পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধনকোট ভুলিতেন না । তবে দেওয়ানী কথাটা কিরূপে আসিল ? দিনাজপুরের ইতিহাস হইতে আমরা জানিতে পারি যে, দিনাজপুরপতি বিষ্ণুদত্ত হইতে বর্তমান মহারাজ গিরিজানাথ ১১শ পুরুষ। বর্তমান মহারাজের উদ্ধতন ৬ষ্ঠ পুরুষ রাজা রামনাথ নবাব মুর্শিদকুলীর সমসাময়িক। রামনাথের পিতা হরিরাম পুৰ্ব্বতন দিনাজপুরপতি শ্ৰীমন্ত দত্তের কস্তার পাণিগ্রহণ করেন। হরিরাম রায় ইঙ্গরাকৃপুর বা বৰ্দ্ধনকুটরাজের দেওয়ান ছিলেন। এই হরিরামের পুত্র শুকদেব বায় মাতামছের উত্তরাধিকারসূত্রে দিনাজপুররাজ্য লাভ করেন । [ দিনাজপুর শব্দ দেখ। ] ১৬৭৭ খৃষ্টাব্দে শুকদেব রায় পরলোক গমন করেন। এরূপ স্থলে তাহার পিতা বৰ্দ্ধনকুটার দেওয়ান হরিরাম রায় রাজা ভগবানের সমসাময়িক হইতেছেন। ইরাকৃপুরের সাত আন অংশ হরিরামের বংশ অধিকার করিয়া বসেন, এই করশেই বোধ হয় দেওয়ান কর্তৃক বৰ্দ্ধনকুটার J• আন গ্রহণের প্রবাদ প্রচলিত হইয়াছে। প্রকৃত প্রস্তাবে আৰ্য্যাবরের পূর্বপুরুষগণ সুপ্রাচীন বৰ্দ্ধনকূটর রাজবংশের আত্মীয় মওলাধিপ বা সামন্তরাজ বলিয়া গণ্য ছিলেন, তজ্জন্তু তাহাদের বংশতালিকায় তাহারা রাজা উপাধিতে ভূষিত হইয়াছেন । সুপ্রাচীন বন্ধনকৃট-রাজবংশের প্রতাপস্বৰ্য্য অস্তমিত হইবার কালে তাছারই আত্মীয় আৰ্য্যাবরমণ্ডল বন্ধনকুট রাজবাটীর নিকট রামপুর নামক স্থানে আসিয়া বাস করেন। বৰ্দ্ধনকুটার পুৰ্ব্বতন রাজা ভগবানের মৃত্যু হইলে আর্য্যাবরের পুত্র ভগবান মুসলমান রাজসরকারে নিজ নাম পত্তন করিয়া বৰ্দ্ধনকুট রাজ্য | অধিকার করিয়া বসিলেন । এ সময়ে পূৰ্ব্বতন রাজমন্ত্ৰী হরিরাম | রায় জীবিত ছিলেন, তিনি ভগবানের অদ্যায় কার্য্যে যথেষ্ট বাধা | দান করেন । এই বিবাদের সময় রাজা মানসিংহ বাঙ্গালায় আসেন। তিনি উভয় পক্ষের গোলযোগ মিটাইয়া রাজা ভগবানকে V• আনা এবং দেওয়ান হরিরামকে g০ আনা ভাগ : করিয়া দিয়া যান । হরিরামের পুত্র রাজা শুকদেব রায়ের সময় | iga আনা অংশ দিনাজপুর রাজ্যের অস্তুভুক্ত হয় । রাজা ভগবানের বহুকীৰ্ত্তি বৰ্দ্ধনকুট ও নিকটবৰ্ত্তা রামপুর । প্রভৃতি স্থানে দৃষ্ট হয় । তাহার পুত্র কুমুদানন্দন। কুমুদানন্দন অল্পকাল রাজত্ব করিয়া পরলোক গমন করেন । এই সময় তৎপুত্র রঘুনাথ নাবালক। মধুসিংহ নামে এক জমিদার তাহার জমি । দ্বারীর ৮• আনা অংশ দখল করিয়া বসেন। এই সময় শাহমুঙ্গ । বাঙ্গালার নবাব। রাজা রঘুনাথ আপনার পৈতৃক সম্পত্তি । উদ্ধার করিবার জন্য বাদশাহু অরঙ্গজেবের নিকট প্রার্থন জানাই- . লেন। ভদনুসারে ১১ই জুলুস্ অরঙ্গজেব মধুসিংহকে উচ্ছেদ করিয়া রাজা রঘুনাথকে উপযুক্ত সনন্দ প্রদান করেন । গুড লাড় : XVII [ ७२¢ ] d * বৰ্দ্ধনকোট সাহেব সেই ফরমাণ বৰ্ষনকূটর রাজৰাটীতে দেখিয়া ছিলেনু । রাজা রঘুনাথের পুত্ৰ মনোইরের সময়েও এই বংশের যথেষ্ট শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছিল। এই সময়ে কুওঁ, সেরপুর, পলাশী প্রকৃতি পরগণা বৰ্ষনকূটরাজ্যের অধিকারভুক্ত ছিল। রাজা মনোহর অল্পদিন রাজ্যভোগ করিয়া পরলোক গমন করিলে তৎপুত্র হরিনাথ পৈতৃক অধিকার লাভ করেন । বাদশাহ অরঙ্গজেব তাহার ১৭শ বর্ষে ( ১৬৭৫ খৃষ্টাৰে ) এক ফরমাণ দিয়া হরিনাথকে ইরোকৃপুরের রাজা বলিয়া স্বীকার করেন । রাজা হরিনাথের পুত্র বিশ্বনাথ। বিশ্বনাথের পুত্র গিরিধানী, তৎপুত্র শিবনাথ। এই শিৰনাথের সহিত ইদ্রাকৃপুর জমিদারীর নুতন বঙ্গোৰস্ত হয় । গিরিধারী উচ্চ বারেঞ্জ কুলীনকস্তাব পাণি গ্রহণ করিয়া বারেঞ্জকায়স্থ-সমাজে বিশেষ সন্মানিত হন । শিব মাথের পুত্র গৌরীনাথ কোম্পানীর আমলের রাজা বলিয়া খ্যাত । এই সময় ইদ্রাকপুর জমিদারীর অন্তর্গত চাকলা ঘোড়াঘাটের মধ্যে ইদ্রাকৃপুর, ইস্লাম্পুর, আলীগঞ্জ, বাজিতপুর, বাহির ঘোড়াঘাট, গাউতনন, থলাশী, মুক্তাবপুর, বিন্দী, বেলঘাট, ভিয়েনকুও, সেরপুর, কানবালা, সেরপুর নওয়াবাদ প্রভৃতি পরগণা ছিল। দশশালা বন্দোবস্তের সময় বর্ধনকুটরাজ্যের আয়তন অনেক কমিয়া আসে ; এই সময়ে ইরোকৃপুর-রাজের অধীনে ৬৯টি পরগণা এবং তাহার ১৬০১৯৬২ টাকা রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত ছিল। দশশালা বন্দোবস্তের সময় যে ৬৯ট পরগণা ছিল, তাহাও একে একে নিলাম হইয়া অধিকাংশই পরাস্তগত হয়। এমন কি, অল্পদিন মধ্যেই ইদ্রাকৃপুর জমিদারীর নাম পৰ্য্যস্ত মানচিত্র হইতে উঠিয়া যায় । গৌরীনাথের জ্যেষ্ঠপুত্র রাজা গোকুলনাথ এবং মধ্যমপুত্র রাজা গৌরকিশোর, গৌরকিশোরের পুত্রসন্তান হয় নাই । র্তাহার দত্ত্বকপুত্রের নাম শু্যামকিশোর, এই গ্রামকিশোরের পুত্র কুমার চক্সকিশোর এখন বর্তমান । এক সময়ে সুবিস্তীর্ণ বৰ্দ্ধনকুটরাজ্য যাহাদের অধিকারে ছিল, যাহাদিগকে লক্ষাধিক মুদ্র রাজস্ব দিতে হইত, এখন তাহাদিগের অবস্থা অতি শোচনীয়, ২০ • টাকার অধিক রাজস্ব দিতে হয় না । বৰ্দ্ধনগড়, বোম্বাই প্রদেশে সাতারা জেলার অন্তর্গত একটা গিরিদুর্গ। কোরেগা ও খটাও উপবিভাগের সীমার ব্যবধানে মহাদেব শৈলমালার একটি শাখার উপর ; সাতার সহর হইতে ১৯ মাইল উত্তরপূৰ্ব্বে অবস্থিত। খটাও বা পুৰ্ব্বদিক্ দিয়া একটা কুঞ্জ দিয়া ঐ গড়ে উঠতে হয় । ইহার পার্শ্ব দিয়া সাতারী-পুরন্দর রাস্ত গিয়াছে । এষ্ট রাস্তার দুই শত গজ দূরে ইট প্রাচীন সরোবল্প আছে। নবজিত রাজ্যের পূৰ্ব্বসীমা রক্ষা করিবার জন্ত ১৭৬৩ খৃষ্টাৰে