द्रृङ्गं ( 'లిలి ] r - कुंक्रं বিতস্তা ও চঞ্জ ভাগীর মধ্যবৰ্ত্তী ভূভাগ অনুৰ্ব্বর, কেবল নদীতীরে চাষ হয়। বিতস্তার পর পারে সিন্ধুসগির খাড়ি নামক উচ্চ পাহাড় পর্য্যস্ত কএক মাইল স্থান অতিশয় উৰ্ব্বর। । সমস্ত জেলায় কেবল ৩৯ অংশ মাত্র স্থানে বসতি আছে ও অবশিষ্ট সমস্তই অনুৰ্ব্বর। অনেক স্থানে জনপ্রাণী ও তরুলতাশূন্ত ভূভাগ এবং উত্তরপূৰ্ব্বাংশে একটা প্রাচীন নদীর শুষ্ক १७ अंक्लिग्न श्रोप्छ् । এই জেলায় কোন প্রকার খনি নাই। তবে চিনিয়টের নিকটবৰ্ত্তী পৰ্ব্বতের নানাস্থানের খাত হইতে প্রস্তর খোদিত হয়। ঐ সমস্ত প্রস্তরে জাত, খল, শিল, রুটবেলনের পিড়ি, প্রদীপ, শান প্রভৃতি প্রস্তুত হয়। কিরণ পৰ্ব্বতে লোঁহের খনি আছে বলিয়া অনেকের বিশ্বাস, কিন্তু উহা এ পর্য্যস্ত উত্তোলিত হয় নাই । দক্ষিণসীমাস্থ ললের হইতে মৎস্ত যাইয়া মুলতানে বিক্রীত হয়। হিংস্র জন্তুর মধ্যে নেকড়ে, হাড়িয়া, বনবিড়াল প্রধান ; মৃগ, শুকর ও শশকাধি নির্জন অরণ্যে দৃষ্ট হয় । সাজি নামক এক প্রকার বৃক্ষের ভস্ম হইতে ক্ষার হয় । ঐ বৃক্ষ বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার মধ্যবৰ্ত্তী উচ্চ ভূমিতে ও রেচনা দোয়াবের দক্ষিণভাগে প্রচুর পরিমাণে জন্মে । এই জেলার ইতিহাস অতি প্রাচীন। ইহার অন্তব্বত্তী সঙ্গলবালতীর নামক পাছাড়ের উপরিস্থ বহু প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখিয়া জেনারেল কানিংহাম স্থির করেন যে, ঐ স্থানই পুরাণোক্ত শাকল, বৌদ্ধগ্রন্থ বর্ণিত সাগল ও গ্রীক ঐতিহাসিকগণের সঙ্গল । ঐ পাহাড় গুজরাল্বালার সীমায় অবস্থিত এবং উভয়দিকে দুইট জলাভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত । পুৰ্ব্বে ঐ জলাভূমিতে গভীর হ্রদ ছিল। মহাভারতে শাকল মদ্ররানের রাজধানী বলিয়া বণিত হইয়াছে ; আজিও ঐ প্রদেশকে মদ্র দেশ কহে। বৌদ্ধদিগের উপাখ্যানপাঠে জানা যায় সাগল কুশরাজের রাজধানী ছিল। রাজমহিষী প্রভাবতীকে অপহরণ করিবার নিমিত্ত সাতজন রাজা সাগল আক্রমণ করে । মহারাজ কুশ হস্তীপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া নগরের বাহিরে শক্রদিগের সম্মুখীন হইলেন এবং তথায় এরূপ উৎকট হুঙ্কারধ্বনি করিলেন যে, স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য প্রতিধ্বনিত হইল এবং আক্রমণকারিগণ ভয়ে পলায়ন করিল । গ্রীক ঐতিহাসিকগণ বলেন, আলেকসান্দর সঙ্গল রাজার আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হইয়া গঙ্গাকুলবর্তী প্রদেশ জয়ে ক্ষান্ত থাকেন এবং ঐ স্থান আক্রমণ করেন । তৎকালে সঙ্গল অতি দুরাক্রম্য ছিল, ইহার দুই দিকে গভীর হ্রদ এবং নগর ইষ্টক প্রাচীরবেষ্টিত। গ্রীকগণ বহু কষ্ট্রে ইহার প্রাচীর ভাঙ্গিয় নগর অধিকার করে । চীনপরিব্রাজক হিউএন্সিয়াং ৬০০ খৃঃ অন্ধে শাকল পরিদর্শন করেন, তৎকালে উছার ভগ্ন প্রাচীর বর্তমান ছিল এবং প্রাচীন নগরের শু,পাঙ্কতি ধ্বংসাবশেষসমূহের মধ্যস্থলে একটা ক্ষুদ্র সম্বর ছিল । হিউএনসিয়াংয়ের বিবরণ, পাঠ করিয়াই কনিংহাম সাহেব শাকলের অবস্থান নিৰ্দ্ধারণ করিতে সমর্থ হন। এখনও এখানে একটী বৌদ্ধমঠে প্রায় এক শত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বাস করেন। দুইটা টােপ অৰ্থাৎ স্ত,পও আছে, তন্মধ্যে একটা মহারাজ অশোকনিৰ্ম্মিত । চন্দ্রভাগার নিম্ন অববাহিকাস্থিত শেরকোট আলেকসান্দর কর্তৃক অধিকৃত মল্পীর নগর বলিয়া অনেকে অনুমান করেন। হিউ এন্সিয়াং পরে এই স্থানকে একটী প্রদেশের রাজধানী বলিয়া বর্ণনা করেন । এই জেলার অপেক্ষাকৃত আধুনিক ইতিহাস শিয়ালরাজবংশের বিবরণে সংশ্লিষ্ট । এই শিয়ালরাজগণ মুলতান ও শাহপুরের মধ্যবর্তী এক বিস্তীর্ণ প্রদেশে রাজত্ব করিতেন। ইহারঃ দিল্লীর সম্রাটের অধীনত কথঞ্চিৎ স্বীকার করিতেন ; অবশেষে রণজিৎসিংহ ইহাদিগকে সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করেন। ঋঙ্গের শিয়ালগণ রাজপুতকুলেস্তব এবং মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বী । ইহাদের আদিপুরুষ রায়শঙ্কর ৷ খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে জৌনপুরে বাস স্থাপন করেন । ইহার পুত্র শিয়াল ঐ নগর ত্যাগ করিয়া মোগল-প্রপীড়িত পঞ্জাবে আগমন করেন। তিনি নগরস্থাপনোপযোগী স্থান খুজিতে খুজিতে একদিন সহসা পাকপত্তনের বিখ্যাত ফকির বাবা ফরিদ উদ্দীন শাকরগঞ্জের সম্মুখে পতিত হন। ফকিরের বাকপটুতায় মুগ্ধ হইয়। শিয়াল মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । ইনি কিছুকাল শিয়াল কোটে থাকিয়া অবশেষে শাহপুর জেলার সাহিবালে গমন করেন এবং তথায় বিবাহ করিয়া বাস করেন । শিয়ালের অধস্তন ষষ্ঠ পুরুষ মণিক ১৩৮০ খৃষ্টাব্দে মানকেড় নগর স্থাপন করেন এবং তাহার প্রপৌত্র মালখ ১৪৬২ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রভাগাতীরে ঝঙ্গশিয়াল নিৰ্ম্মাণ করেন । ইহার চারি বৎসর পরে মালখা সম্রাটের আদেশক্রমে লাহোরে উপস্থিত হন এবং সম্রাটকে বার্ষিক নির্দিষ্ট কর প্রদান করিয়া ঝঙ্গ প্রদেশ প্রাপ্ত হন। সেই অবধি তাহার বংশধরগণ বঙ্গে রাজত্ব করিতে লাগিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে শিখগণ পরাক্রান্ত হইয়া উঠে। ভঙ্গী প্রদেশের করমৃসিং চুলু ঝঙ্গ জেলার চিনিয়টু দুর্গ অধিকার করেন। ১৮৯৩ খৃঃ অব্দে রণজিৎসিংহ ঐ দুর্গ আক্রমণ ও অধিকার করেন । ইহার পর রণজিৎসিংহ বঙ্গ আক্রমণের উদ্যোগ করিলে শিয়ালবংশের শেষ রাজা আহ্মদৰ্থ বাধিক १• नश्व प्लांक ७ ७कणै भशै यनाप्न भनौकाब्र कब्रिद्र অব্যাহতি পান ।
