পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈন ( & করেন, এই যে কপী প্রচলিত অাছে, তাহ নিতান্ত অমূলক ; কারণ, গুল গুলাঞ্জ তাঙ্গার বহু পরে, অর্থাৎ ১৯৬৬ সম্বতে সিংহাসনে আরোঙ্কণ কলেন । বিশেষত: ১৫৮১ সম্বতে লিখিত শ্লোক মুবন্ধ খরতরপট্রাবলীতে লিপিত আছে যে, ১৯২৪ সঙ্গতে জিনহ:সঙ্গরি পটুধর ছিলেন । দর্শনসপ্ততিকাবৃত্তি, অভয়দেবের ঋষভচরিত ও তচ্চিমূ বৰ্দ্ধমানরচিত প্রাকৃতগাথা এবং প্রভাবক চরিত্রে খরতর সম্বন্ধে কোন কথাই নাই । থরতরদিগের মধ্যে পরম্পরাক্রমে যুগপ্রধান নাই। সুমতিগণির গ্রন্থপাঠে বোধ হয় যে, জিনবল্লভ কথন জিনদত্তকে দেখেন নাই । ধৰ্ম্মসাগর আপনগ্রন্থে ষে পট্টীবলী উদ্ধত করিয়াছেন, তাহতেও জিনবল্লভ অভযদেবের শিষ্য বলিয়া বোধ হয় না । ধৰ্ম্মসাগর লিখিয়াছেন—প্রাচীন গাথানুসারে ১৯৮৪ সন্থতেই জিনদত্তস্তরি হইতেই থরতরশাখা প্রবর্তিত হয় । জিনদত্ত অতিশয় থরপ্রকৃতি ছিলেন ; এই জন্তই সাধারণে তাঙ্গাকে ধরার বলিত : জিনদত্তও সাদরে ঐ নাম গ্রহণ করেন । তাহার শিষ্যপরম্পর খরতরগচ্ছ , নামে খ্যাত হইলেন । ধৰ্ম্মসাগরের মতে— জনশেখর হইতে রুদ্রপল্লীয় গচ্ছ প্ৰসিদ্ধ হয় নাই ; তাছার পর ৪র্থ পট্টধর অভয়দেব হইতেই রুদ্রপল্লীগ গঞ্জ, পলটি ত কয় । আঞ্চলিকোৎপত্ত্বি । ১৯১৩ সত্বতে আঞ্চলিকমত প্রচলিত হয় । গেীর্ণীযক পক্ষে নরসিংহ নামে একচক্ষ ও বহুভাণী এক ব্যক্তি বাস করিতেন। পৌর্ণমীয়কেরা তাছাকে সমাজচ্যুত করেন । বিউণ নামক গ্রামে বাস কলি, বার সময় নাপি নামে এক অন্ধরমণ র্তাহাকে বন্দনা করিতে আসে ; কিন্তু সে আপন মুখছিাদনী আনিতে ভুলিয়া গিয়াঢ়িল । জৈনশাস্ত্রে কোনরূপ বিধি না থাকিলেও নর সি ই অঞ্চল দিয়া সেই রমণীকে মুখ ঢাকিতে আদেশ করেন। তাঙ্গতে যতিগণ মধ্যে গোলমাল উপস্থিত হয়। নাধির বহু অর্থ ছিল । সেই অর্থসাহায্যে নলসিংহ আঞ্চলিক মত প্রচার কপিলেন । মাধির অনুরোধে নাটপদ্রীয়-চৈত্যবাসী নরসিংহকে সরিপদ পদান করেন। তখন হইতে নরসিংহের নাম আর্যবক্ষিত হইল । তিনি মুথাছদিন ও রজোহরণ পরিত্যাগ করাইয়া সাধারণ জৈনের অনুষ্ঠিত প্রতিক্রমণও উঠাইয়৷ দিলেন। তাহার মতাবলম্বিগণ আঞ্চলিক নামে খ্যাত হইল । আঞ্চলিকের আত্মাগম, অনন্তরাগম ও পরম্পরাগম এই তিন প্রকার আগম স্বীকার করেন । সাদ্ধপৌর্ণমীয়কোৎপত্তি। ১২৩৬ সস্বতে এই মত প্রচলিত হয় । এই মতের উৎপত্তিসম্বন্ধে ধৰ্ম্মসাগর লিথিয়াছেন l दैछन এক দিন রাজা কুমারপাল প্রসিদ্ধ জৈনাচার্য হেমচন্দ্রের নিকট পৌর্ণমীয়ক মতের বিষয় জিজ্ঞাস করেন। হেমচন্দ্রের মুখে বিস্তৃত বিবরণ শুনিয়া কুমারপাল আপনার রাজ্য হইতে পৌর্ণময়কদিগকে তাড়াইয়া দিবার সংকল্প করেন। এক দিন তিনি একজন পৌর্ণমীয়ক আচার্যাকে জিজ্ঞাস করেন, তাহদের মতপরিপোষক কোন আগম বা পূৰ্ব্ববাদ আছে কি ন?” পৌর্ণময়ক তাহাতে অবজ্ঞাস্বচক উত্তর করেন ; তজ্জন্ত সমস্ত পৌর্ণমায়ক কুমারপালের অধিকারভুক্ত ১৮ট জনপদ হইত্তে দূরীভূত হইলেন। কুমারপাল ও হেমচন্দ্রের মৃত্যুর পর আচার্য সুমতিসিংহ নামে এক পৌর্ণমীয়ক ছদ্মবেশে পত্তন নগরে আগমন করেন। র্তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে তিনি উত্তর করেন, “সাদ্ধপৌণমীয়ক।” মুমতিসিংহের কোন কোন শিষ্য এই সম্প্রদায়কে সাধুপোঁর্ণমায়ক বলিয়া পরিচয় দেন । তাহার বলেন, আচাৰ্য্য মুমতিসিংহ সাধুপ্রকৃতি ও বড় দয়া লু ছিলেন ; এই জন্যই তাহার শিযুপরম্পরা সাধুপেীর্ণর্মীয়ক বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন । আবার কেহ কেহ বলেন, সুমতিসিংহ শিস্যদিগকে পত্রপুপদি দিয়া জিনদেবের পূজা করিতে নিষেধ করেন এবং সাধুমার্গ অবলম্বন করিতে আদেশ করেন ; সেই জন্তই তিনি এবং তৎপরবর্তী শিষ্যগণ সাধু পেীৰ্ণমায়ক নামে খ্যাত হন। আগমিকোৎপত্তি । শালগণ ও দেবভদ্র পৌণমীয়ক পক্ষ পরিত্যাগ করিয়া প্রথমে আঞ্চলিক পক্ষ অবলম্বন করেন । পরে ঐ মত পরিত্যাগ করিয়া শত্রুঞ্জয়তীর্থে ৭ জন সাধুর সহিত মিলিত হইয়। জৈনশাস্ত্রোক্ত ক্ষেত্রদেবতার পূজাপরি হাররূপ নুতন মত প্রচার করেন ; তাহাই আগমিক ও খ্রিস্তুতিক নামে খ্যাত হইল । ১২৫০ সম্বং হইতে এই মত প্রচলিত হয় । লুম্পাকোৎপত্তি । ( গুজরাট দেশে আহ্মদাবাদে দশ শ্ৰীমালজ্ঞাতি লঙ্কা বা ) লুম্পাক নামে এক লেখক ছিলেন ; তিনি জ্ঞানযুতির উপশ্রেয়ে পুথি লিখিতেন ; পুথি লিখিবার সময় সিদ্ধান্তের অনেক আলাপক ও উদ্দেশক ছাড়িয়া যাইতেন ; তাহাতে উপাশয়ের লোকের মারপিট করিয়া র্তাহাকে উপাশয় হইতে বাহির করিয়া দেন । তাহাতে লুম্পাক অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া নিম্বড়া গ্রামে আসিয়া লক্ষ্মীসিং নামক এক বণিকের সাহায্যে এই রূপ মত প্রচার করেন--- *জিনপ্রতিমার যখন জীবন নাই, তখন তাহার উপাসনা চলিতে পারে না । আকগুকসূত্রের অনেক স্থান ভ্রষ্ট হইয়াছে এবং ব্যবহারস্বত্রও প্রকৃত বধিয়া বোধ হয় না।” ধৰ্ম্মসাগর প্রবচনপরীক্ষার অষ্টম অধ্যায়ে বিস্তৃতভাবে লুম্পাকমতের