পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ- বিশ্ব-পরিচয় এই গ্রহটি বছরের এক সময়ে সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম দিগন্তে দেখা দেয়, তখন তাকে বলি সন্ধ্যাতারা, আবার এই গ্রহই আর এক সময়ে সূর্য ওঠবার আগে পুবদিকে ওঠে তখন তাকে শুকতারা ব’লে জানি । কিন্তু মোটেই এ তা’রা নয়, খুব জ্বলজ্বল করে ব’লেই সাধারণের কাছে তারা খেতাব পেয়েছে । এর আয়তন পৃথিবীর চেয়ে অল্প একটু কম । এই গ্রহের পথ পৃথিবীর পথের চেয়ে আরো তিন কোটি মাইল সূর্যের কাছে। সেও কম নয়। যথোচিত দূর বাচিয়ে আছে তবু এর ভিতরকার খবর ভালো করে পাইনে । সে সূর্যের আলোর প্রখর আবরণের জন্তে নয় । বুধকে ঢেকেছে৷ সূর্যেরই আলো, আর শুক্রকে ঢেকেছে এর নিজেরই ঘন মেঘ । বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন শুক্র গ্রহের যে উত্তাপ তাতে জলের বিশেষ রূপান্তর হয় না । কাজেই ওখানে জলাশয় আর মেঘ দুইয়ের অস্তিত্বই আশা করতে পারি । * মেঘের উপরিতলা থেকে যতটা আন্দাজ করা যায় তাতে প্রমাণ হয় এই গ্রহের অক্সিজেন সম্বল নিতান্তই সামান্ত । ওখানে যে গ্যাসের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া যায় সে হচ্ছে আঙ্গারিক গ্যাস। মেঘের উপর তলায় তার পরিমাণ পৃথিবীর ঐ গ্যাসের চেয়ে বহু হাজার গুণ বেশি। পৃথিবীর এই গ্যাসের প্রধান ব্যবহার লাগে গাছপালার খাদ্য জোগাতে । এই আঙ্গারিক গ্যাসের ঘন আবরণে গ্রহটি যেন কম্বলচাপা । তার ভিতরের গরম বেরিয়ে আসতে পারে না ।