পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ বিশ্ব-পরিচয় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের চেয়ে মঙ্গল থেকে তার দূরত্ব বেশি অতএব নিঃসন্দেহ এ গ্রহ অনেকটা ঠাণ্ড । দিনের বেলায় বিষুব প্রদেশে হয়তো কিছু গরম থাকে কিন্তু রাতে নিঃসন্দেহ বরফ-জমা শীতের চেয়ে আরো অনেক শীত বেশি। বরফের টুপি-পরা তার মেরু প্রদেশের তো কথাই নেই। এই গ্রহে মেরুপ্রদেশে বরফের টুপিট বাড়ে কমে, মাঝে মাঝে তাদের দেখাও যায় না। এই গ’লে যাওয়া টুপির পায়ের কাছে জলতলও যন্ত্রদৃষ্টিতে ধরা পড়ে। এই গ্ৰহতলের অনেকটা ভাগ মরুর মতো শুকনো । কেবল গ্রীষ্ম ঋতুতে কোনো কোনো অংশ শু্যামবর্ণ হয়ে ওঠে, সম্ভবত জল চলার রাস্তায় বরফ গলার দিনে গাছপালা গজিয়ে উঠতে থাকে। মঙ্গলগ্রহকে নিয়ে পণ্ডিতে পণ্ডিতে একটা তর্ক চলেছে অনেকদিন ধরে । একদা একজন ইতালীয় বিজ্ঞানী মঙ্গলে লম্বী লম্বা আঁচড় দেখতে পেলেন, বললেন, নিশ্চয়ই এ গ্রহের বাসিন্দের মেরু প্রদেশ থেকে বরফ-গলা জল পাবার জন্তে) খাল কেটেছে । আবার কোনো কোনো বিজ্ঞানী বললেন, ওটা চোখের ভুল। ইদানীং জ্যোতিষ্কলোকের দিকে মানুষ ক্যামের চালিয়েছে। সেই ক্যামেরা-তোলা ছবিতেও কালো দাগ দেখা যায়। কিন্তু ও-গুলো যে কৃত্রিম খাল, আর বুদ্ধিমান জীবেরই কীর্তি সেটা নিতান্তই আন্দাজের কথা । অবশ্য এ গ্রহে প্রাণী থাকা অসম্ভব নয়, কেননা এখানে হাওয়া জল আছে । ছুটি উপগ্রহ মঙ্গলগ্রহের চারিদিকে ঘুরে বেড়ায় । একটির