পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐंछन। পত্তি না হয়, তবে কৰ্ম্ম হেতু কাহাকেও দেহত্যাগের পর ংসারে পুনঃ পুন: জন্মগ্রহণ করিতে হয় না। প্রত্যেক জীবকেই কোন না কোন কাৰ্য্য করিতে হয় ; এমন কি অৰ্ছৎদিগকেও দণ্ডায়মান, উপবেশন, ভ্রমণ, ধৰ্ম্মশিক্ষা প্রভৃতি কাৰ্য্য করিতে হয় । কিন্তু এ কার্য্যগুলি স্বাভাবিক ; ইহ দ্বারা তাহাদিগের মনে কোনরূপ প্রবৃত্তির উদ্রেক হয় না। সুতরাং এই কৰ্ম্ম তাহাদিগের বন্ধন স্বরূপ হইতে পারে না । যদ্বারা ভূত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান বস্তুর অবস্থার যুগপৎ জ্ঞান জন্মে, তাহাকে ক্ষায়িক কহে, (কারণ কৰ্ম্মের ধ্বংস ক্ষমতা অথবা ক্ষয় হইতে উৎপন্ন হয় । ) কিন্তু যে জ্ঞান যুগপৎ উৎপন্ন হয় না, ক্রমানুসারে একটার পর অfর একটীর উপলব্ধি হয়, তাহাকে ক্ষায়িক অথবা অবিনশ্বর কিম্বা সৰ্ব্বব্যাপী বলা যাইতে পারে না । কেবলীর মুখ ইঞ্জিয়গত নহে । এই সুখ ਾਂ । অর্থাৎ মানসিক শুভানুভব হেতু উৎপন্ন হয়। | যাহারা দেবতা, যতি এবং গুরুর অর্চনা করে, ধৰ্ম্মামুষ্ঠানে প্রবৃত্ত থাকে এবং উপবাসাদি আচরণ করে, তাহাদিগকে শুভোপযোগী বলা হইয়া থাকে । শুভোপযোগ অনুষ্ঠান করিলে আত্মা পশ্ববস্থা, মানবাবস্থা এবং দেবাবস্থা এই তিন অপস্থায়ই মুখামুভব করিতে পারে । এই মুখ শরীরনিবন্ধ আস্থার প্রকৃতি হইতে উৎপন্ন হয় না (১৬) । ইহা ফুঃখের সহিত সংস্থঃ । এই মুখামুভব করিলে বাসনা প্ৰজলিত হইয়া উঠে এবং আত্ম তৃপ্তিলাভ না করিয়া বরং অস্থির হইয়া ! পড়ে। সুতরাং এই প্রকার মুখ ও অণ্ডভোপযোগ হেতু পাপ-পরিণামে যে দুঃখ এই উভয়ের মধ্যে অল্প প্রভেদই লক্ষিত হয় । উক্ত প্রকার মুখ ও ফু:থ কিছুই মানবের কামনা বিষয়ীভূত হওয়া উচিত নহ। যে ব্যক্তি সৰ্ব্বপ্রকার । মোহ, রাগ (বাসনা) ও দ্বেষ বশীভূত করিতে পারিয়াছেন, তিনিই প্রকৃত মুখ ভোগ করিতে পারেন। যে ব্যক্তি জিনপ্রচারিত্ত সত্য শিক্ষা করিয়াছেন এবং আপনাকে প্রকৃত জ্ঞানময় চেতন আত্মারূপে অন্যান্ত অচেতন পদার্থ হইতে পৃথক করিতে পারেন, তিনিই প্রকৃত সুখভোগ করিতে সমর্থ। দিগম্বর মতাবলম্বী কুন্দকুন্দাচার্য্যের মতে জ্ঞেয় বলিতে সগুণ দ্রব্য এবং তাহার পর্য্যয় অর্থাৎ পরিণতি বা পরিবর্তন বুঝtয় । | (১৬) “দেবদজদিগুরুপূজস্ব বেব দাশক্ষি বা ক্ষসীলেস্থ । উববাসাদিন্থ রক্তে সুহোবওগল্পগো অল্প ॥ ১৬৯ ৷ জুত্ত্বো মুছেণ আদা তিরিয়ো বা মানুসো ব দেবো বা। কুদো ভাবকালং লছদি মুহমিম্বিয়ং বিবিছং।” ১৭• این مواد } গুণ দ্রব্যের সহিত সংশ্লিষ্ট, জবা হইতে পৃথকৃত্বাবে গুণ থাকিতে পারে না। গুণই দ্রব্যের বিস্তৃতি । পরিণাম বা পরিবর্তন কালের সহিত সম্বন্ধ। সাময়িক পরিণামই দ্রব্যের দৈর্ঘ্য ও চরম ফল । দ্রব্য এবং গুণ উভয়ই পরিবর্তনশীল । অনেকগুলি দ্রব্যের সংযোগে উৎপন্ন পরিবর্তনকে দ্রব্যপৰ্য্যয় কহে। দ্রব্যপৰ্য্যয় দুই প্রকার ; ১ম সদৃশ পদার্থের সংযোগহেতু পরিণাম ( বিকার ), ২য় বিসদৃশ পদার্থের ংযোগহেতু পরিণাম । - সদৃশ পদার্থের আণবিক মিশ্রণে প্রথম প্রকার পর্য্যয় উৎপন্ন হয়। ইহাকে স্কন্ধ কহে যথা দ্বাণুক, ত্রসরেণু (১৭) প্রভৃতি। জীব এবং পুগেলের মিশ্রণে দ্বিতীয় প্রকার পর্যায় উৎপন্ন হয়, যথা—মমুম্বা, দেবতা ইত্যাদি । গুণের বিকার বা পরিবর্তনও দুই প্রকার । ১ম, একই দ্রব্যের গুণের আধিক্য বা নূ্যনতাবশতঃ বিকার, ২য় বিসদৃশ পদার্থের গুণের পরম্পর সংযোগহেতু বিকার । স্বভাবতঃ দ্রব্য সগুণ ও পরিবর্তনশীল এবং যুগপৎ উৎপত্তিবিনাশশীলও বটে। এইরূপ অবস্থাকে সত্তা কহে (১৮)। যদিও সাধারণতঃ দ্রব্য ও তাহার গুণ অথবা পরিণাম পৃথক পৃথক্ বর্ণিত হয় বটে, তথাপি ইহাদিগকে একই পদার্থরূপে গণ্য করা উচিত ; কারণ একটীর অভাবে অন্তটর সত্ত্ব উপলব্ধি হয় না। একটী পুরাতন মৃন্ময় পাত্র ভাঙ্গিয়া একটা নূতন গড়াইলে আমরা সেই একই মৃত্তিক দেখিতে পাই । পদার্থ দুইপ্রকার। দ্রব্যার্থিকনয় এবং পর্যায়ার্থিকনয়। দ্বিতীয় প্রকারে দৃষ্টিপাত করিলে আমরা বিবেচনা করি যে কথিত মৃৎপাত্ৰটী নিৰ্ম্মাণে যাহা পূৰ্ব্বে ছিল না তাহ নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে ; অর্থাৎ পৰ্য্যয় বা পরিণামে উৎপন্ন হইয়াছে । প্রথম প্রকারে দেখিলে আমরা এই বিবেচনা করি যে পূৰ্ব্বে যাহা ছিল না, এমন, কিছু নিৰ্ম্মাণ করা হয় নাই অর্থাৎ দ্রব্যট নূতন পদার্থ নহে । সেইরূপ যখন কোন ব্যক্তি শুদ্ধ অথবা অশুদ্ধ কার্য দ্বারা বন্ধ অর্থাৎ দেবতা, মনুষ্য অথবা নারকীয় জীবে পরিণত হয়, তখন যদি আমরা পূৰ্ব্বোল্লিখিত প্রথম প্রকারে তৎপ্রতি দৃষ্টিপাত করি, তবে তাহাকে একই জীব বলিয়া দেখি ; কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারে তাহাকে একরূপ দেখি না, বরং ভিন্ন অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন জীব বলিয়া গণ্য করি । অতএব একই সময়ে একই দ্রব্যের কোন বিশেষ বিষয় স্বীকারও করা যাইতে (১৭) “অর্ণব; স্কন্ধাশ্চ।” জৈনস্থ ৫২৬। (১৮) “সদ্ধ ব্য লক্ষণম্।। ২৯ । উৎপাদব্যয়ঞ্জেীব্যযুক্তং সং জৈন ৫৩০