তাড়ন তাড়কাজঙ্গল নামে প্রসিদ্ধ। ইহার ব্রাহ্মণ দেখিলেই তাহীদের প্রতি অতিশয় অত্যাচার করিত এবং যঙ্গীয় বহ্নির ধূম আকাশে উদগত হইতে দেখিলেই সদলে উপস্থিত হইয়া তাহার বিঘ্ন উৎপাদন করিত । ইহাদের এইরূপ অত্যাচারে কেহই আর যজ্ঞাদি করিতে সমর্থ হইত না । এই রূপে তাড়কা এই জঙ্গলে অবস্থিতি করিত। পরে বিশ্বামিত্র ইহাদিগকে দমন করিবার জন্য দশরথের শরণাপন্ন হইয়া রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণকে সঙ্গে করিয়া তপোবনে আগমন করেন। পথিমধ্যে বিশ্বামিত্রের আদেশে রামচন্দ্র ইহাকে বিনাশ করেন এবং মারীচকে বাণদ্বারা মুদূরে নিক্ষেপ করেন। ( রামা ১২৫-২৬ স’ ) उाफुकारुत्र (ौ) उत्व८कप नक्रबभिक् कनभछ दश्डौ । বুহদেলা, এলাচ । ( রত্নমা” ) তাড়কায়ন (পুং ) বিশ্বামিত্রের পুত্রভেদ । “মহানৃষিশ্চ কপিল স্তথর্ষিস্তাড়কায়ন: ।” ( ভারত আনু ৪ অ' ) । তাড়কারি (পুং ) তাড়কায়াঃ অরিঃ ৬তৎ। তাড়কার শত্ৰু, রামচন্দ্র । তাড়কেয় (পুং) তাড়কায়াঃ অপত্যং ঠক। তাড়কার পুত্র, মারীচ। "মারীচঃ মুন্দপুত্রশ তাড়কায়াং ব্যঙ্গায়ত ॥” (হরিব• ৩ অ” ) ੋੜ প: ) তালং হস্তি হন-টক্ (পাণিঘতাড়ঘে শিল্পিনি । পী ৩২৫৫ ) তালবাদক শিল্পিভেদ ? কশাঘাত বা বেত্ৰাঘাতকারী । তাড়ঘাত (পুং ) তাড়ং হস্তি হন-অণু। যে হাতুড়ি প্রভৃতি স্বারা পিটিয়া শিল্পকৰ্ম্ম করে। তাড়ঙ্ক (পুং) তাড় অঙ্কঃ চিহ্নং যন্ত বা তালং অঙ্ক্যতে লক্ষ্যতে অঙ্ক-ঘএ লন্ত ভূত্বং শকন্ধাদিত্বাং সাধু । কর্ণাভরণবিশেষ, কাণতড়ক । পৰ্য্যায়—কর্ণদৰ্পণ, তাটঙ্ক, কণিকা, তালপত্র, তাড়পত্র, কর্ণমুকুর । “তাড়ঙ্কাঙ্গদমেখলাগুণরণষ্মঞ্জীরতাং প্রাপিত{ং” (মনসাধ্যান ) ২ হস্তাভরণবিশেষ, তাড় । তাড়ন (ক্লী) তাড়ি ভাবে লুটি। ১ আঘাত, প্রহার, তর্জন, ভৎসন। “লালনে বহবোদোষান্তাড়নে বহবোওণী: , তস্মাৎ পুত্রঞ্চ শিষ্যঞ্চ তাড়য়েন্ত্রতু লালয়েৎ ॥” (চাণক্য )। ২ দীক্ষাঙ্গবিষয়ে দীক্ষণীয় মন্ত্রসংস্কারবিশেষ । “মন্ত্রবর্ণন সমলি তাড়চ্চেদনান্তস , প্রত্যেকং বায়ুনা মস্ত্রোতাড়নং সমুদাহৃতং ॥” (শারদাতি-) মন্ত্রবর্ণ সকল চন্দ্বনদ্বারা লিখিয়া প্রত্যেক মন্ত্র বায়ুবীজদ্বারা y [ ७०७ ] তাড়ি ( যংৰীজ ) তাড়িত করিবে, তাহা হইলে তাড়ন হয় । ৪ গুণন। & শাসন, দণ্ড । তাড়ন (স্ত্রী) তাড়ন-টাপু । ৩ শাসন। ৪ উৎপীড়ন । তাড়নী (স্ত্রী) তাড়ন স্থিয়াং উীপু। অশ্বতাড়নযষ্টি কশী, চাবুক। পৰ্য্যায়—চৰ্ম্মযষ্টি, কশা, ভীমা, চৰ্ম্মলালিকা । ( শকামাল ) তাড়নীয় (ত্রি) তাড় অনীয়র। শাসনযোগ্য, দণ্ডনীয়। তাড়পত্র ( ক্লী) তালন্ত পত্রমিব লন্ত ড়। কর্ণভূষণবিশেষ । [ তাড়ঙ্ক দেখ । ] তাড়পত্রি, মাম্রাজ প্রেসিডেন্সির বেলারি জেলার অধীন একটা সহর। পঞ্চদশ শতাব্দীতে এই সহরটা স্থাপিত হইয়াছে। এই স্থানে রাম ও চিত্তরায়ের নামে উৎসর্গীকৃত দুইটী মন্দির আছে । মন্দির দুইটী বিচিত্রভাস্কর কার্য্য সুশোভিত । ইহ দেখিতে বিশেষ রমণীয় । তাড়য়িত্ব (ত্রি) তাড়ি-তৃছ। তাড়নকারী, আঘাতকারী, শাসনকারী। তাড়স ( দেশজ) ব্যথার উত্তেজনা। তাড়া ( দেশজ ) ১ ধমক, বাক্য দ্বারা ভয়প্রদর্শন। ২ যষ্টি গুচ্ছ, তালপত্রাদির গুচ্ছ । ৩ তস্লা । তাড়াগ (ত্রি) তড়াগে ভবঃ অণু তড়াগভব জল, তড়াগের জল । ইহার গুণ বায়ুবৰ্দ্ধক, স্বাছ, কষায় ও কটুপাক । হেমন্তকালে তড়াগ জল হিতকর । ( সুশ্ৰুত ) তাড়াতাড়ি (দেশজ ) শীঘ্র, ঝাটতি, ব্যস্তভাবে । তাড়ান (দেশজ ) বহিষ্কৃত করণ, দুরকরণ। তাড়ি (স্ত্রী) তাড়য়তি পত্ৰৈঃ শোভতে তড়-ণিছইন। বৃক্ষ বিশেষ । [ তাড়ী দেখ । ] তাড়ি(দেশজ) মাদকশক্তিবিশিষ্ট তালের রস। প্রধানত: তালের রসকে তাড়ি বলা হইলেও ইক্ষু, খর্জুর, নিম্ব, মৈরেয়, নারিকেল প্রভৃতি বৃক্ষ হইতেই যে গেজাযুক্ত রস পাওয়া যায়, যাহা পান করিলে নেসা হয়, তাহাকেও সচরাচর তাড়ি বলা হয় । ভারতে তাড়ির ব্যবহার আজ নুতন নহে। কুলার্ণবতন্ত্রে তারিকা নামে তাড়ির উল্লেখ আছে। যথা-— "সম্বিদা কালকূটষ্ণ তাম্রকুটষ্ণ ধুস্তরম্ । অহিফেনং খর্জুরসস্তারিকা তরিত তথা ।” গন্ধৰ্ব্বতন্ত্রে ১৫শ পটলে ইক্ষুরস, বদরীরস,জস্ব রস, খর্জুররম, নারিকেল ও দ্রাক্ষারসে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতের বিধান আছে । “ইক্ষুরসং সমাদায় পযুষিতং মুসংস্কৃতম্। বাদরং জাম্ববঞ্চৈব রসং খার্জুরমেব চ। নারিকেলোত্তবস্তুত্র দ্রাক্ষারসমন্নুত্তমম্।।” ( মন্ত দেখ। ] ১ প্রহার। ২ ভৎসনা ।