতি হয় । আগ্রার রাজসভাসদুমণ্ডলীর নিকট ঢাকার সুচিৰণ কাপড় এবং মালদ্বহের পটুৰন্ত্রের বিশেষ আদর হইয়াছিল। এই সময়ে ইংরাজ কোম্পানীর এজেন্টগণ পাটনায় আসিয়া একটা কুঠ স্থাপন করেন (১৬২৩ খৃষ্টাৰে)। ইব্রাহিমের শাসনকালে বাঙ্গালাদেশে পুর্ণ শান্তি বিরাজ করিয়াছিল। সহসা (১৬২৩ খৃঃ) তাহার পরিবর্তন ঘটিল; শাহ জহান পিতা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মন্ত্ৰধারণপূর্বক দক্ষিণাপথে পরাজিত হইয়া বাঙ্গালায় প্রবেশ করিলেন। ইব্রাহিম খাঁ। তাহার সহিত যুদ্ধে নিহত হইলেন । বাঙ্গালা ও বেহারে প্রায় দুই বৎসর রাজত্ব করিয়া শাহ জহান সম্রাটুপ্রেরিত সৈন্তের নিকট পরাস্ত হইলেন এবং আত্মসমর্পণ করিয়া পিতার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। র্তাহার প্রার্থনা পুর্ণ হইল, কিন্তু এই প্রদেশে অস্ত শাসনকর্তা নিযুক্ত হইল । শাহ জুহানের পরে, অল্পদিন মধ্যেই (১৬২৪-২৮ খৃঃ) মহব্বত খ, তৎপুত্র থান্‌জাদ খাঁ, মকরম খ ও ফিদাই থ। নামে যে কয়জন ক্রমে ক্রমে বাঙ্গালার শাসনকর্তা হন, তাহাদিগের সময়ে উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনাই ঘটে নাই। মকরম্ গার রাজ্যশাসন সময়ে সম্রাট মীর্জ রুস্তম নামক এক ব্যক্তি বেহারের সুবাদার নিযুক্ত করেন। ১৬২৮ অব্দে শাহ জহান সম্রাট হইয়া ফিদাই থাকে পদচ্যুত করিয়া স্বীয় প্রিয়পাত্র কাশিম খা জরুনিকে বাঙ্গালার সুবাদারী পদে নিযুক্ত করিলেন। এই সময়ে হুগলী ও চট্টগ্রামে পর্তুগীজদিগের সুরক্ষিত কুঠী ছিল। এ দেশে তাহাদিগের যথেষ্ট ক্ষমতাও বিস্তৃত হইয়াছিল। শাহ জহান্‌ যখন বাঙ্গালায় ছিলেন, তখনও তিনি পর্তুগীজের অত্যাচার লক্ষ্য করিয়াছিলেন, তাহার এতদেশবাসীদিগকে বলপূৰ্ব্বক খুষ্ঠানধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিত। ইয়াতে বৈদেশিক পর্তুগীজজাতির প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া সম্রাটু কাশিম খার প্রতি তাহাদিগের সহিত যুদ্ধ করিবার আদেশ দিলেন। মুবাদার স্বীয় পুত্র ইনায়তুল্লাকে তদ্বিরুদ্ধে পাঠাইয়া হুগলি অধিকার করিলেন (১৬৩২ খৃঃ)। সেই অবধি এদেশে পর্তুগীজদিগের প্রভাব কমিল, হুগলি রাজবন্দর এবং প্রধান বাণিজ্যস্থান হইয়া উঠিল। এই সময় হইতেই সপ্তগ্রামের দুঃখের দিন আরম্ভ হইল। রাজকৰ্ম্মচারিগণ তখা হইতে হগলিতে চলিয়া আসায় ক্রমশঃই সপ্তগ্রাম পরিত্যক্ত হইয়াছিল। কাশিম খায় পরে আজিম খান মুৰাম্বার ছন, তাহাকে দেশরক্ষাকার্থ্যে অশক্ত দেখিয়া সম্রাট তৎপছে ইসলাম খাঁ মশছ দিকে নিযুক্ত করেন(১৬৩৭ খৃঃ) । অল্পকাল মধ্যে (১৬৩৮ খৃঃ) চট্টগ্রামের শাসনকর্তা মুকুট স্বায় আরাকান-রাজের অধীনতা পরিত্যাগপূর্বক