পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বল্লভাচারী ___ _அை_. স্থাপনপূর্বক, তৎসরিধানে পানীর জল, তালাধার ও জন্তান্ত শ্ৰাস্তিহর দ্রব্য সমুদায় রাখিয়া, পরিচারকেয়৷ দেৰালয়ের দ্বার রুদ্ধ করিয়া প্রস্থান করেন। এই সকল সময়ে প্রায় এক প্রকারই সেবা হয় ; যথা পুষ্প, গন্ধ ও ভোগদান এবং স্তোত্র-পাঠ ও সাষ্টাঙ্গপ্রশাম । বিগ্রন্থসেবক এবং অন্যান্ত লোকও এই সমুদ্ৰায়ের অনুষ্ঠান করেন, কিন্তু কৃষ্ণ-স্তোত্র প্রায় ঐ সেবকেরাই শাঠ করিয়া থাকেন। নিত্য-সেবা ব্যতিরেকে কতকগুলি সাংবৎসরিক মহোৎসৰ আছে। কাশীধামে ও পশ্চিম প্রদেশীয় অন্তান্ত অনেক স্থলে জন্মাষ্টমী ও রাস-যাত্রা উৎসবে অতিশয় আমোদ হয়। গ্রামসন্নিহিত কোন চত্বরে সমারোহপূর্বক রাস-যাত্রার কার্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে। কত লোকে শ্বেত, গীত, লোহিতাদি কত উৎকৃষ্ট বসন পরিধানপুৰ্ব্বক রাস-ভূমিতে সমাগত হয়, কতপ্রকার অতি মনোহর নৃত্য, গীত, বাঘের অনুষ্ঠান হয় ও খামসুন্দরের মুললিত লীলামুরূপ কত কৌতুকই প্রদর্শিত হয়। স্থানে স্থানে গায়ক, বাদক ও নর্তক সকল স্বেচ্ছামুসারে উপস্থিত হইয় নিজ নিজ গুণ প্রকাশ পুরঃসর লোকের মনোরঞ্জন করে এবং দর্শকগণ পরম পরিতুষ্ট হইয় তাহাদিগকে মনোমত পারিতোষিক প্রদানপূর্বক পুরস্কৃত করে। স্থানে স্থানে তৃণ-গৃহ, বস্ত্ৰগৃহ ও পণ্য-শালা প্রস্তুত হয়, মধ্যে মধ্যে মনোহর দোলনা ও ঝোলনা সকল আলম্বিত থাকিয়া লোকদিগকে অতিশয় আমোদিত করে, অপৰ্য্যাপ্ত ফল মূল ও নানাবিধ মিষ্টান্ন সামগ্ৰী পরিপাটক্রমে সজ্জিত থাকিয়া সৰ্ব্বস্থান সুশোভিত করে এবং দর্শকগণ পরম কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া হৰ্ষোৎফুল্ল চিত্তে চতুদিকে বিচরণ করিতে থাকে। অসংখ্য লোকের সমাগম! বিচিত্র বসন! বিচিত্র । ভূষণ! বিবিধ কৌতুক পরমাশ্চর্য স্বধৃত ব্যাপার! এই ; সমস্ত সদৰ্শন করিয়া লোকের আমােদের আর ইন্স থাকে না ! বৃন্দাবনেও চক্ৰ আনি মাসে দশমী অবধি করিয়া পৃমি । পৰ্য্যন্ত এই উৎসব হয়। তথায় নদী-কুলে পাষাণময় কৃত্রিম ; বেদির উপর গ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার অবিকল প্রতিরূপ প্রদর্শিত হইয়া থাকে । \ i বল্লভাচারীর ললাটে দুই উদ্ধ পূও করিয়া নাসাল অর্থ | চক্রাকৃতি করিয়া মিলাইয়া দেন এবং ঐ দুই পুণ্ডের মধ্যস্থলে । একটি রক্তবর্ণ বৰ্ত্তাকার তিলৰ করিয়া থাকেন। এ | সম্প্রদায়ের ভক্তেরা ঐবৈষ্ণবদিগের তা বাহ ও বক্ষঃস্থলে শখ, চক্র, গদা ও পদ্মের প্রতিকৃতি অঙ্কিত করেন, এবং কেহ কে খামবলী নামক কৃষ্ণমৃত্তিক অথবা কৃষ্ণবর্ণ অন্তরূপ ধাতু দ্বারা ; উল্লিখিত বৰ্ত্তলাকার তিলক আলিখিত করিয়া থাকেন। ইষ্ঠার কণ্ঠে তুলসীর মালা এবং হন্তে তুলসীৰাষ্ঠের জপমালা [ ७१¢ ] বল্লভাচারী রাখেন, এবং ঐকৃষ্ণ’ ও ‘জয়গোপাল ৰলিয়া পরম্পন্ন জণ্ডি- • २ीनि बटिन्वन्न । 蠍 - 錢 বাতাগধী প্রমাগবতের ক্ষে টাকা রচনা করেন, তাহা ইহাদিগের প্রধান সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ। তাহাতে ভাগবতের बाह्न बाांश भांtश्, रैशब्र उशिरे जबणषम रूब्रिजा ध्रणन । उषष्ठिरग्राक, डिमि अकएबडांश, जिकॉख-ब्रश्छ, डां★ाईडলীলারহস্ত, একান্ত-রহস্ত প্রভৃতি অনেকালেক সংস্কৃত গ্রন্থও রচনা করিয়া যান। [ বার্তাচাৰ্য্য দেখ। ] এতদ্ভিয়, সামান্ত সেৰকদিগের মধ্যেও কৃষ্ণলীলাগ্ৰতিপাদক ভাষায় লিখিত বহতর সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ প্রচলিত আছে । যথা,— বিষ্ণুপদ—এ গ্রন্থ ভাষায় লিখিত। ইহা বল্লভাচার্য্য-কৃত, ইহাতে বিষ্ণুগুণ-প্রতিপাদক কতকগুলি পদমাত্র আছে। ব্ৰঞ্জ-বিলাস-ব্ৰজবাসী দাস এই গ্রন্থখানি ভাষায় রচনা করেন । ইহাতে খ্ৰীকৃষ্ণের বৃন্দাবনলীলার বর্ণনা আছে। অষ্টছাপ—এই গ্রন্থে বল্লভাচার্য্যের আট জন প্রধান শিব্যের উপাখ্যান আছে। বার্তা—এই ভাষা-গ্রন্থে বল্লভাচার্য্য ও তাহার মতানুবন্ত্রী ৮৪ জন ভক্তের অত্যন্ধুত চরিত বর্ণিত আছে। ঐ ৮৪ জনের মধ্যে স্ত্রী পুরুষ উভয়জাতীয় ও সকলবর্ণোদ্ভব লোকই ছিল । এই সাম্প্রদায়িক শাস্ত্রে জীব ও ব্রহ্মের অভেদ ভাব স্পষ্টতঃই উক্ত হইয়াছে। সিদ্ধান্তরহস্তের পরামুক্তি বা জীবব্ৰহ্ম-মিলন সম্বন্ধীয় প্রসঙ্গ চৌরাশি-বার্তা নামক গ্রন্থের একস্থলে এইরূপ লিখিত আছে। বল্লভাচার্য্য ঐকৃষ্ণের সহিত এ বিষয়ে কথোপকথন করিয়া উহার মৰ্ম্ম অবগত হইয়াছিলেন। যথ,— “তব ঐআচাৰ্য্য জী মহাপ্রভু আপ কৰৈ জো জীব কো স্বরূপ তো তুম জানত হী হৌং দোষবস্ত হৈ সে তুম সে সম্বন্ধ কৈসে ছোয়, তব, ঐঠাকুর জী আপ কৰ্হৈ জে তুম জীবন ক্টো ব্ৰহ্মসমৃদ্ধ করাবোগে তিন ক্টে ষ্ঠে অঙ্গীকার করূদে তুম জীবন ক্টে নাম দেউগে তিনকে সকল দোষ নিবৰ্ত্ত হোয়ঙ্গে ।” ‘তখন আচাৰ্য্য কছিলেন, তুমি জীবের স্বভাব জ্ঞাত আছ, তাহার সকলই দোষ, তবে কিরূপে তোমার সহিত তাহার সংযোগ হইবে ? তাহাতে ঠাকুরজী ( অর্থাৎ শ্ৰীকৃষ্ণ ) কছিলেম, তুমি ব্রহ্মের সহিত জীবের যেরূপ সংযোগ সাধন করিবে, আমি ठांहाँहे चैौकांग्र कब्रिध्नां जहैव !' এই কয়েকখানি ছাড়া আরও বিস্তর সাম্প্রদাদিক গ্রন্থ বিড়মান আছে, কিন্তু সে সমস্ত তাদৃশ প্রচলিত নহে। ভক্তমালেও এ সম্প্রদায় সংক্রান্ত অনেক উপাখ্যান আছে । কিন্তু বল্লভাচারীরা অপরাপর সম্প্রদায়ের তার উহাকে মূল শাস্ত্র বলিয়া অঙ্গীকার