পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালি हेशव्र ८णांकनश्धा श्रब्रभाजां दूकि इहेब्रा ७,७०,२२१ जमै হইয়াছে এবং ক্রমশঃ বৃদ্ধি হইতেছে । পুর্বরাজগণের অতিরিক্ত কর ভারে, ১৮৫৭-৫৮ খৃষ্টাব্দের বিদ্রোহী সিপাহী দিগের উৎপীড়নে এবং বন্ত, দুর্ভিক্ষ, দেশব্যাপী মহামারী প্রভৃতি বিপদে অধিকাংশ প্রাণত্যাগ করিত কিংবা দেশত্যাগ করিয়া যাইত। ১৮৩২ খৃষ্টাব্দে কঁাসির পরিমাণফল প্রায় ২৯২২ বর্গমাইল ও লোকসংখ্যা আনুমানিক ২,৮৬,••• ছিল । ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে পরিমাণফল অনেক অল্প অর্থাৎ ১৫৬৭ বর্গমাইল হইলেও লোকসংখ্যা পূৰ্ব্বাপেক্ষ বৃদ্ধি হইয়াছে। বাসির অধিবাসীগণ প্রায় সকলেই হিন্দু, শতকরা প্রায় ৪ জন মাত্র মুসলমান। পশুহত্য অধিবাসীদিগের বড়ই বিরক্তিকর। জৈন ও শিখদিগের সংখ্যা আরও অল্প। তদ্ভিন্ন পারসী ও ব্রাহ্ম ২৪ জন বাস করে এবং কৰ্ম্মোপলক্ষে অনেক খৃষ্টান সৈন্ত, কৰ্ম্মচারী প্রভৃতি আসিয়া বাস করিতেছে। অধিবাসী হিন্দুদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণদিগের সংখ্যা চামার ব্যতীত আর সকল জাতি অপেক্ষ অধিক। তদ্ভিন্ন রাজপুত, কায়স্থ, বেণিয়া, কাছি, কুৰ্ম্মি, আহীর, কোরী, লোধি প্রভৃতি জাতির সংখ্যা অপেক্ষাকৃত অধিক । আদিম অসভ্যজাতিও অল্পসংখ্যক বাস করে । অহীরগণ ১০৭, ব্রাহ্মণগণ ১০২, রাজপুতগণ ৬৬,লোধিগণ ৬৮, কুৰ্ম্মিগণ ৪৪ এবং কাছিগণ ৭টা গ্রাম দখল করে। রাজপুতদিগের অধিকাংশই বুন্দেলা জাতীয় । অনেক নীচ ও অসভ্যজাতি নিম্নশ্রেণীস্থ শূদ্র বলিয়া পরিগণিত হয় । বাসি জেলার মাউ, রাণীপুর, গুড়সরাই, বড়বাসাগর ও ভাণ্ডের প্রভৃতি ৫টা নগরে পঞ্চ সহস্ৰাধিক লোক বাস করে । বাসি নোয়াবাদ নগরে জেলার আদালত, সৈন্যের ছাউনি ও মিউনিসিপালিটী থাকিলেও ইহার লোকসংখ্যা তিন সহস্রের অধিক নহে । কৃষি । কঁাসির ভূমি স্বভাবতঃ অনুৰ্ব্বর, তাহার উপর প্রায়ই বৃষ্টির অভাব এবং খালদ্বারা কৃত্রিম উপায়ে জলসেচনের অসুবিধা হেতু এখানকার চাষের অবস্থা বড় মন্দ। বেশ সুফল হইলে সে বৎসর ইহার অধিবাসীদিগের পক্ষে শস্ত্যাদি কথঞ্চিৎ পৰ্য্যাপ্ত হইয় থাকে, অল্প হানি হইলেই অল্পকষ্ট উপস্থিত হয় । ফলে অনেক সময়েই এই দশা ঘটিয়া থাকে। রবি শস্তের মধ্যে গোধুম, যব, ছোলা প্রভৃতি কলায় এবং সর্ষপাদি প্রধান । শরৎকালে জোয়ার, বাজরা, তিল, কার্পাস এবং কোদে জন্মে । এতদ্ভিন্ন রক্তবর্ণ ছিট করিবার জন্ত আইচ নামক বৃক্ষের মূল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এই মূল এখানকার প্রধান বাণিজ্য দ্রব্য ও সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ভূমিতে জন্মে। মাউরাণী WII brసి { ৩৫৩ ] বালি পুরের বিখ্যাত খেরুয়া কাপড় এই আল বা আচু দ্বারা রঞ্জিত হয় । কঁাসি ও বুনোলখণ্ডের অনেক স্থলে কৃষকগণ এই আচ বিক্রয় করিয়াই রাজস্ব প্রদান করে, অনেক স্থলে আচের পরিবর্তে শস্ত ক্রয় করিয়া তথাকার শস্তের অভাব মোচন হয়। অনেক সময় শস্তক্ষেত্রে অধিক ঘাস জন্মিয় শস্তের সমূহ ক্ষতি করিত, সম্প্রতি বহু কষ্টে নিৰ্ম্মল করা হইয়াছে। বঁাসির উৎপন্ন শস্ত ঝাসিতেই সস্কুলান হয় না, তথাপি স্থবৎসরে আশাতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায়, কখন কখন ইহা হইতে কতকপরিমাণে শস্তাদি রপ্তানী হইতেছে । এখানে জলসেচনের বন্দোবস্ত অতি হীন। পূৰ্ব্বে যে সকল বৃহৎ বৃহৎ সরোবর বা কৃত্রিম হ্রদের বিষয় বলা হইয়াছে, তাহার অধিকাংশই সংস্কারাভাবে এখন অকৰ্ম্মণ্য হইয়। যাইতেছে এবং অত্যর স্থানে জল দান করিতে পারে। যাহা হউক সম্প্রতি গবমেণ্ট ঐ সকল পুষ্করিণীর সংস্কার ও খাল প্রভৃতি খননে মনোযোগ করিয়াছেন । কৃষকমাত্রই অতি দরিদ্র, একটা অজন্ম হইলেই তাহাদের সৰ্ব্বনাশ হয়, তখন মহাজনের নিকট ঋণ ভিন্ন অন্ত উপায় থাকে না । বেতবা ও ধসান নদীদ্বয়ের মধ্যবর্তী প্রদেশে প্রায়ই অনাবৃষ্টি হয়, সুতরাং তথাকার কৃষকগণ অপেক্ষাকৃত দুর্দশাপন্ন, ঋণ ছাড়া কেহ নাই। ইংরাজ শাসনকর্তাগণ প্রথম আসিয়া পূৰ্ব্ববর্তী রাজাদিগের স্তায় কঠোররূপে কর আদায় করিতেছিলেন, পরে গবমেণ্ট প্রকৃত অবস্থা জ্ঞাত হইয়া সদয় হইয়াছেন। এখন এখানকার রাজস্ব অন্তান্ত স্থান অপেক্ষ অনেক কম । কাসিতে দৈব বিড়ম্বন অধিক, তাহা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে। অজন্ম, অনাবৃষ্টি, বস্তা,'মহামারী প্রভৃতি বিরল নহে । দুর্ভিক্ষ প্রায় ৫ বৎসর বাদ থাকে না । সরকারী রিপোর্টে প্রকাশ, স্ববৎসরে কাসিতে মোটামুটী যত শস্ত উৎপন্ন হয়, তা হাতে অধিবাসীগণের দশ মাসের অধিক চলিতে পারে না, সুতরাং তাহার উপর অজন্ম হইলেই দুর্ভিক্ষ আসিয়া উপস্থিত হয় । ১৭৮৩, ১৮৩৩, ১৮৩৭, ১৮৪৭, ১৮৬৮-৬৯ খৃষ্টাব্দে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হইয়া গিয়াছে। গবর্মেন্ট দুর্ভিক্ষ সময়ে সাহায্যদানার্থ কৰ্ম্ম (Relief work) খুলিয়া ও ভিন্ন ভিন্ন স্থান হইতে শস্তাদি রপ্তানি করিয়া প্ৰজাগণের দুঃখ মোচন করিয়াছেন । দেশীয় রাজ্যের শাসনভুক্ত অনেক গ্রাম কঁাসির সীমার মধ্যে থাকায় রিলিফকার্য্যে বিশেষ বিশৃঙ্খলা ঘটে। বাণিজ্য । বাগি হইতে শস্ত রপ্তানী হয় না, বরং অনেক পরিমাণে এখানে আমদানী হইয়া থাকে, উহার পরিবর্ভে বাসি হইতে কার্পাস ও অtল রং অন্তস্থানে প্রেরিত হয় ।