পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাপ শিখিলবদ্ধ হইবে, প্ৰসরণ ও তত অধিক লক্ষিত হইবে । সকল বস্তু এক তাপ কমে একরূপ প্রসারিত হয় ন} । ঘন পদার্থের প্রসরণ এত অল্প, যে আমরা তাহ দেখিয়া বুঝিতে পারি না। কিন্তু হুক্ষরূপে পরিমাণ করিলেই জানিতে পারা যায় । লোহার বেড় উত্তপ্ত না করিলে চাকায় পরান যায় না। ইহার অর্থ আর কিছুই নহে, উত্তাপে উছার আয়তনের বৃদ্ধি হয়, কিন্তু সে বৃদ্ধি এত অল্প যে স্বক্ষ দৃষ্টির ও অগোচর। কাচ সহসা উত্তপ্ত বা শীতল হইলে ফাটিয়া যায় । কারণ কাচ অপরিচালক । তাহার সকল ভাগে সমভাবে তাপ ঝটিতি পরিচাণিত হয় না । সুতরাং যে স্থলের তাপ অপেক্ষাকৃত অধিক হইয়া পড়ে, সেইস্থল একটু অধিক প্রসারিত হইতে চেষ্টা করে । এই রূপে অসম প্রসারণ বলেই সেই কাচ ফাটিয়া উঠে । কোন বস্তু অত্যন্ত উত্তপ্ত হইয়া শীতল হইবার সময় তাহার সঙ্কোচনে যে বল উৎপাদিত হয়, তাহ অত্যন্ত অধিক । একটা উদাহরণ দিলেই যথেষ্ট হইবে। পারি নগরে কোন একটী বাটীর ভিত্তি ফাটিয়া বাহিরের দকে কুলিয়া উঠিয়াছিল, লৌহদণ্ড দিয়া সেই বাটী পেষ্ঠিত করা হয়, পরে ঐ লৌহদণ্ড সকল উত্তপ্ত করিয়া যথেষ্ট উত্তপ্ত হইলে ঐ দণ্ডগুলি স্কুপ্ত দিয়া আঁটিয়া দেওয়া হয় । ঐ দণ্ডগুলি যখন ক্রমে শীতল হইয়া সঙ্কোচিত হইতে আরম্ভ হইল, সেই সঙ্গে ভিত্তিও সঙ্কোচিত হইয়া গেল । তরল পদার্থের প্রসারণ আমরা সৰ্ব্বদাই প্রত্যক্ষ করিয়া থাকি। ইহা দুই প্রকার যথার্থ (real ) এৰং প্রত্যক্ষ (apparent ) । একট তাপত্রম যন্থের বর্ত,লাকার ভাগে তাপ দী ও পারদ নলে উঠিতে থাকিবে । যতটুকু উঠিতে দেখিবে, সেইটুকু তাহার প্রত্যক্ষ প্রসরণ । কারণ তাপে পারদ যেমন প্রসারিত হইল, বৰ্ত্ত লাকার ভাগটাও ঈষৎ প্রসারিত হইল। সুতরাং বৰ্ত্ত লাকার ভাগে এখন পারদকে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক স্থান পূর্ণ করিতে হইল, কিন্তু উহা যদি পূৰ্ব্বাৰস্থা থাকিত, তাহা হইলে পারদ নলের আরও উপরিভাগে উঠিত এবং সেইটাই পারদের যথার্থ (real) প্রসরণ হইত। এইরূপ তরল পদার্থ যে পাত্রেই থাকুক না কেন, তাপে তরল পদার্থের সহিত সে পাত্রেরও কিছু প্ৰসরণ হয় । সুতরাং তরল পদার্থের প্রসরণে আমরা কেবল প্রত্যক্ষ গ্রসরণই দেখিতে পাই । f তরল পদার্থের গ্রসরণ সকল পদার্থের প্রসরণ অপেক্ষা रूछ निद्रयाशूषान्नैौ ५६९ खा”कम एउ३ दाश्रौéांद दिशून [ ७88 ] , छांs जमैौशवउँौं श्ब्र, छठहे ऐशंग्न निङ्गमव्र वालिङ्गम दक्लि८छ থাকে । & • ঘন ও তরুল উভয় পদার্থের মধ্যেই কতকগুলিতে প্ৰসরণনিয়মের বৈপরীত্য লক্ষিত হয় । গন্ধক ও কোন কোন মিশ্রধাতু গলাইলে ਬੋਡ হইবার সময় সঙ্কোচিত না হইয়া প্রসারিত হইয়া থাকে, যে ধাতুতে ছাপিবার অক্ষর প্রস্তুত হয়, ছাঁচে ঢালার পর শীতল হইবার সময় তাহা অল্প গ্রসারিত হইয়া অক্ষরের অগ্রভাগ সুস্পষ্ট রূপে বিভিন্ন করে। তাপের অংশ সকল লিখিয়া প্রকাশ করিতে হইলে তাহাদিগের সংখ্যার দক্ষিণদিকে কিঞ্চিৎ উদ্ধে এক একট ক্ষুদ্র শূন্ত দিতে হয় এবং শতাংশিক ফারেনহীটু কি রিওমার যে প্রণালীর অংশ তাহার নামের অম্বিক্ষর লিখিত হয়। যথা ২৭° শ, ৬•• ফা ১২° রি, অর্থাৎ শতাংশিকের ২৭, ফারেণ হীটের ৬০, রিওমারের ১২ অংশ। শূন্তের নিম্নস্থ কোন অংশ লিখিতে হইলে ঋণ চিহ্ন দিতে হয়। যথা ১৫ শ অর্থাৎ শতাংশিক তাপমানের শূন্তের ১৫ অংশ নিম্নে। তরল পদার্থের মধ্যে জলই ইহার উদাহরণ স্থল। শতাংশিক তাপত্রুমের গুণ অংশ পর্য্যস্ত জল শৈত্যে সঙ্কোচিত হয় । কিন্তু জলের তাপত্রুম ইহার নীচে যতই কমিতে থাকে, জল তত প্রসারিত হইবে । কারণ ৪“শে জল গাঢ়তম অর্থাৎ সঙ্কোচনের চরম সীমা প্রাপ্ত হয় । তখন ইহাকে উত্তপ্ত বা শীতল কর, ইহা প্রসারিত হইবে । জলের এই বৈপরীতা না থাকিলে শীতপ্রধান দেশে শীতকালে যে সকল হ্রদ, নদ, নদী প্রভৃতি তুষারাবৃত থাকে, সেই সকলের তলস্থ জল বরফ না হইয়া উপরস্থিত জল বরফ হওয়া অসম্ভব হইত । জল বরফ হইলে কোন জলচরই জীবিত থাকিতে পারে না । কিন্তু ৪°শে জল গাঢ়তম হওয়াতে বরফ যt২ার ভাপক্রম • শে তাহা অপেক্ষা লঘু বলিয়া ভাসিতে থাকে এবং বরফ অপরিচালক ইহা উপরে থাকাতে বাহিরের শৈত্য নিম্নস্থ জলে প্রবেশ করে না । সে জলের তাপত্রুম ৪°শে থাকে এবং সেই জলে মৎস্ত ও অল্পায় জলচর প্রাণিগণ জীবন ধারণ করিয়া থাকে। বাষ্পীয় পদার্থের গ্রসরণ সকল পদার্থের প্রসরণ অপেক্ষা অধিক নিয়মামুযায়ী এবং সকল বাষ্পীয় পদার্থই প্রায় সমভাবে প্রসারিত হয় । এই প্রসারণ তরল পদার্থের প্রসরণ অপেক্ষ ১৩ গুণ অধিক । ৰাষ্পীয় পদার্থের প্রসরণ যে মানব জীবনের কত শক্ত মঙ্গলসাধন করে, তাহা বলিয়া উঠা যায় ना'। cकदश मांबद-औदन ¢कन, ७मन ८कांन औदनई बtदे, बांश देशद्र अखाप्द नटे श्द्र बt । তলস্থ