পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

俞 বর্ণলিপি YTAAASAASAASAAAS মধ্য অষ্ট্রেলিয়ার পর্বতগুহ মধ্যে এবং জামেজিৰাৰাসী ইণ্ডিফ্রানদিগের মধ্যে জুয়া প্রভৃতি খেলায় ঐক্ষপ সাঙ্কেতিক চিহ্ন প্রচলিত আছে । প্রাচীন ভূখণ্ডের বিভিন্ন জনপদ হইতে নৰাবিষ্কৃত আমেরিকা ভূখণ্ডে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন চিত্রলিপির ( Picture-writing ) আদর্শ বিদ্ধমান আছে। উহা মিসরীয় বা চীনদেশীয় চিত্রলিপি হইতে অনেকাংশে উৎকর্ষতা লাভ করিয়াছিল , কিন্তু ইঞ্জিগু বা চীনের স্থায় আমেরিকাবাসীর চিত্রলিপি বর্ণ বা শৰাব্যঞ্জক [ ¢ • نن ] হয় নাই । চিত্রগুলি কেবল চিত্রেরই উদ্বোধক হইত। | চিত্রলিপি ব্যতীত আমেরিকাবাসিগণ সংখ্যাগণনাৰ্থ এক । প্রকার ছড়ি ব্যবহার করিত। উহার সাঙ্কেতিক আঁচড়গুলি গণনা । করিয়া তাহারা যুদ্ধাভিযানের ব্যাপ্তিকাল, তত্ত্ব যুদ্ধে নিহত শত্রর সংখ্যা ও তদনুরূপ পরিচয়াদি ব্যক্ত করিতে পারে। এতদ্ভিন্ন তাহাদের মধ্যে ‘বাপুম্‌’ নামক মালার ব্যবহার আছে। উহার সাদা দানাগুলি সন্ধি বা শান্তিস্থাপনের উদ্বোধক এবং বেগুণে দানাগুলি যুদ্ধঘোষক। ১৬৮২ খৃষ্টান্ধে লেন লেনপে সর্দারগণ সন্ধিস্থাপনার্থ উইলিয়ম পেনকে বিভিন্ন বর্ণের যে মালা দান করে, তাহার মধ্যস্থলে সন্ধির উদ্বোধক দুষ্টট মনুষ্যমুষ্টি পরস্পরে হস্ত ধারণপূৰ্ব্বক দণ্ডায়মান ছিল। এইরূপ মেক্সিকোবাসীর ফাস চিহ্ন চৌর্য্য বা শাস্তিজ্ঞাপক এবং কালিফোর্ণিয়ার পাৰ্ব্বত্যচিত্রে অগ্রুভারাক্রান্ত প্রতিরতিই শোকজ্ঞাপনার্থ উৎকীর্ণ হইয়াছে। আমেরিকাবাসী আদিম জাতির মধ্যে এই চিত্রলিপির প্রাচীন তম আদশ বিদ্যমান থাকিলেও বাস্তবিক পক্ষে উক। ক্রমশ: উন্নত হইয়া বর্ণমালায় পরিণত হইতে পারে নাই । প্রাচীন ভূখণ্ডের অমুরীয়, মিশর ও চীন রাজ্যে সভ্যতার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে চিত্রলিপির যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয় এব" উহ! কালে শৰ বা বর্ণমালার প্রকৃষ্টরূপ প্রাপ্ত হইয়৷ তদ্ভদ জনপদবাসীর মনোভাব ও তদৰ্থজ্ঞাপনে নিৰ্দ্ধারিত বা অধিকারী হর । টানদেশেই সৰ্ব্ব প্রথমে এই চিহ্নলিপি হইতেই বর্ণ বা শব্দ লিপির ক্রমোন্নতি ও বিকাশ সাধিত হয় । তথাকার বর্তমান লিপির মৌলিকাবস্থার সহিত সামঞ্জস্ত নির্ণয়ার্থ সেই আদিম চিত্রলিপির নিদর্শন দৃষ্টি গোচর না হইলেও নিঃসন্েেছ বলা যাইতে পারে যে, চীনদেশ বর্ণলিপি আনুমানিক ৮•• ইষ্টতে ১••• খৃষ্ট পূৰ্ব্বাৰ হইতে প্রচলিত হইয়াছে। চীনদেশীয় প্রাচীন অভিধানলিখিত শাৰালিপি ও বর্তমান বর্ণ বা শৰালিপির বৈষম্য দর্শন করিলে স্পষ্টই ইহার উন্নতি ও বিকাশ উপলব্ধি হইতে -------------- পারে । যখন তাহার প্রস্তর বা তদ্বৎ কঠিন পদার্থে লৌহ- | XᎳII

  • & &

বর্ণলিপি শলাকা আর চিত্রলিপি আতি ৰতি, তখন তাহার গোলকপিণ্ডে স্বর্ঘ্য এবং জর্দ্ধ চক্রাকারে চজকে ঘুম্বাইত। পরে যখন কাগজ, রেশম ও তৎসংশ কোন কোমল বৰুর উপর বর্ণমালা বিষ্ঠাসের আবশ্বক হয়, তখন তাহার লৌহশলাকায় পৱিৰৰে তুলির স্থায় কেবল লেখনী বা চিত্ৰতুলিক ব্যবহার করিতে আরম্ভ করে। সেই সময় হইতেই বাস্তবিক পক্ষে তুলির টানে বৈপ রীতা সাধিত হইয়া বর্ণগুলি বৰ্ত্তমান ছাদে রূপান্তরিত কৃষ্টয়া আসিয়াছে। চীন শঙ্কলিপি হইতে জাপলিপি গৃহীত হইলেও উচ্চ অনেকাংশে সংস্কৃত হইয়া ভিন্নাকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে । এষ্ট জাতীয় লিপির চাদ ভিন্ন জাপানে খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাকু ভাৰত প্রচলিত সংস্কৃত বর্ণমালার লিপিও বিদ্যমান আছে। তথাকার বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় অনেক গ্ৰন্থই সংস্কৃত ছাদে লিখিত । মিসরীয় বর্ণলিপিষ্ট প্রথমে সম্ভবতঃ পাশ্চাত্য জগতের সকর্মপ্রাচীন লিপি বলিয়া বিদিত। এখানে চিত্রলিপির (Hiero. glyphies ) এক সময়ে বিশেষ প্রচলন ছিল, তদেশস্থ উৎকীর্ণ ফলকাদি নিরীক্ষণ করিলে তাঙ্কার সম্যক্ বিবরণ জ্ঞাত হওয়া যায়। চীনগণ যখন বস্তুবিশেষকে চিত্রলিপির দ্বারা বুঝাটবাব পরিবর্তে শব্দলিপির উদ্ভাবনে সচেষ্ট ছিলেন, তখন তাহারা শব্দানুসারে দ্রবাবিশেষের কতক চিহ্ন সামঞ্জস্ত অবধারণ করিয়া লন। তাছাতে আদিম চিত্রঘাটত লিপির আংশিক চিত্রের বিলয় ঘটে এবং মুলতঃ তাহা বিলুপ্ত হইয় পড়ে। ভাষাবিদগণ প্রাচীন ভূখণ্ডের এই তিনটী বিস্তৃত চিত্রলিপির উৎপত্ত্বিনির্ণয় করিতে গিয়া বলিয়া থাকেন যে, এক সময়ে টকা মধ্য এসিয়াখগুবাসী জাতির মধ্যে বিস্তৃত ছিল । বলেন, চীনগণ বাবিলোন হইতে ক্রমশঃ পুৰ্ব্বাভিমুখে আসির বৰ্ত্তমান টানসাম্রাজ্যে বাস করিয়াছে । আবার কাহার ও কাহারও ধারণা, ইউফ্রেটস্ প্রবাহিত উপত্যকাভূমে প্রথমে মিসরীয় সভ্যতার বিস্তার হইয়াছিল অর্থাৎ প্রাচীন আর্য্য ( হিন্দু)-দিগের ন্যায় ইউফ্রেটস্ তীরবাসী জনশ্রোত সেমিটৰ অভিযানে লিপ্ত হইয় রাজ্য হইতে রাজ্যাস্তরে সভ্যতা বিস্তার করিতে করিতে মিসর রাজ্যে আসিয়া প্রভুত্ব বিস্তার করিয়াছিল । এই মিসরীয়গণ প্রাচীন সোমালী জাতির অস্তু একটা শাখা ভিন্ন আর কিছুই নহেন । মিসরের প্রাচীন ইতিবৃত্ত আলোচনা করিলে জানা যায় যে, বঙ্ককাল ব্যাপিয়া অমুরীয় । অসুর )-গণের সহিত মিসরীয়দিগের রাজনৈতিক সংঘর্ষ ( যুদ্ধবিগ্রহ ) চলিয়াছিল, সেই কেন্ঠ কেক

  • See Taylor's The Alphabet, i, p. 34,