পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জান না বলিয়া বহি ধূমের ব্যাপক, এই জন্ত লোকসমূহের পর্বত প্রভৃতিতে ধূমদর্শনে বহির অনুমানাত্মক জ্ঞান হয়। ५झे অনুমানাত্মক জ্ঞান ত্রিবিধ–পূর্ববং, শেষবৎ ও সামান্যতোদৃষ্ট । কারণদর্শনে কার্যের অনুমানকে পূৰ্ব্ববং অর্থাৎ কারণলিঙ্গক জ্ঞান কহে । যেমন মেঘের উন্নতি দর্শন করিয়া বৃষ্টির অমুমানাত্মক জ্ঞান। কাৰ্য্য দর্শন করিয়া কারণের অনুমানকে শেষবৎ অর্থাৎ কাৰ্য্যলিঙ্গক জ্ঞান কহে । যেমন নদীর অত্যস্থ বৃদ্ধি দর্শন করিয়া বৃষ্টির অনুমানাত্মক জ্ঞান। কারণ ও কাৰ্য্য ভিন্ন কেবল ব্যাপ্য বস্তু দর্শন করিয়া যে অনুমানাত্মক জ্ঞান হয়, তাহাকে সামান্ততোদৃষ্ট অনুমানাত্মক জ্ঞান কহে । যেমন—গগনমণ্ডলে সম্পূর্ণ চন্দ্রদর্শনে শুক্লপক্ষের জ্ঞান, ক্রিয়াকে হেতু করিয়া গুণের অনুমান এবং পৃথিবীত্ব জাতিকে হেতু করিয়া দ্রব্যত্বজাতির জ্ঞান। কোন কোন শব্দের কোন কোন অর্থে শক্তিপরিচ্ছদকে উপমিতিজ্ঞান কহে । যেমন—ষে ব্যক্তি পুৰ্ব্বে গবয় দেখে নাই, কিন্তু শুনিয়াছে গো-সদৃশ গবয় অর্থাৎ যে বস্তুর আকৃতি অবিকল গোর আকৃতিতুল্য, গবয়শব্দে তাহাকে বুঝায়, সেই ব্যক্তি । তৎকালে জানিবে, যে জন্তু গো-সদৃশ হইবে, গবয় শব্দে তাহাকেই বুঝাইবে । গবরশন্স দ্বারা গবয় জন্তু জানে না, কিন্তু যখন সেই ব্যক্তির নয়নপথে গবয় জন্তু | পতিত হয়, তখন সেই ব্যক্তি ঐ গবয়ের আকৃতি গোর । আকৃতি তুল্য দেখিয়া এবং পূৰ্ব্বক্ৰত গোসদৃশ গবয়, এই | | | i | বাক্য স্মরণ করিয়া বিবেচনা করিবে, ইহাই গবয়, এইরূপ । গবয় শব্দের শক্তিপরিচ্ছেদকে উপমিতিজ্ঞান বলা যায় । - শব্দ দ্বার। যে জ্ঞান হয়, তাহকে শাদজ্ঞান কহে । যেমন : গুরুর উপদেশ বাক্য শুনিয়া ছাত্রদিগের উপদিষ্ট অর্থের শব্দ জ্ঞান জন্মে। এই শব্দজ্ঞান দ্বিবিধ- দৃষ্টার্থক ও অদৃষ্টার্থক । । ষে শব্দের অর্থ প্রত্যক্ষসিদ্ধ, তাছাকে দৃষ্টার্থক আর যাহার অর্থ | অদৃগু, তাহাকে অদৃষ্টার্থক বলে। ইহার উদাহরণ এইরূপ,— | তুমি গৌরবর্ণ, তোমার পুস্তক অতি উত্তম, ইত্যাদি | প্রত্যক্ষসিদ্ধজ্ঞানকে দৃষ্টার্থক শাস্বজ্ঞান, আর যজ্ঞ করিলে স্বৰ্গ হয়, বিষ্ণুপূজা করিলে বিষ্ণুর প্রতি হয় ইত্যাদি বিধিবাক্য ও বেদবাক্য প্রভৃতি অদৃষ্টার্থক শাস্বজ্ঞান। যত প্রকার জ্ঞান আছে, তাহা এই সমুদয় জ্ঞানের अश्रुङि । ( छांब्रहर्मन ) [ 2भां* cनथ । ] বেদান্তমতে ব্ৰহ্মই স্বয়ং জ্ঞানস্বরূপ, যদিও আপাততঃ एल्लेखांन झ्हेंtङ *छेखांम डिग्न ५ीरु९ ८डांभांद्र क्षांन श्रांभांद्र জ্ঞান হইতে পৃথক, এইরূপ ভেদ ব্যবহার-দর্শন করিয়া झाप्नद्र नांनांशऐ **tछे ७वंउि*ई श्छ, अtब्र७ खांदनञ्च अक्र [ २8४ ] জ্ঞান স্বরূপতা বা সকল জ্ঞানের ঐক্যসাধক কোন যুক্তি আপাততঃ দৃষ্টিগোচর হয় না। কিন্তু বিশেষ বিবেচনা করিয়া দেখিলে বোধ হইবে যে, বিষুয়স্বরূপ উপাধির্ক্সীনাত্ব লইয়াই জ্ঞানের নানাত্ব ভ্রম হয়, "বাস্তবিক জ্ঞান নানা নহে, একমাত্র। যেমন এক মুখ তৈলে প্রতিবিম্বিত হইলে একরূপ, আর জলে প্রতিবিম্বিত হইলে অার এক রূপ দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক মুখের ভেদ নাই, জল এবং তৈলই পৃথক্ জ্ঞানের প্রতিকারণ, সেইরূপ উপাধির ভিন্নত। লইয়াই জ্ঞানের বিভিন্নতা প্রতীতি হয় । জ্ঞান বিভিন্ন নহে । যখন যাহার অন্তঃকরণবৃত্তি দ্বারা বিষয়ের আবরণস্বরূপ অজ্ঞান নষ্ট হইয়া জ্ঞান দ্বারা বিষয় প্রকাশমান হয়, তখনই তাহার জ্ঞান বলা যায়, আর যখন ঐন্ধপ না হয়, তখন তাহা জ্ঞান বলিয়া ও ব্যবহার হয় না । অতএব জ্ঞান এক হইলেও তোমার জ্ঞান আমার জ্ঞান ইত্যাদি ভেদ ব্যবহারের বাধক কি আছে ? বরং জ্ঞানের ঐক্যসাধক প্রমাণই অনেক দৃষ্ট হয়। একটা প্রমাণ দিলেই যথেষ্ট হইবে । দেখ, যে বস্তুর সহিত যে বস্তুর বাস্তবিক ভেঙ্গ থাকে, তাহার উপাধি পরিত্যাগ করিলেও ভেদবাবহার হইয়! থাকে। যেমন ঘট ও পটের বাস্তবিক ভেদ আছে বলিয়া ঘট ও পটের উপাধি পরিত্যাগ করিলেও ভেদ ব্যবহারের বাধ হয় না । অতএব যদি ঘটজ্ঞান ও পটন্ত্রীনের পরস্পর বাস্তবিক ভেদ থাকিত, তাহা হইলে ঐ জ্ঞানের যথাক্রমে ঘট ও পটন্ধপ উপাধিদ্বয় পরিত্যাগ করিলেও ভেদ ব্যবহার হইত সন্দেহ নাই, কিন্তু যখন ঘটজ্ঞান ও পটন্ত্রানের ঘট পটরূপ উপাধি পরিত্যাগ করিয়া “জ্ঞান জ্ঞান হইতে ভিন্ন” এরূপ ভেদ ব্যবহার কেহই স্বীকার করেন না, তখন ঐ রূপ জ্ঞানের বাস্তবিক ভেদ কিরূপে সিদ্ধ হইতে পারে ? বরং ঐ ঐ জ্ঞানের ঘটপটন্ধপ উপাধি লইয়াই সিদ্ধ হয়, যেহেতু ঘটজ্ঞানের বিষয় ঘট, আর পটজ্ঞানের বিষয় পট, অতএব ঘটজ্ঞান পটজ্ঞান হইতে ভিন্ন, এইরূপ ভেদব্যবহার হয় বলিয়া ঐরূপ জ্ঞানের উপাধিক ভেদমাত্র আছে, ইহাই সিদ্ধ হইতেছে, ইহা ভিন্ন জ্ঞানের বাস্তবিক পরস্পর ভেদসাধক কোন প্রমাণ বা যুক্তি নাই। বরং ঐক্যপ্রতিপাদক শ্রীতি ও স্মৃতির বিস্তর প্রমাণ পাওয়া যায়, আরও যখন দেখা যাইতেছে, ঘটজ্ঞানও জ্ঞান, আর পটজ্ঞানও জ্ঞান, তখন আর জ্ঞানের বিভিন্নতা হইবার কোন প্রকারে সম্ভব দেখা যায় না । অতএব স্থির হইল যে, সৰ্ব্ববিষয়ক সকল ব্যক্তির জ্ঞান এক, বিভিন্ন নহে। এই জ্ঞানের নামান্তর চৈতন্ত, আত্মা । ( রেদাস্ত ) ংখ্যমতে বুদ্ধি অর্থাকারে (এমর্থাৎ বস্বস্বরূপে ) পরিণত