পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उीक्लिऊ वादशब्रिक थ८ब्रांशं श्tउ८झ डांशंद्र ग१९r1 कब्राहे झकग्न ; বর্তমান প্রবন্ধে তাড়িতশক্তির বৈজ্ঞানিক আলোচনা করা যাইবে । তাড়িতের ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য স্বতন্ত্র প্রবন্ধ আবগুক। গ্রেহাম বেল, এডিসন প্রভৃতি জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তি যে সকল সুন্দর কৌশল সহকারে বিবিধ যন্ত্রের উদ্ভাবন করিয়া তাড়িতশক্তিকে মঙ্গুষ্যের কার্য্যসাধনে নিয়োজিত করিয়াছেন, বর্তমান প্রবন্ধে সে সকলের অালোচনার স্থান হইবে না । তাড়িত কোনরূপ জড় পদার্থ অথবা জড় পদার্থের কোনরূপ ধৰ্ম্মমাত্র, অথবা শক্তির কোনরূপ ভেদমাত্র, তাহ অদ্যাপি নিঃসংশয় নিরূপিত হয় নাই। আজ পর্য্যন্ত এই বিষয় লইয়া বিবিধ বিতর্ক চলিতেছে। সম্প্রতি আমরা সে বিতণ্ডাক্ষেত্রে প্রবেশ করিব না । তৎসম্বন্ধে আধুনিক বৈজ্ঞানিক মত প্রবন্ধের শেষে বলা যাইবে । তাড়িত কাহাকে বলে ?—তাড়িত অর্থে আমরা কি বুঝি, প্রথমে বল অবশুক । একটা কাচের দণ্ডকে রেশমী রুমালে ঘষিয়া ছোট ছোট কাগজের টুক্‌রার নিকট ধরিলে দেখা যাইবে, কাগজের টুক্‌রাগুলি লাফাইয়া কাচদণ্ডের নিকট উঠিতেছে। লাক্ষাদগুকে ফুানেলে ঘষিয়া ধরিলে অথবা রবরের চিরুণী চুলে ঘষিয়া ধরিলেও ঠিক এই রূপ দেখা যায়। কাচের লাক্ষাদণ্ডের অথবা চিরুণীর ঐরূপ ঘর্ষণের ফলে কোন রূপ বিকৃতি দেখা যায় না ; ঘষিবার পূৰ্ব্বে কাগজও দেখিতে যেমন ছিল, ঘর্ষণের পরও ঠিক সেইরূপই থাকে , অথচ তাহাতে একটা নুতন ক্ষমতা বা ধৰ্ম্ম কোথা হইতে আসিয়া উপস্থিত হয় । এই নবাবিভূতি আকর্ষণশক্তিবিশিষ্ট কাচদও ও লাক্ষাদগুকে তাড়িতধৰ্ম্মান্বিত বলা যায়। এই নুতন আবিভূতি ধন্মের নাম তাড়িত-ধৰ্ম্ম । তাড়িত-বিকাশের উপায় । কাচে রেশমে ও লাক্ষায় পশম ঘর্ষণ করিলে অতি সহজে তাড়িতধয়ের বিকাশ হয় । সাধারণতঃ বিভিন্ন প্রকৃতিক যে কোন ছুইটী দ্রব্য পরস্পর ঘর্ষণ করিলেই নুনাধিক মাত্রায় তাড়িতের বিকাশ হইয়া থাকে অথবা ঘর্ষণেরও প্রয়োজন হয় না। ইতালি-নিবাসি বলতা প্রথমে দেখাইয়াছিলেন, দুই খানি ধাতু দ্রব্য পরস্পর সংস্পর্শে থাকিলেই উভয়েই তাড়িতধৰ্ম্মের বিকাশ হয় । অবশু বিকাশের মাত্রা সৰ্ব্বত্র সমান হয় না । সাধারণতঃ ७झे निब्रभ निरर्म* कब्र रुहेरठ श्रांtव्र ८ष छूट्रेप्ले विछिन्न ब्रांनांয়নিক প্রকৃতিসম্পন্ন দ্রব্য পরম্পর ছুইয়া দিলে উভয়ই তাড়িতধৰ্ম্মাক্রাস্ত হইয়া থাকে। স্পর্শই যেখানে তাড়িত-বিকাশের পক্ষে যথেষ্ট, সেখানে দুইটী দ্রব্য ঘর্ষণ করিলে যে বিশেষ ফল পাওয়া যাইবে তাহ নিশ্চিত । • WII */*J) [ అeసి ) তাড়িত ম্পর্শ ও ঘর্ষণ ব্যতীত অম্ভ নানা কারণে তাড়িতের বিকাশ পরস্পর লক্ষিত হয় । আঘাতপ্রয়োগে ও তাপপ্রয়োগে তাড়িতের বিকাশ দেখা যায়। অনেক জীবশরীরে তাড়িতের বিকাশ হয়। তাহারা আত্মরক্ষার জন্য সেই তাড়িতের ব্যবহার করে। জল বাষ্প হইবার সময় তাড়িতের বিকাশ হয়। এতদ্ভিন্ন তাড়িতের প্রবাহ উৎপাদনের যে সকল উপায় আছে, পরে তাহীদের উল্লেখ করিব । তাড়িত-নিরূপণের উপায়।--তাড়িতের বিকাশ হইয়াছে কিনা বুঝিবার জন্য বিবিধ উপায় আছে। এক টুক্‌রা সোলা এক গাছ স্থতাতে লম্বিত করিয়া ধরিলেই সংক্ষেপে তাড়িতনিরূপণের সুন্দর উপায় হয়। কোন তড়িতক্রোন্ত পদার্থ উহার নিকটে আসিলেই শোলার টুকরা উহার অভিমুখে আকৃষ্ট হইবে । একটা কাচের বোতলের মুখ ছিপি দিয়া অ*াটিয়া সেই ছিপির মধ্যে ছিদ্র করিয়া একটা পিতলের দও পরাইয়া দাও । পিত্তল-দণ্ডের এক প্রান্ত বোতলের ভিতর আর এক প্রাস্ত যেন বোতলের বাহিরে থাকে। যে প্রান্ত ভিতরে থাকিল, তাহাতে ছুইখানা সূক্ষ্ম লঘু সোণার বা তামার পাত ( রাংত ) অঁাটিয়া দাও । এই যন্ত্রকে তড়িন্নিরূপণ বা তড়িদ্বক্ষণ যন্ত্র বলা যাইতে পারে । কাচ বা গালা বা অন্ত কোন পদার্থে তাড়িতের বিকাশ হইলে সেই পদার্থ বোতলের বহিঃস্থ পিত্তল প্রান্তের নিকট ধরিপ্লে অন্ত প্রান্তস্থ পাত দুইখানি ছাড়াছাড়ি হইবে। দুইখানি পাতের পরস্পর বিকর্ষণ হইবে । এই বিকর্ষণের বিষয় পরে আরও বলা যাইবে । তাড়িত দ্বিবিধ —রেশমে কাঁচ ঘৰিয়া সেই কাচ তড়িদ্বীক্ষণের নিকট ধরিলে পাত দুইখানা ছাড়াছাড়ি হয়, আবার ফুনেলে বা পশমে গালা ঘষিয়া সেই গালা তড়িদীক্ষণের নিকট ধরিলেও পাত দুইখানা ছাড়াছাড়ি হয়, অর্থাৎ কাচ ও গালা উভয়েই তাড়িতধৰ্ম্মের বিকাশের প্রমাণ পাওয়া যায় । কিন্তু এই অবস্থায় কাচ ও গাল উভয়কেই যদি একত্র করিয়া যন্ত্রের নিকট ধরা যায়, তাহা হইলে আর পাত দুই খানি ততটা ছাড়াছাড়ি হয় না। কাচ ও গলি উভয়ে যে তাড়িতের বিকাশ হইয়াছে, তাহা যেন পরস্পর বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মাক্রান্ত। পৃথক ভাবে উভয়ে যে কাজ করে, একত্র থাকিলে পরস্পর সেই কাজের প্রতিকূলতা করে। স্থতা দিয়া কাচখণ্ড ও লাক্ষাখণ্ড ঝুলাইয়া দিলে দেখা যাইবে, উভয়ের মধ্যে আকর্ষণ হইতেছে। দুইখও কাচ রেশমে ঘষিয়া’বুলাইলে উভয়ের মধ্যে আকর্ষণ না হইয়া বিকর্ষণ দেখা যায়। আবার দুই টুকুর গালা পশমে ঘষিয়া সুতায়