পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহলোক Գծ সুতরাং শুক্রগ্রহের উপরিতল ফুটন্ত জলের মতো কিংবা তার চেয়ে বেশি উষ্ণ । শুক্রে জোলো বাম্পের সন্ধান যে পাওয়া গেল না সেট আশ্চর্যের কথা । শুক্রের ঘন মেঘ তাহলে কিসের থেকে সে কথা ভাবতে হয় । সম্ভব এই যে মেঘের উচ্চস্তরে ঠাণ্ডায় জল এত জমে গেছে যে তার থেকে বাপ পাওয়া যায় না । একথাটা বিশেষ করে ভেবে দেখবার বিষয় । পুথিবীতে স্থষ্টির প্রথমযুগে যখন গলিত বস্তুগুলো ঠাণ্ডা হয়ে জমাট বাধতে লাগল তখন অনেক পরিমাণে জোলো বাষ্প আর আঙ্গারিক গ্যাসের উদ্ভব হোলো । তাপ আরো কমলে পর জোলো বাষ্প জল হয়ে গ্ৰহতলে সমুদ্র বিস্তার করে দিলে । তখন বাতাসে যে-সব গ্যাসের প্রাধান্ত ছিল তা’রা নাইট্রোজেনের মতো সব নিষ্কমণ্য গ্যাস । অক্সিজেন গ্যাসটা তৎপর জাতের মিশুক, অন্যান্ত পদার্থের সঙ্গে মিশে যৌগিক পদার্থ তৈরি করা তার স্বভাব। এমনি করে নিজেকে সে রূপান্তরিত করতে থাকে। তৎসত্ত্বেও পৃথিবীর হাওয়ায় এতটা পরিমাণ অক্সিজেন বিশুদ্ধ হয়ে টিকল কী ক’রে। তার প্রধান কারণ পৃথিবীর গাছপালা । উদ্ভিদের বাতাসের অাঙ্গারিক গ্যাস থেকে অঙ্গার পদার্থ নিয়ে নিজেদের জীবকোষ তৈরি করে, মুক্তি দেয় অক্সিজেনকে । তার পরে প্রাণীদের নিশ্বাস ও লতাপাতার পচানি থেকে আবার আঙ্গারিক গ্যাস উঠে আপন তহবিল পুরণ করে। পৃথিবীতে সম্ভবত প্রাণের বড়ো অধ্যায়টা আরম্ভ হোলো তখনি যখন